তার মতে, সংগীত মানুষের জীবনের বিষণ্ণতা কাটাতে প্রভাব রাখতে পারে।
Published : 29 Nov 2024, 09:26 PM
প্রথমবারের মত গোয়া আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে যোগ দিয়ে বিশেষ এক সেশনে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যাগুলোর বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলেছেন অস্কারজয়ী সংগীত শিল্পী এ আর রহমান।
তার মতে, সংগীত মানুষের জীবনের বিষণ্ণতা কাটাতে ইতিবাচক প্রভাব রাখতে পারে।
ইন্ডিয়া টুডে লিখেছে, ছোট থাকতে একবার বিষণ্ণতায় ভুগে আত্মহত্যার চিন্তাও করেছিলেন রহমান। তবে মায়ের উপদেশে সেই কঠিন সময় উৎরে যেতে পেরেছেন।
সম্প্রতি ২৯ বছরের সংসার জীবনের ইতি টানার খবর দিয়েছেন এ আর রহমান। বিচ্ছেদ ঘোষণার এক সপ্তাহ পর ৫৫তম ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অব ইন্ডিয়ার (ইফি) একটি বিশেষ সেশনে তাকে প্রথমবারের মত প্রকাশ্যে দেখা যায়। সেখানে তিনি মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যাগুলো নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করেন।
রহমান বলেন, "আজকাল বেশি মানুষ বিষণ্ণতায় ভুগছেন, কারণ প্রত্যেকের জীবনেই একটি 'শূন্যতা' রয়েছে, যার সঙ্গে সবার লড়াই করতে হয়। এই শূন্যতা মানুষকে অসাম্প্রতিক করে তুলছে, আর অনেকেই জানেন না কীভাবে এই শূন্যতা পূরণ করা যায়।"
পরামর্শ দিয়ে এই শিল্পী বলেন, "পড়াশোনা, লেখা এবং সংগীত শোনা এই শূন্যতা পূরণ করতে সহায়ক হতে পারে। এছাড়া গল্প, দর্শন বা অনেক ধরনের বিনোদনের মাধ্যমে বিষণ্ণতা কাটানো যায়। শুধুমাত্র হিংসা কিংবা যৌনতা, শারীরিক চাহিদা মেটানোই জীবনের সব নয়। জীবনের পরিধি আরও অনেক বড়।"
এর আগে অক্সফোর্ড ইউনিয়নের এক অনুষ্ঠানেও মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে লড়াইয়ের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছিলেন রহমান। শৈশবে আত্মহত্যার চিন্তা করেছিলেন তিনি।
সেই অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, তার মা তাকে শিখিয়েছিলেন, "যখন তুমি অন্যদের জন্য বাঁচবে, তখন এসব চিন্তা তোমার মন থেকে চলে যাবে।"
এই উপদেশই তাকে মানসিক স্বাস্থ্যের কঠিন সময়গুলো কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করেছে।
রহমান বলেন, "আমার মা আমাকে বলতেন, স্বার্থপর না হয়ে অন্যদের জন্য কিছু কর, তখন তোমার জীবনে অর্থ তৈরি হবে। সেটা কারও জন্য গান তৈরি করা, অসহায় কাউকে সাহায্য করা বা এক টুকরো হাসি সংগ্রহ করা। ছোট ছোট এই কাজগুলোই আমাদের জীবনের মানে তৈরি করে।"
গত ১৯ নভেম্বর স্ত্রী সায়রা বানুর সঙ্গে বিবাহ-বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়ে এক্স পোস্টে রহমান লেখেন, “আশা করেছিলাম যে আমরা ৩০ বছর পূর্ণ করব। তবে সব কিছুরই একটা শেষ আছে। এমনকি এই ভগ্ন হৃদয়ের ভারে ঈশ্বরের সিংহাসনও কেঁপে উঠতে পারে।
“তবু, এই যন্ত্রণার মধ্যেও আমরা জীবনের অর্থ খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করব। জানি না এই ভগ্ন হৃদয় আর কখনও জুড়বে কি না। বন্ধুরা, আমাদের পরিবারের গোপনীয়তাকে সম্মান করার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ। আমরা খুব কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি।”
আরও পড়ুন: