বিধিমালা প্রণয়ন হলেই আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন শুরু হবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়
Published : 17 Sep 2024, 08:06 PM
চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইন থাকার পরও সেন্সর বোর্ড পুনর্গঠন করা নিয়ে সমালোচনার মুখে এর ব্যাখ্যা দিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিধিমালা প্রণয়ন করা যায়নি বিধায় সার্টিফিকেশন আইনটি কার্যকর করা সম্ভব হচ্ছে না। দ্রুততার সাথে বিধিমালা প্রণয়নের কাজ চলছে।
গত রোববার সেন্সর বোর্ড পুনর্গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। এরপরই মূলত চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে সমালোচনা আসতে থাকে।
তারা বলছেন, চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের দীর্ঘদিনের দাবির পর গত বছর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইন পাসের মাধ্যমে সেন্সর বোর্ডের প্রয়োজন ফুরিয়েছে।
এমনকি নতুন সেন্সর বোর্ডের দুইজন সদস্য চলচ্চিত্র নিমার্তা আশফাক নিপুণ এবং অভিনয়শিল্পী কাজী নওশাবা আহমেদও সার্টিফিকেশন আইনের পক্ষে কথা বলেছেন।
আগে থেকে সেন্সর বোর্ডবিরোধী অবস্থানের কারণে নতুন বোর্ড থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন নির্মাতা নিপুণ।
এর আগে গত ১২ মে এক বছরের জন্য চলচ্চিত্র সেন্সরবোর্ড গঠন করা হয়েছিল।
‘চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইন থাকার পরও কেন ‘সেন্সর বোর্ড” শিরোনামে সোমবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।
সেখানে নতুন সেন্সর বোর্ড গঠনকে ‘অবৈধ ও বেআইনি’ বলে মন্তব্য করেন ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক বেলায়াত হোসেন মামুন।
আওয়ামী সরকারের সবশেষ মেয়াদে ১৯৬৩ সালের ‘সেন্সরশিপ অব ফিল্মস অ্যাক্ট’ রহিত করে গত নভেম্বরে ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইন ২০২৩’ গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়। এর আগে ২৯ অক্টোবর সংসদে ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বিল, ২০২৩’ বিল পাস হয়।
মঙ্গলবার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইন, ২০২৩ এর উপ-ধারা ৩(৫) এ ‘বোর্ডের কার্যপদ্ধতি বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে’ এবং উপ-ধারা ৫(৬) এ ‘চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশনের শ্রেণীবিন্যাস ও মূল্যায়ন প্রতীক বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে’ মর্মে উল্লেখ রয়েছে।
“আইনটি গেজেট আকারে প্রকাশিত হলেও এ আইনের অধীনে এখনো বিধিমালা প্রণয়ন করা যায়নি বিধায় আইনটি কার্যকর করা সম্ভব হচ্ছে না। দ্রুততার সাথে বিধিমালা প্রণয়নের কাজ চলছে। বিধিমালা প্রণয়ন হলেই আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন শুরু হবে।”
সেন্সর বোর্ড পুনর্গঠনের ব্যাখ্যায় বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “চলচ্চিত্রের সেন্সর সনদ প্রদান সেন্সর বোর্ডের একটি নিয়মিত প্রক্রিয়া। সেন্সর সনদের জন্য কোনো চলচ্চিত্র জমাদানের পর সেন্সর বোর্ড কর্তৃক সেন্সর সনদ প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু করতে হয় বিধায় Censoship of Films Act, 1963 (Act No. XVIII of 1963) ও The Bangladesh Censorship of Films Rules-1977 অনুযায়ী বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড পুনর্গঠন করা হয়েছে।”