Published : 25 Aug 2022, 02:16 PM
ঢাকা দক্ষিণ সিটি সময় বেঁধে দিলেও ওষুধের দোকান বা ফার্মেসি রাতে নির্দিষ্ট সময়ে বন্ধের নির্দেশনা কার্যকর হবে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেছেন, হাসপাতালের মত ওষুধের দোকানও জরুরি সেবার আওতাভুক্ত, এ কারণে ওষুধের দোকানগুলো সব সময় খোলা থাকবে।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সভা শেষে জাহিদ মালেক সাংবাদিকদের বলেন, ওষুধের দোকান বন্ধের সময় বেঁধে দেওয়ার সিদ্ধান্ত স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করে দেওয়া হয়নি। বিষয়টি নিয়ে সিটি করপোরেশনের সঙ্গে তাদের আলোচনা হচ্ছে।
“ওষুধের দোকান খোলা থাকবে। ফার্মেসিগুলোর কথা হয়ত বলেছে, সেগুলো খোলা রাখার ব্যবস্থা নেব। আমরা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি, বিষয়টি তাদের (সিটি করপোরেশন) সঙ্গে আলোচনা করে সুরাহা করার জন্য।”
বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে রাতে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত দোকান ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বন্ধের যে নির্দেশনা দিয়ে গত সোমবার একটি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।
রাত ৮টার পর দোকান, শপিংমল মার্কেট, বিপণিবিতান, কাঁচাবাজারসহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সময় বেঁধে দিয়ে সেখানে বলা হয়, আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে এ সূচি মেনে চলতে হবে।
নির্দেশনা অনুযায়ী দোকান, শপিংমল, মার্কেট, বিপণিবিতান, কাঁচাবাজার বন্ধ করতে হবে ৮টার মধ্যে। সকল প্রকার রেস্তোরাঁ, খাবারের দোকান রাত ১০টার মধ্যে বন্ধ এবং খাবার সরবরাহ রাত ১১টার মধ্যে শেষ করতে হবে। সিনেমা হলসহ চিত্ত-বিনোদনমূলক প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনাগুলো রাত ১১টার মধ্যে বন্ধ করতে হবে।
পাশাপাশি সাধারণ ওষুধের দোকান রাত ১২টায় এবং হাসপাতালের সঙ্গে সংযুক্ত নিজস্ব ওষুধের দোকান রাত ২টার মধ্যে বন্ধ করতে বলা হয়েছে সেখানে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বুধবার এক অনুষ্ঠানে বলেন, “ওষুধের দোকান বা ফার্মেসিকে আমরা সর্বোচ্চ সময় দিয়েছি।”
তবে ফার্মেসি বন্ধের ব্যাপারে স্বাস্থ্য বিভাগ কোনো নির্দেশনা দেয়নি জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “ওষুধের দোকান বন্ধ করার নির্দেশনা দিই নাই। ওষুধ জরুরি প্রয়োজনীয় সেবা। জরুরি সেবা দেয় এমন প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয় না।
“স্বাস্থ্যসেবা জরুরি সেবার আওতাভুক্ত। এ কারণে বিদ্যুত ব্যবহার নিয়ে সময়সীমা নির্ধারণের ক্ষেত্রে হাসপাতালকে এর বাইরে রাখা হয়েছে। আমরা কোনো হাসপাতালের টাইমিং কমাইনি, ২৪ ঘণ্টা বজায় রেখেছি। ডিজি অফিস এবং অন্যান্য অফিস ছাড়া সব হাসপাতাল তার নিজস্ব গতিতে চলবে। সেখানে সময়টা অপরিবর্তিত থাকবে।”
মন্ত্রী বলেন, “আমরা মনে করি ২৪ ঘণ্টা (ফার্মেসি) খোলা রাখা প্রয়োজন। যখনই আমরা শুনেছি তখনই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। খোলা থাকবে। তারা হয়তো বলেছিল রাতের বিষয় চিন্তা করে।”
বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে এর আগে সরকারের সিদ্ধান্তে গত ১৬ জুন থেকে রাত ৮টার পর দোকান, শপিংমল, মার্কেট, বিপণি বিতান, কাঁচাবাজার বন্ধ রাখার নির্দেশনা আসে।