‘ফেরানো গেল না’ শিল্পী খালিদকে

সোমবার সন্ধ্যায় নিজের বাসায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন খালিদ, সঙ্গে সঙ্গে তাকে নেওয়া হয় কাছের কমফোর্ট হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 March 2024, 03:21 PM
Updated : 18 March 2024, 03:21 PM

‘কোনো কারণে, কোনো কারণেই ফেরানো গেলোনা তাকে, ফেরানো গেলোনা কিছুতেই.. সে যে হৃদয় পথের রোদে একরাশ মেঘ ছড়িয়ে হারিয়ে গেল নিমিষেই’- গানের কথাগুলোর মতোই হারিয়ে গেলেন কণ্ঠশিল্পী খালিদ।

না ফেরার দেশে চলে গেলেন চাইম ব্যান্ডের শিল্পী খালিদ; তার বয়স হয়েছিল ৬০ বছর।

সোমবার সন্ধ্যায় নিজের বাসায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন খালিদ, সঙ্গে সঙ্গেই তাকে নেওয়া হয় কাছের কমফোর্ট হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

গোপালগঞ্জে জন্ম নেওয়া এই শিল্পী ১৯৮১ সালে গানের জগতে যাত্রা করেন। ১৯৮৩ সালে যোগ দেন ‘চাইম’ ব্যান্ডে। তিনি চাইম ব্যান্ডের ভোকালিস্ট হিসেবে জনপ্রিয়তা পান।

'সরলতার প্রতিমা’, ‘যতটা মেঘ হলে বৃষ্টি নামে’, ‘কোনো কারণেই ফেরানো গেল না তাকে’, ‘হয়নি যাবারও বেলা’, ‘যদি হিমালয় হয়ে দুঃখ আসে’, ‘তুমি নেই তাই’ এমন বহু শোতাপ্রিয় গানে কণ্ঠ দিয়েছেন এ শিল্পী।

কবি সঞ্জিব পুরোহিত বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “খালিদ সন্ধ্যায় মারা গেছেন। মরদেহ এখন কমফোর্ট হাসপাতালে রয়েছে।”

তিনি হাসপাতালে থাকায় রুমান আব্দুল্লাহ নামের একজনের ফোন নম্বর দিয়ে বিস্তারিত জানতে বলেন।

রুমান আব্দুল্লাহকে ফোন করা হলে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সন্ধ্যার দিকে বাসাতেই হার্ট অ্যাটাক হয়, পরে কমফোর্ট হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতালে আনার আগেই মারা গেছেন।”

কবি সঞ্জিব বলেন, “আমেরিকা থেকে ফিরলেন সদ্য। ভাওয়াল ক্লাব ও দাঁড়কাকের যৌথ আয়োজনে চৈত্র সংক্রান্তি, ১৩ এপ্রিল শো ছিল। দুপুরেও উনাকে নিয়ে কথা হলো মাকসুদ ভাইয়ের সাথে।

“কিশোর বয়স থেকে আমি ‘নাতি খাতি বেলা গেল’ শুনতাম। আমার সন্তানকেও উনার গান শুনিয়ে ঘুম পাড়িয়েছি। তারপর একের পর এক মেলোডির জন্ম দিয়ে গেছেন। সেই সুরভি থেকে আমার কৈশোরকে আজ বিকেলে ছেঁকে তোলার প্ল্যানটা চিরতরে উবে গেল। আর কখনো তার বাইকের পেছনে বসা হবে না।”

শব্দ প্রকৌশলী ঈশা খান জানিয়েছেন, রাত ১১টায় গ্রিন রোড জামে মসজিদে জানাজা শেষে খালিদের মরদেহ গোপালগঞ্জে নেওয়া হবে। সেখানে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন হবে।