৫৯ শতাংশ নতুন লাইসেন্স পেতে কিংবা নবায়নের আবেদন করেছে, ৩৫ শতাংশ সেই আবেদন না করেই চলছে।
Published : 30 Aug 2022, 06:12 PM
দেশের বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে কেবল ৬ শতাংশ বৈধ লাইসেন্স নিয়ে কাজ করছে।
অবৈধ হাসপাতাল-ক্লিনিক বন্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অভিযানের মধ্যে মঙ্গলবার একটি গবেষণা জরিপের ফল প্রকাশ করে এই তথ্য জানাল আইসিডিডিআর,বি।
তাতে বলা হয়, স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৫৯ শতাংশ ৫৯ শতাংশ নতুন লাইসেন্স পেতে কিংবা নবায়নের আবেদন করেছে, তবে এখনও পায়নি। ৩৫ শতাংশ লাইসেন্স পাওয়া কিংবা নবায়নের আবেদন না করেই চলছে।
২০১৯-২০ সালে ইউএসএআইডির সহায়তায় ১২ সিটি করপোরেশন, ১০টি জেলার ২৯টি উপজেলায় জরিপ চালিয়ে এই চিত্র পাওয়া গিয়েছিল।
মঙ্গলবারের সভায় সেই জরিপের তথ্য উপস্থাপন করেন আইসিডিডিআর,বির ম্যাটার্নাল অ্যান্ড চাইল্ড হেলথ ডিভিশনের (এমসিএইচডি) জ্যেষ্ঠ পরিচালক ডা. শামস এল আরেফিন।
দুই বছর আগের এই পরিস্থিতির পরিবর্তন এখন হতে পারে বলেও জানিয়েছে আইসিডিডিআর,বি।
ডা.আরেফিন জানান, এ গবেষণা করতে গিয়ে ১ হাজার ১৮৯টি বেসরকারি হাসপাতালকে মূল্যায়নের সহযোগিতা চাওয়া হয়। তবে ৪০টি হাসপাতাল সহযোগিতা করেনি। ১ হাজার ১১৭টি প্রতিষ্ঠানকে মূল্যায়ন করা হয়।
জরিপের আওতায় আসা ১ হাজার ১১৭টি বেসরকারি হাসপাতালের মধ্যে ৯৫৬টি হাসপাতাল কোনো না কোনো সময় লাইসেন্স নিয়েছিল, যা মোট সংখ্যর প্রায় ৮৬ শতাংশ। বাকি ১৬১টি বেসরকারি হাসপাতাল কখনই লাইসেন্স নেয়নি, যা ১৪ শতাংশ।
আবার নিবন্ধনের আওতায় আসা ৯৫৬টি হাসপাতালের মধ্যে ৮৮৬টির (৭৯ শতাংশ) লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, ৬৬টি হাসপাতালের (৬ শতাংশ) বৈধ লাইসেন্স ছিল এবং বাকি ৪টি হাসপাতাল (শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ) এ বিষয়ে কোনো তথ্য জানায়নি।
নানা সময়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অভিযানের কথা তুলে ধরেই ডা.শামস আরেফিন বলেন, “দেশে বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে এক ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছে।”
আবার লাইসেন্স পেতে জটিলতার বিষয়টিও তুলে ধরে আইসিডিডিআর.বি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৮২ সালের অধ্যাদেশ অনুযায়ী লাইসেন্সিংয়ের কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা বা তা লঙ্ঘন হলে শাস্তির নির্দেশনা নেই। বেসরকারি স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানের মালিকরা লাইসেন্সের বৈধতার সংক্ষিপ্ত সময়সীমা, লাইসেন্স পেতে একাধিক ছাড়পত্র চাওয়া, আবেদনপত্র অনুমোদনের দীর্ঘ সময়, ছোট ক্লিনিকের ক্ষেত্রে চড়া ফিসহ বিভিন্ন সমস্যার কথা জানিয়েছেন।
গবেষণা প্রতিবেদনের ফল প্রকাশের এই সভায় ইউএসএআইডির সিনিয়র অ্যাডভাইজর (রিসার্চ, মনিটরিং, ইভ্যালুয়েশন অ্যান্ড লার্নিং) ড. কান্তা জামিল, ড. ফিদা মেহরান, ড. রিয়াদ মাহমুদ, আইসিডিডিআর,বির গবেষণা প্রধান (এমসিএইচডি) ড. কামরুন নাহার, ডেটা ফর ইম্প্যাক্টের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. মিজানুর রহমান, ডেটা ফর ইম্প্যাক্টের নলেজ ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড কমিউনিকেশন্স স্পেশালিস্ট সুস্মিতা খান এবং, আইসিডিডিআর,বির রিসার্চ ইনভেস্টিগেটর ড. শরিফ উদ্দীন লোটাস উপস্থিত ছিলেন।