মন্ত্রিসভার দ্বিতীয় সদস্য হিসেবে করোনাভাইরাসের টিকা নিয়েছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
Published : 28 Jan 2021, 03:59 PM
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কোভিড-১৯ টিকাদান বুথে গিয়ে টিকা নেন তিনি।
টিকা নেওয়ার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “ভালো লাগছে। তবে বিশেষ কিছু অনুভব করছি না। এটি অন্য সাধারণ টিকার মতই।”
এক বছরের মধ্যে ২১ লাখের বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নেওয়া করোনাভাইরাস থেকে মুক্তির জন্য টিকার অপেক্ষায় ছিল সারা বিশ্ব। বাংলাদেশের মানুষও এই মহামারীর মধ্যে করোনাভাইরাসের টিকার অপেক্ষায় ছিল।
কিন্তু ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাসের টিকা দেশে আসার আগে আগে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন ওঠে। নেতিবাচক কিছু রাজনৈতিক প্রচারও তার সঙ্গে যুক্ত হয়।
সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে টিকা আসার পর বুধবার দেশে করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই দিন রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ২৬ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মেডিকেল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালসহ পাঁচটি হাসপাতালে আরও ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে টিকা দেওয়া হচ্ছে।
সাধারণ মানুষ যাতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে টিকা নেন, তাতে উদ্বুদ্ধ করতে প্রথম দফায়ই টিকা গ্রহীতাদের তালিকায় নাম লেখাতে ঢাকা মেডিকেলে যান সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী খালিদ। তার আগে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক সকালে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে গিয়ে টিকা নেন।
টিকা নেওয়ার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী খালিদ বলেন, “দায়িত্বশীলতার জায়গা থেকে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে আজ টিকা নিতে এসেছি। সাধারণ মানুষ বুঝুক, এটি একটি নিরাপদ টিকা।”
কোভিড-১৯ টিকা নিয়ে গুজব ও অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয়ে সাধারণ মানুষকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে টিকা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী এ সময় টিকা নিয়ে গুজব ও অপপ্রচার রোধে সাংবাদিকদের ভূমিকা প্রত্যাশা করেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক এ সময় উপস্থিত ছিলেন।