“নাক গলানো যাবে না। ছেলে-বউয়ের সম্পর্ক যাতে এগিয়ে যায়, সেজন্য মাকে একটু পেছাতে হয়,” বলেন শর্মিলা ঠাকুর
Published : 07 Apr 2023, 03:19 PM
মেয়ের আচরণ-মেজাজ সম্পর্কে মা অবগত থাকলেও ছেলে যখন বিয়ে করে ঘরে বউ আনে, সেই পুত্রবধূ শাশুড়ির কাছে নতুন মানুষ, তাই তাকে বুঝতে সময় লাগে। সেজন্য প্রথমেই বোঝাপড়ায় না গিয়ে ছেলের বউকে সংসারে স্বাগত জানিয়ে তাকে একটি স্বস্তিকর পরিবেশ দিতে হবে- এমন ভাষ্য বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুরের।
আর এই কথাগুলো তিনি বলেছেন তার একমাত্র ছেলের স্ত্রী নায়িকা কারিনা কাপুরকে। তারা দুজনেই মুম্বাইয়ের পতৌদি নবাব পরিবারের বউ।
ভারতীয় ক্রিকেটার মনসুর আলী খান পতৌদিকে বিয়ে করে শর্মিলা নবাব পরিবারে এসেছিলেন পঞ্চান্ন বছর আগে, ১৯৬৮ সালে। আর এই দম্পতির ছেলে নায়ক সাইফ আলী খানের দ্বিতীয় স্ত্রী কারিনা কাপুর, তাদের বিয়ে হয় ২০১২ সালে।
কারিনার চ্যাট শো ‘হোয়াট উইমেন ওয়ান্ট’–এ অতিথি হয়ে এসেছিলেন তার শাশুড়ি শর্মিলা। সেখানে ‘কন্যা বনাম পুত্রবধূ’ বিষয়ে দুজন কথা বলেন। শাশুড়ির কাছে নিজের মেয়ে এবং ছেলের বউয়ের মধ্যে তফাত কী, সেটা শর্মিলার কাছে জানতে চান কারিনা। এই প্রশ্ন ধরেই শর্মিলা তার শাশুড়ি-দর্শন তুলে ধরেন।
শর্মিলা বলেন, “মেয়ে যদি মায়ের সঙ্গে বড় হয়, সেই মেয়ের মেজাজমর্জি মায়ের জানা থাকে। মেয়ে কি পছন্দ করে, কিসে রেগে যায়, সবকিছু। তার সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে তাকে বড় করা তখন সমস্যা না। কিন্তু পুত্রবধূ যখন ঘরে আসে, তার সম্পর্কে তেমন কিছু শাশুড়ির জানা থাকে না। পরিবেশ ঠিক রাখতে সেই সময় বউমাকে সাদরে গ্রহণ করা ভালো। নতুন পরিবেশের সঙ্গে পত্রবধূ যাতে সহজ বোধ করে, সেটা তৈরি করা শাশুড়ির দায়িত্ব।
ছেলে ও বউমার যে কোনো বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা থেকে শাশুড়িদের বিরত থাকা ভালো বলে মনে করেন শর্মিলা।
“নাক গলানো যাবে না। ছেলে-বউয়ের সম্পর্ক যাতে এগিয়ে যায়, সেখানে মাকে একটু পেছাতে হয়। আমি যদি বলতে থাকি বউমা আমার ছেলে এটা করতে পছন্দ করে না, ওটা খেতে ভালোবাসে- তাহলে হবে না। তাদের নিজেদের সম্পর্ক শক্ত করতে সুযোগ দিতে হবে।“
কারিনার প্রশংসা করে শর্মিলা বলেন, “আমি দেখেছি, তুমি নিপুণহাতে সব সামলাও, হাসিমুখে। এই ভদ্রতা অবশ্যই কাপুর পরিবার থেকে অর্জন করেছ তুমি।“
পত্রবধূর প্রতি আস্থা জন্মেছে জানিয়ে শর্মিলা বলেন, তিনি যখন কারিনাকে মোবাইলে কোনো টেক্সট পাঠান, তিনি নিশ্চিত থাকেন, উত্তর আসবেই।