‘ঝিন্দের বন্দী’র রিমেকে উত্তম এবং সৌমিত্রের চরিত্রে অভিনয় করবেন কলকাতার দুই অভিনেতা যিশু সেনগুপ্ত ও অনির্বাণ ভট্টাচার্য।
Published : 19 Dec 2023, 10:51 AM
যে সিনেমার জন্য ঘোড়ায় চড়া আর তলোয়ার খেলা শিখেছিলেন উত্তম কুমার এবং সৌমিত্র চটোপাধ্যায়, সেই ‘ঝিন্দের বন্দী’ ফের পর্দায় আসতে চলেছে ছয় দশক পর।
‘ঝিন্দের বন্দী’র রিমেকে উত্তম এবং সৌমিত্রের চরিত্রে অভিনয় করছেন কলকাতার দুই অভিনেতা যিশু সেনগুপ্ত এবং অনির্বাণ ভট্টাচার্য। সিনেমা পরিচালনার দায়িত্ব পড়েছে কলকাতার নির্মাতা অরিন্দম শীলের ওপর। আর প্রযোজনা করবে প্রযোজক প্রতিষ্ঠান এসভিএফ।
আনন্দবাজার লিখেছে, শরদিন্দু বন্দোপাধ্যায়ের বিখ্যাত উপন্যাস ‘ঝিন্দের বন্দী’র রাজা এবং খলনায়ক বাছতে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানকে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে।
শেষমেষ যিশু ও অনির্বাণকে নির্বাচিত করেন অনিন্দম, তাদেরকে মানানসই বলে ধরে নিয়েছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানও।
দুই প্রধান অভিনেতার মত নির্মাতা নিয়েও ঝক্কি গেছে। পরিচালক হিসেবে প্রথমে অঞ্জন দত্ত এবং পরে পররমব্রত চট্টোপাধ্যায় নাম শোনা গিয়েছিল। এখন ঠিক হয়েছে, অরিন্দমই পর্দায় তুলে আনবেন রাজা শঙ্কর সিংহ, গৌরি শঙ্কর আর ময়ুরবাহনকে ঘিরে ঝিন্দ-ঝড়োয়া রাজ পরিবারের গল্প।
উত্তম-সৌমিত্রের ‘ঝিন্দের বন্দী’ মুক্তি পায় ১৯৬১ সালে। সিনেমায় দ্বৈত চরিত্র করেছিলেন মহানায়ক উত্তম। রাজা শঙ্কর সিংহের অন্তর্ধান নিয়ে ঘনিয়ে ওঠে রহস্য। পরে দেখা যায় সিংহাসনের দখল পেতে রাজাকে গায়েব করে দেয় তারই এক ভাই। তারপর রাজ্যপাট চালিয়ে নিতে আসল রাজার জায়গায় সিংহাসনে বসে দূর দেশ থেকে আসা নকল রাজা গৌরী শঙ্কর। ঘটনার নানা পালাবদলে সেই নকল রাজার জীবনে জুটে যায় রাজ্য এবং রাজকুমারী দুটোই। এই দুই চরিত্রেই ছিলেন মহানায়ক।
অন্য দিকে খলনায়ক ময়ূরবাহনের চরিত্রে অভিনয় করেন সৌমিত্র। এই সিনেমা দিয়েই প্রথম খল চরিত্র করেন সত্যজিতের অপু।
তবে অরিন্দমের সিনেমায় যিশু এবং অনির্বাণের মধ্যে কে কোন চরিত্রে অভিনয় করবেন, তা এখনও ঠিক হয়নি বলে জানিয়েছেন নির্মাতা। চিত্রনাট্য নিয়ে এখন চূড়ান্ত পর্যায়ের কাজ করেছেন অরিজিৎ বিশ্বাস।