২০টি ভিন্ন ভাষায় ১১ হাজারেরও বেশি গান গেয়ে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লিখিয়েছেন ভারতের এই প্রবাদপ্রতীম শিল্পী।
Published : 11 Feb 2024, 09:27 AM
আট দশক ধরে গানের তরী বেয়ে চলা শিল্পী আশা ভোঁসলে নব্বইয়ে এসেও মনে করেন, বয়স তার চল্লিশের চৌকাঠ পেরোয়নি। কেবল যখন নাতি-নাতনিদের দেখা পান, তখন মনের মধ্যে বয়স নিয়ে কিঞ্চিৎ খচখচনানি হয়।
৯০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বোম্বে টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন হিন্দি সিনেমার প্লেব্যাক সিঙ্গার আশা ভোঁসলে।
২০টি ভিন্ন ভাষায় ১১ হাজারেরও বেশি গান গেয়ে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লিখিয়েছেন ভারতের এই প্রবাদপ্রতীম শিল্পী।
বড় বোন লতা মঙ্গেশকরের হাত ধরে সংগীতজীবনে পা রেখেছিলেন আশা। সময়টা ছিল ১৯৪৩ সাল। প্রথম প্লেব্যাক করেন মারাঠি ছবিতে। এরপর ১৯৪৮ সালে ‘চুনারিয়া’ সিনেমায় ‘খাতু আয়া’ গানের মধ্য দিয়ে হিন্দি চলচ্চিত্রের প্লেব্যাক জগতে তার যাত্রা।
প্রথম এককভাবে হিন্দি গানে কণ্ঠ দেন ১৯৪৯ সালে। এরপরের এগিয়ে চলার পালা। বিশেষ করে সংগীত পরিচালক রাহুল দেববর্মণের সহধর্মিনী হওয়ার পর আশার ক্যারিয়ারে আসে গতি।
কীভাবে এই বয়সেও আশা এত সচল জানতে চাইলে তিনি বলেন, “যে নিজের বয়স সবসময় মাথায় রাখে, সে তাড়াতাড়ি বুড়িয়ে যায়। আমি এখনও মনে করি না যে আমার বয়স চল্লিশের চেয়ে একদিন বেশি। যখন আমার সন্তান, নাতি-নাতনিদের দেখি তখনই বুঝতে পারি যে অনেক সময় চলে গেছে।“
হাতে সময় থাকলে এখন তিনি সোশাল মিডিয়ার জন্য রিলস বানাতে ভালোবাসেন বলে জানান এই শিল্পী। এছাড়া বই পড়া এবং রান্না তার নেশা।
মারাঠি সাহিত্য,এবং মারাঠিতে অনুবাদ করা যে কোনো ভাষার উপন্যাস বা হিন্দি গল্প অর্থাৎ হাতের কাছে পড়ার উপযোগী যা পাওয়া যায়, তাই পড়েন আশা।
আর রান্নার প্রতি ভালোবাসা থেকেই ২০ বছর আগে রোস্তোরাঁ ব্যবসায় যুক্ত হন। অনেক দেশেই তার রেস্তোরাঁর শাখা আছে এখন। একবার এক সাক্ষাৎকারেও বলেছিলেন, গায়িকা না হলে পেশাদার রাঁধুনিই হতে তিনি।
তবে সব কিছুর মধ্যেই গানের রেওয়াজটাই তার কাছে মূল। কিন্তু রেওয়াজের কোনো নির্দিষ্ট সময় রাখেননি এই শিল্পী। ঘুম না এলে মধ্যরাতে, ভোররাতে বা সকাল বেলা অথবা বিকাল-সন্ধ্যা-রাত, মন চাইলেই তানপুরা ধরেন তিনি। সংবাদসূত্র: পিংকভিলা
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)