‘রেওয়াজ পারফরম্যান্স অ্যান্ড আর্টস সোসাইটি’ নামের সাংস্কৃতিক সংগঠনের 'রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল সংগীতে সম্রাট ও যুবরাজ' শীর্ষক এ আয়োজনে অংশ নেন দুই দেশের শিল্পীরা।
Published : 17 Jun 2023, 03:23 PM
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলামের গানে জমে উঠেছিল রাজধানীর বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তন। ভারত ও বাংলাদেশের শিল্পীদের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনায় দারুণ এক সন্ধ্যা কাটল সংগীতপ্রেমীদের।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ‘রেওয়াজ পারফরম্যান্স অ্যান্ড আর্টস সোসাইটি’ নামের সাংস্কৃতিক সংগঠনের 'রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল সংগীতে সম্রাট ও যুবরাজ' শীর্ষক এ আয়োজনে অংশ নেন দুই দেশের শিল্পীরা।
অধ্যাপক এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমানের স্বাগত বক্তব্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর আয়োজক সংগঠনের কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য কণ্ঠশিল্পী বীরমুক্তিযোদ্ধা শাহিন সামাদকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সম্প্রতি বাংলা একাডেমি পুরস্কার পাওয়ায় এই সংবর্ধনা দেওয়া হয় বলে জানান আয়োজকেরা।
এছাড়া দৃষ্টিজয়ীদের স্পর্শ ফাউন্ডেশনের কর্ণধার নাজিয়া জাবীনের হাতে ব্রেইল পদ্ধতির কয়েকটি বই তুলে দেন ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী আদিত্য নির্মল। এ সময় আদিত্য নির্মলকে প্রথমা প্রকাশনের ‘একাত্তরের চিঠি’ বইসহ ব্রেইল পদ্ধতির কয়েকটি বই উপহার দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল সংগীতে সম্রাট ও যুবরাজ প্রসঙ্গে আলোকপাত করে বক্তব্য দেন অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান।
এরপর শুরু হয় গানে গানে রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল এর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন। কিছু প্রচলিত ও অপ্রচলিত রাগের সংমিশ্রণে রবীন্দ্র ও নজরুলের গান পরিবেশিত হয়। বাংলাদেশ থেকে কণ্ঠশিল্পী ও নজরুল গবেষক সুজিত মোস্তফা ও কলকাতার শিল্পী স্বপ্ন রায় গান পরিবেশন করেন।
এই দুই শিল্পী প্রতিটি গান পরিবেশনের পর পর অদিত্য নির্মল ও দেবলীনা রায় ওই গানগুলোর রাগ পরিবেশন করেন। শাস্ত্রীয় সংগীত পরিবেশনার পাশাপাশি দৃষ্টিজয়ী শিল্পী আদিত্য নির্মল সঞ্চালনা করেন গানের পর্ব।
রাগেশ্রী, ইমন, দেশ রাগ পরিবেশনার সঙ্গে গাওয়া হয় ‘দাঁড়িয়ে আছ তুমি আমার গানের ও পারে’ বা ‘দাঁড়ালে দুয়ারে মোর কে তুমি ভিখারিনী’র মতো গানগুলো। এ আয়োজনে যন্ত্রসংগীতেও বাংলাদেশ ও ভারতের শিল্পীরা অংশ নেন যৌথভাবে। ২০টির বেশি পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শেষ হয় আয়োজন।
সুজিত মোস্তফার কণ্ঠে 'দাঁড়িয়ে আছ তুমি আমার গানের পাড়ে' গানটি দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয় এবং অদিত্য নির্মলের রাগ ভৈরবী দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।
অনুষ্ঠানে সহযোগী হিসেবে ছিল সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, প্রাণ গ্রুপ ও ঢাকা ইউনিভার্সিটি কালচারাল ফাউন্ডেশন।