টাইমের ‘এন্টারটেইনার অব দা ইয়ার’ ব্ল্যাকপিংক

২০২০ সালে বিটিএসের পর  দ্বিতীয় কে-পপ ব্যান্ড হিসেবে ‘টাইম এন্টারটেইনার অফ দ্য ইয়ার’ খেতাবটি জিতলো ব্ল্যাকপিংক। 

গ্লিটজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Dec 2022, 11:48 AM
Updated : 8 Dec 2022, 11:48 AM

ইউরোপ থেকে এশিয়া, গানের উন্মাদনায় শ্রোতাদের বুঁদ করে রেখেছে জনপ্রিয় কে-পপ ব্যান্ড ব্ল্যাকপিঙ্ক। এবারে টাইম ম্যাগাজিনের ‘এন্টারটেইনার অফ দ্য ইয়ার’ হয়েছে কোরিয়ান পপের এই ব্যান্ড দল।

সিএনএন জানিয়েছে, ২০২০ সালে বিটিএসের পর তারাই দ্বিতীয় কে-পপ ব্যান্ড হিসেবে ‘টাইম এন্টারটেইনার অফ দ্য ইয়ার’ খেতাব জিতে নিল।

ব্ল্যাকপিংকের এজেন্সি ওয়াই জি এন্টারটেইনমেন্ট জানায় জিসু, জেনি, রোজ ও লিসাকে নিয়ে মেয়েদের মিউজিক গ্রুপ ব্ল্যাকপিংকের যাত্রা শুরু ২০১৬ সালের ৮ অগাস্ট। তাদের প্রথম অ্যালবাম ‘স্কয়ার ওয়ান’।

র‌্যাপার জেনি টাইমকে বলেন, “আমরা অনেক কাজ করেছি, যাতে, আমাদের হয়ত অতিমানবীর মত মনে হতে পারে। দিনে শেষে খুব সাধারণ মেয়ে আমরা।“

ব্যান্ডটির সাফল্য সম্পর্কে জেনি বলেন, “আমাদের দলটি হৃদয় থেকে গান গায়। যদি এটাকে ব্যবসা হিসেবে দেখতে চাই, তাহলে দারূণ কোনো কাজ আর হয়ত সম্ভব হবে না।”

ব্যান্ডটি তাদের ফ্যান ক্লাব ‘ব্লিংক’-কে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছে, “ভক্তদের শক্তির ওপর আস্থা আছে আমাদের। বিশ্বাস করি, তারা সবসময় আমাদের ভালোবাসবে এবং সমর্থন করবে। আমরা সবসময় আমাদের সেরাটুকু দেবার চেষ্টা করব।”

ভিন্নধর্মী গায়কী ও নাচের তালে মাত্র ছয় বছরেই তরুণ শ্রোতাহৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে ব্ল্যাকপিংক।

তাদের পাঁচটি মিউজিক ভিডিও ইউটিউবে ১০০ কোটি বার দেখা হয়েছে। ৮ কোটির বেশি সাবক্রাইবার রয়েছে তাদের।

২০২০ সালে মুক্তি পায় তাদের প্রথম স্টুডিও অ্যালবাম ‘দ্য অ্যালবাম’। এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে অ্যালবামটির ১০ লাখের বেশি কপি বিক্রি হয়। এছাড়া বিলবোর্ডের টপচার্টে শীর্ষস্থান দখল করে নেয় অ্যালবামটি।

অগাস্টে ‘পিংক ভেনম’ শিরোনামের গানটি নতুন করে আলোচনায় আনে দলটিকে। এরপর ওই মাসেই যুক্তরাষ্ট্রের এমটিভি ভিডিও অ্যাওয়ার্ডের মঞ্চে মঞ্চ মাতায় কোরিয়ান ব্যান্ডটি। 

সেপ্টেম্বররে মাঝামাঝি মুক্তি পায় তাদের দ্বিতীয় স্টুডিও অ্যালবাম ‘বর্ন পিংক’। বর্তমানে ব্যান্ডটি গানের পারফর্মেন্স নিয়ে বিশ্বভ্রমণে বেরিয়েছে। অক্টোবর থেকে ইউরোপের দেশে দেশে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ব্ল্যাকপিংক। সামনের বছরের জুন নাগাদ তারা আমেরিকা ও এশিয়া ভ্রমণে থাকবে।

ব্ল্যাকপিংকের দুনিয়াজোড়া খ্যাতির পেছনে দলের সব সদস্যের জন্মস্থানের বৈচিত্র্যকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।

যেমন রোজের জন্ম নিউ জিল্যান্ডে আর বেড়ে ওঠা অস্ট্রেলিয়ায়। জেনির জন্ম দক্ষিণ কোরিয়ায় হলেও এই গায়িকা বড় হয়েছে নিউ জিল্যান্ডে।

আর দলের নৃত্যশিল্পী লিসা থাইল্যান্ডের। জিসু একমাত্র সদস্য, যার জন্ম এবং বেড় ওঠা সবই দক্ষিণ কোরিয়ায়।