মার্চের মধ্যে স্থানীয় স্বাস্থ্য সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে পরিষেবাগুলো স্থানান্তর করবে তারা।
Published : 25 Feb 2025, 09:30 PM
কামরাঙ্গীরচরে এক দশক ধরে চালিয়ে যাওয়া স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম শেষ করতে যাচ্ছে মেডিসিন্স স্যান্স ফ্রন্টিয়ার্স-এমএসএফ।
২০২৫ সালের মার্চের মধ্যে স্থানীয় স্বাস্থ্য সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে পরিষেবাগুলো স্থানান্তর করবে তারা।
রাজধানীর অদূরে শিল্প অধ্যুষিত এ এলাকায় বসবাসরত ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর সহায়তায় সরকার ও বেসরকারি সংস্থার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।
মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে এক অনুষ্ঠানে কামরাঙ্গীরচরে সেবা শেষের ঘোষণা দেয় এমএসএফ।
অনুষ্ঠানে বলা হয়, এমএফএস ২০১০ সাল থেকে কামরাঙ্গীরচরে শিশু অপুষ্টি, কিশোরীদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য, যৌন ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা থেকে বেঁচে ফেরাদের যত্ন এবং কারখানার শ্রমিকদের পেশাগত স্বাস্থ্য সেবা দিচ্ছে।
এজন্য কেরানীগঞ্জের আলী নগর ও মাদবর বাজারে ক্লিনিক পরিচালনা এবং কামরাঙ্গীরচর ৩১ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি হাসপাতালকে সহায়তায় কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি।
পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যসেবা, অনানুষ্ঠানিক কারখানাগুলোয় স্বাস্থ্যসেবার প্রবেশাধিকার উন্নত করা এবং পেশাগত স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে আউটরিচ কার্যক্রম চালিয়েছে এমএসএফ।
অনুষ্ঠানে কামরাঙ্গীরচরে এমএসএফের মেডিকেল টিম লিডার ক্রিস্টাবেল মাইয়েনগা বলেন, এ সময় ৭৭ হাজারেরও বেশি মানুষকে চিকিৎসাসেবা দিয়েছেন তারা। এদের মধ্যে ১৪ বছরের কম বয়সী প্রায় ১ হাজার শিশু রয়েছে।
"যদিও বাংলাদেশে কিছু কর্মক্ষেত্র উন্নত হচ্ছে, তবুও এই ঝুঁকিপূর্ণ পেশার প্রায় ৮৫ শতাংশ বিপজ্জনক রয়ে গেছে (বাংলাদেশ শ্রম শক্তি জরিপ ২০২২ অনুযায়ী)।"
এমএসএফের কামরাঙ্গীরচর হাসপাতালের প্রকল্প সমন্বয়কারী ক্রিস্টফ ফ্রিডল বলেন, ”কামরাঙ্গীরচরে এমএসএফের উপস্থিতি শেষ হলেও, অন্যান্য সংস্থা এ কাজ চালিয়ে নেবেন বলে আশা করছি।
“যৌন ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতায় থেকে বেঁচে ফেরাদের যত্ন এবং পেশাগত স্বাস্থ্যসেবার বিদ্যমান ঘাটতি পূরণে এগিয়ে আসবে। আমাদের ভিত্তির উপর নির্ভর করে এবং সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণদের জন্য ব্যাপক সেবার প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করবে।"
অনুষ্ঠানে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফাহমিদা আখতার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রিজওয়ানুর রহমান ও ডা. শেখ ছাইদুল হক উপস্থিত ছিলেন।