ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত একদিনে দেশে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এ্ই রোগে এ বছর এটাই দিনে সর্বাধিক মৃত্যু।
মঙ্গলবার মারা যাওয়া পাঁচজনকে নিয়ে এ বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩১। এদের ১০ জনই মারা গেছেন সেপ্টেম্বরের প্রথম ছয় দিনে।
এর আগে অগাস্টে ১১ জন, জুলাইয়ে ৯ জন এবং জুন মাসে একজনের মৃত্যু হয়েছিল মশাবাহিত এই রোগে।
মঙ্গলবার একদিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৮৪ জন রোগী। এই সংখ্যাও এ বছর দিনে সর্বোচ্চ। এর আগে গত ৩ সেপ্টেম্বর দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ২৪৫ জন রোগী ভর্তি হয়েছিলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত একদিনে যে পাঁচজন মারা গেছেন, তাদের একজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং একজনের মৃত্যু হয়েছে বেসরকারি ডেল্টা মেডিকেল হাসপাতালে। বাকি তিনজনের মধ্যে একজন কক্সবাজারের, একজন চট্টগ্রামের এবং একজন বরিশাল বিভাগের।
এ পর্যন্ত যে ৩১ জন মারা গেছেন, তাদের ১৫ জনই কক্সবাজার জেলার।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বুলেটিনে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি রোগীর মধ্যে ২২৪ জন ঢাকার শহরের। ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৬০ জন রোগী।
গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকার বাইরে ভর্তি রোগীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৩৩ জন চট্টগ্রাম বিভাগের। তাদের ২২ জনই কক্সবাজার জেলার, ১১ জন চট্টগ্রামের।
এছাড়া ঢাকা বিভাগে (মহানগরের বাইরে) ৪ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১ জন, খুলনা বিভাগে ২ জন এবং বরিশাল বিভাগে ৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়।
বর্তমানে সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ৮৫০ রোগী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৭১১ জন। অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ১৩৯ জন।
বর্ষাকাল এলেই ডেঙ্গু রোগের জীবাণুবাহী এইডিস মশার উৎপাত বাড়ে। এ সময় এই মশার দংশনে আক্রান্ত হয়ে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যাও বাড়ে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, এ বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন সাত হাজার ৩৯৭ জন।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৩ হাজার ৫২১ জন রোগী ভর্তি হন অগাস্ট মাসে। এর আগে জুলাই মাসে ১ হাজার ৫৭১ জনই ভর্তি হয়েছিলেন।
এ ছাড়া জানুয়ারি মাসে ১২৬ জন, ফেব্রুয়ারি মাসে ২০ জন, মার্চে ২০ জন, এপ্রিলে ২৩ জন, মে মাসে ১৬৩ জন এবং জুন মাসে ৭৩৭ জন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।