একদিনে ডেঙ্গুতে ৮ জনের মৃত্যু

এ বছর এইডিস মশাবাহিত এই রোগ ৮৩ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Oct 2022, 03:33 PM
Updated : 13 Oct 2022, 03:33 PM

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আট জনের মৃত্যু হয়েছে, যা এ বছর একদিনে সর্বোচ্চ।

একই দিনে এইডিস মশাবাহিত এ রোগে আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি ৭৬৫ জন রোগী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত এর আগের ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ৪৯৭ জন এবং ঢাকার বাইরে ২৬৮ জন নতুন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

এর আগে গত ৮ অক্টোবর একদিনে সর্বোচ্চ ৭১২ জন রোগী ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।

অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর মশাবাহী এ ভাইরাস ৮৩ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। এরমধ্যে একই দিনে আটজন মারা যাওয়ার ঘটনা এবারই প্রথম। এর আগে চলতি বছরের ৬ সেপ্টেম্বর ৫ জন এবং ১১ অক্টোবর মারা গিয়েছিলেন ৪ জন।

সবশেষ আট জনের মৃত্যুসহ চলতি অক্টোবর মাসেই ২৮ জন মারা গেছেন।

Also Read: ডেঙ্গুর হটস্পট মিরপুর ও উত্তরা, মৃত্যু বেশি ঢাকার বাইরে

Also Read: ডেঙ্গুতে এক দিনেই ৫ মৃত্যু

এর আগে সেপ্টেম্বরে ৩৪ জন ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়, যা এ বছর এক মাসের সর্বোচ্চ। এছাড়া অগাস্টে ১১ জন, জুলাইয়ে ৯ জন এবং জুনে একজনের মৃত্যু হয়েছিল।

নতুন রোগীসহ বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত দেশের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ২ হাজার ৬৯৫ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। তাদের মধ্যে ঢাকায় ১ হাজার ৯১৫ জন ও ঢাকার বাইরে ৭৮০ জন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

এ বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ২৩ হাজার ২৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হন, যাদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২০ হাজার ৫০৪ জন।

আগের মাস সেপ্টেম্বরেই এ বছরের সর্বোচ্চ ৯ হাজার ৯১১ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন, অগাস্টে ভর্তি হয়েছিলেন ৩ হাজার ৫২১ জন। আর অক্টোবরের ১৩ দিনে ৭ হাজার ১৯০ রোগী ভর্তি হন।

এর আগে ২০১৯ সালে দেশে এক লাখের বেশি মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলেন। সরকারি হিসাবে তখন মৃত্যু হয়েছিল ১৬৪ জনের।

মাঝে এক বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ কিছুটা কম থাকলেও ২০২১ সালে ফের ৫৮ জেলায় ডেঙ্গু ছড়ায়। তাতে ২৮ হাজার ৪২৯ জন এ রোগ নিয়ে হাসপাতালে যায়, মৃত্যু হয় ১০৫ জনের।

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে যারা হাসপাতালে ভর্তি হন, শুধু তাদেরই তথ্য আসে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে। আক্রান্ত হয়েছেন কিন্তু হাসপাতালে ভর্তি হননি, এমন ব্যক্তিরা সরকারি হিসাবের বাইরেই থেকে যান।