ভক্তদের আশ্বস্ত করে ব্রিটনি স্পিয়ার্স লিখেছেন, যতটা সম্ভব ভালো থাকার চেষ্টা করবেন তিনি।
Published : 20 Aug 2023, 01:23 PM
স্যাম আসগারির সঙ্গে সংসার ভাঙার বিষয়ে অবশেষে মুখ খুললেন যুক্তরাষ্ট্রের পপ সংগীত শিল্পী ব্রিটনি স্পিয়ার্স।
নিজেকে ‘শক্ত রাখার অবিরাম চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া’ এই শিল্পীর সোজাসাপ্টা কথা হল, তাদের সংসার ভাঙাগড়া বিষয়টি নিয়ে বাইরের কারও মাথা ঘামানোর কিছু নেই।
বিবিসি রোববার জানিয়েছে, ইনস্টাগ্রামে স্টোরিতে এক পোস্টে বিচ্ছেদ নিয়ে নিজের মতামত তুলে ধরেছেন ৪১ বছর বয়সী এই শিল্পী।
ব্রিটনি স্পিয়ার্স লিখেছেন, “এ কথা কারও অজানা নয় যে আসগারির সঙ্গে আমি আর থাকছি না। আমি কিছুটা বিপর্যস্ত…। আমি কারও কাছে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে চাই না। আমি মনে করি সত্যিই এটি কারও মাথা ঘামানোর বিষয় না।“
ব্রিটনি স্পিয়ার্সের সঙ্গে ১২ বছরের ছোট স্যাম আসগারির দেখা ২০১৬ সালে। সেসময় ব্রিটনি স্পিয়ার্স তার ‘স্লাম্বার পার্টি’ গানের ভিডিও শুট করছিলেন।
একজন অভিনেতাকে খুঁজছিলেন তিনি। আসগারির ছবি দেখেই তাকে কাজে নিয়ে নেন স্পিয়ার্স। এরপর এই অভিনেতাকে নিজের শরীর চর্চার ট্রেনার হিসেবেও নিয়োগ দেন।
বাবার আইনি অভিভাবকত্বের অর্গল থেকে মুক্তির পরই আসগারির সঙ্গে স্পিয়ার্স বাদগান সারেন ২০২১ সালে সেপ্টেম্বরে। বাগদানের ১০ মাস পর ২০২২ সালের জুনে ছোট পরিসরে, কিন্তু তারকাবহুল অনুষ্ঠানে তারা বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরেছিলেন।
গত বছরের এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের মাউই দ্বীপে অবকাশ যাপনের সময় মা হওয়ারও খবর দিয়েছিলেন স্পিয়ার্স।
কিন্তু বিয়ের ১৪ মাস পরই বিচ্ছেদের পথে হাঁটছেন এই দম্পতি। গত সপ্তাহে তারা বিচ্ছেদের আবেদনও করেছেন।
এর আগে আসগারি তাদের বিচ্ছেদের খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় জানালেও স্পিয়ার্সের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যাচ্ছিল না। ভক্তদের কৌতুহল ছিল স্পিয়ার্সের বক্তব্য জানার জন্য।
ইনস্টাগ্রামে শুক্রবারের পোস্টে ব্রিটনি স্পিয়ার্স বলেন, ”আমি চেষ্টা করেছি শক্ত থাকার। এবং আমার সোশাল মিডিয়া পেইজে, সমস্যার কোনো প্রভাব নাও দেখা যেতে পারে। অনেক সময়ে আমার আবেগ এবং অশ্রু দেখাতে চাইলেও কিছু কারণে সবসময়ই আমাকে আমার দুর্বলতাগুলোকে লুকিয়ে রাখতে হয়েছে।
“আমি যদি নিজেকে শক্ত না রাখতাম, যদি ভেঙে পড়তাম, তাহলে কবেই আমাকে ডাক্তারদের নিয়ন্ত্রণে চলে যেতে হত। হয়ত আমাকে দূরে চলে যেতে হত। কিন্তু আমার পরিবারের সঙ্গে থাকা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।“
ভক্তদের আশ্বস্ত করে এই শিল্পী বলেছেন, যতটা সম্ভব ভালো থাকার চেষ্টা করবেন তিনি।
এর আগে ইনস্টাগ্রামে আসগারি বলেন, “ছয় বছর পরস্পরের প্রতি ভালবাসা ও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকার পর আমার স্ত্রী আর আমি এই যাত্রা শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা পরস্পরের প্রতি ভালোবাসা ও সম্মান ধরে রাখব। সবসময় তার মঙ্গল কামনা করি।”
বিচ্ছেদের ঘটনায় ব্যক্তিগত বিষয়গুলো নিয়ে প্রশ্ন না করতে সংবাদ মাধ্যমসহ সকলের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন আসগারি।
তার কথায়, “ব্যক্তিগত বিষয়ে প্রশ্ন করা হাস্যকর মনে হয়। তাই মিডিয়াসহ সবাইকে বলব এ বিষয়টিতে সদয় আর চিন্তাশীল হতে।”
আসগারি পেশায় একজন অভিনেতা ও ফিটনেস ট্রেইনার। তার জন্ম তেহরানে, তবে যুক্তরাষ্ট্রে থিতু হন ১২ বছর বয়সে।
মাত্র ১৬ বছর বয়সে ‘বেবি ওয়ান মোর টাইম’ গান দিয়ে সুপারস্টার খ্যাতি পেয়ে যান ব্রিটনি স্পিয়ার্স। এরপর ‘টক্সিক’, ‘ওম্যানাইজার অ্যান্ড উফস’ ও ‘আই ডিড ইট এগেইন’ এর মত সুপারহিট গান গেয়েছেন এই তারকা।
আসগারির এটি প্রথম বিয়ে হলেও, স্পিয়ার্সের তৃতীয়। ২০১৪ সালে বাল্যবন্ধু জেসন আলেক্সান্ডারকে বিয়ে করেছিলেন ব্রিটনি স্পিয়ার্স। পরে তারা আলাদা হয়ে যান।
এরপর র্যাপার কেভিন ফেডারলিনের সঙ্গে সংসার শুরু করেন। ২০০৭ সালে সেই সম্পর্কেরও ইতি ঘটে। ওই সংসারে দুই সন্তান রয়েছে ব্রিটনি স্পিয়ার্সের।
পুরনো খবর
ব্রিটনি স্পিয়ার্স ও স্যাম আসগারির সংসার ভাঙল