বনানী, লালবাগ, যাত্রাবাড়ী ও খিলগাঁও এলাকায় এই অভিযান চালিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
Published : 29 Aug 2022, 05:30 PM
অনুমোদন ছাড়াই চিকিৎসা সেবা দেওয়ার অভিযোগে রাজধানীর ছয়টি এলাকায় অভিযান চালিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
সোমবার বনানীতে দুটি, লালবাগে দুটি, খিলগাঁও এলাকায় দুটি এবং যাত্রাবাড়ী এলাকায় দুটি ক্লিনিক ও হাসপাতাল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এই অভিযানে।
এ দিন দুপুরে বনানীর ১১ নম্বর সড়কের ১০৫ নম্বর বাড়িতে অবস্থিত হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট অ্যান্ড কসমেটিক সার্জারি সেন্টারে যান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
সেখানে কোনো চিকিৎসক ছিলেন না। নার্সরা লেজার রশ্মির মাধ্যমে চুল প্রতিস্থাপনের কাজ করছিলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. আহমেদুল কবীর বলেন, “ওই ক্লিনিকে ভারতের একজন বিখ্যাত চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের নাম ব্যবহার করা হচ্ছে। এক সময় তিনি এখানে আসতেন, কিন্তু এখন আসেন না। তার নাম ব্যবহার করে নিজেরাই চিকিৎসা দিচ্ছে।
“এখানে অপারেশন থিয়েটার থাকলেও সেটা পরিচালনার মতো কেউ নেই। এ কারণে ক্লিনিকটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।“
‘অবৈধ’ চিকিৎসা কেন্দ্র বন্ধে ফের অভিযানে নামছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
তিনি বলেন, “আমরা অনেকবার বলেছি- এগুলো করা উচিত না, করবেন না। কিন্তু তারা যেহেতু শোনেননি, এ কারণে আমরা নিজেরাই মাঠে নেমেছি। তাদের বন্ধ করে সিলগালা করে দেওয়া হবে।
“আমরা কারও শত্রু না, আমরা চাই- উনারা চিকিৎসা সেবা দিক, কিন্তু সেজন্য উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করুক। সেবার নামে প্রতারণা সহ্য করা হবে না।”
বনানীর ঢাকা পেইন অ্যান্ড স্পাইন সেন্টার, খিলগাঁওয়ের খিলগাঁও জেনারেল হাসপাতাল ও সেন্ট্রাল বাসাবো জেনারেল হাসপাতাল, মাতুয়াইলের কনক জেনারেল হাসপাতাল, শনির আখড়ার সালমান হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, বকশিবাজারের খিদমাহ লাইফ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার, চানখাঁরপুলের ঢাকা জেনারেল হাসপাতাল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এদিন।
গত ২৬ মে থেকে অনুমোদনহীন হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এক মাস ধরে চলা সেই অভিযানে ১ হাজার ৬৪১টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এরপর তিন মাস সুযোগ পেয়েও যেসব হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার কাগজপত্র হালনাগাদ করেনি, তাদের বিষয়ে রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ সম্মেলনে ডা. আহমেদুল কবীর বলেছিলেন, সারাদেশে প্রায় দুই হাজার হাসপাতাল, ক্লিনিক এবং ডায়াগনোস্টিক সেন্টার চলছে কোনো ধরনের অনুমোদন ছাড়াই।
এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অভিযান চলবে বলে জানিয়েছেন তিনি।