স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য দেন সহকর্মী ও স্বজনেরা।
Published : 20 Jan 2024, 11:36 AM
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে চলচ্চিত্র নির্মাতা সৈয়দ সালাহউদ্দীন জাকীর কফিনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শেষ বিদায় জানিয়েছে সর্বস্তরের মানুষ।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে এক ঘণ্টা তার মরদেহ শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে রাখা হয়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, সংগঠন ও সংস্কৃতি অঙ্গনের শিল্পীরা তাকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য দেন সহকর্মী ও স্বজনেরা।
একুশে পদকপ্রাপ্ত এই নির্মাতা সোমবার রাত ১১টা ৫৩ মিনিটে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৭৭।
শহীদ মিনারে তাকে শ্রদ্ধা নিবেদন করে অভিনেতা ও সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, “চলচ্চিত্র নিয়ে, সৃজনশীল কাজ নিয়ে তার মধ্যে এক ধরনের পাগলামি ছিল। সেই পাগলামি আমাদেরও উদ্বুদ্ধ করত, উৎসাহ যোগাত। আমরা সমবয়সী ছিলাম। জাকী যেভাবে সৃজনশীল কাজে সবাইকে অনুপ্রাণিত করত, সে জায়গাটায় শূন্যতা তৈরি হল।”
সাংস্কৃতিক সংগঠক রামেন্দু মজুমদার বলেন, “আমরা একজন পরিশীলিত, মার্জিত সৃজনশীল মানুষকে হারালাম। নাটকের মাধ্যমে তার সৃজনশীল কাজ শুরু হয়েছিল, পরবর্তীতে পুনে ফিল্ম ইন্সটিটিউটে পড়ালেখা করে এসে সুস্থ ধারার চলচ্চিত্র নির্মাণ করলেন। আমি তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।”
সালাহউদ্দীন জাকীর ছেলে শামস আদনান বলেন, “আব্বু দেশের সংস্কৃতি, সিনেমা, সংগীত, থিয়েটারকে ভীষণ ভালোবাসতেন। উনি কানাডায় চলে গিয়েছিলেন কিন্তু ফিরে এসেছেন। কারণ উনি বাংলাদেশকে এবং বাংলাদেশের মানুষকে ভীষণ ভালোবাসতেন।”
ঢাকা থিয়েটার ও গ্রাম থিয়েটার প্রধান নাসির উদ্দীন ইউসুফ জানান, জোহরের নামাজের পর ধানমন্ডির তাকওয়া মসজিদের তার জানাজা হয়। এরপর চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে শ্রদ্ধা জানানো শেষে আজিমপুর কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরে তাকে দাফনের কথা রয়েছে।
ঢাকা থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সালাউদ্দীন জাকী অভিনয় করেছিলেন মঞ্চে। আশির দশকে ‘ঘুড্ডি’ সিনেমা নির্মাণ করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান। এই সিনেমার জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। এরপর ‘লাল বেনারসি’, ‘আয়না বিবির পালা’সহ কয়েকটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন।
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)