‘অ জেডা ফইরার বাপ’, ‘মেজ্জান দিয়ে মেজ্জান দিয়ে’, ‘মন হাচারা মাঝিরে তোর সাম্পানত চইড়তাম ন'সহ অসংখ্য জনপ্রিয় গানের গীতিকার ও সুরকার তিনি।
Published : 07 Apr 2024, 10:28 PM
চট্টগ্রামের আঞ্চলিক গানের গীতিকার ও সুরকার সৈয়দ মহিউদ্দিন ওরফে মহি আল ভান্ডারী মারা গেছেন।
রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চোখ বুজলেন ৭৭ বছর বয়সী মহি।
সৈয়দ মহিউদ্দিনের শিষ্য ও চট্টগ্রাম মঞ্চ সঙ্গীত শিল্পী সংস্থার সভাপতি শিল্পী আলাউদ্দিন তাহের বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানানন, গত ১৩ মার্চ স্ট্রোক করার পর থেকে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন এই তিনি।
দুপুরে নগরীর কাতালগঞ্জে কাতালপীর মসজিদে জানাজা শেষে বেলা ২টায় চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমিতে মরদেহ নেওয়া হয় শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য। সেখানে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠন তার মরদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী প্রয়াত গীতিকার ও সুরকারের মরদেহে শ্রদ্ধা জানিয়ে স্মৃতিচারণ করেন।
বিকালে জন্মগ্রাম ফটিকছড়ির সুয়াবিলে আবার জানাজা শেষে সেখানে তাকে সমাহিত করা হয়।
তিনি ‘অ জেডা ফইরার বাপ’, ‘মেজ্জান দিয়ে মেজ্জান দিয়ে’, ‘মন হাচারা মাঝিরে তোর সাম্পানত চইড়তাম ন' সহ অসংখ্য জনপ্রিয় গানের রচয়িতা ও সুরকার।
দীর্ঘদিন ধরে নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন চিরকুমার এই শিল্পী। নগরীর শুলকবহর এলাকার বাসায় তিনি একাই থাকতেন।
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি থানার সুয়াবিল গ্রামের প্রয়াত সৈয়দ আমির হোসেন ও সৈয়দা আনোয়ারা বেগমের সন্তান মহি কোনো এক অভিমানে ২১ বছর বয়সে বাড়ি ছেড়েছিলেন। ৫৬ বছর পর তিনি বাড়ি ফিরলেন কফিনিবন্দি হয়ে।
২০১৫ সালের ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের ডিসি হিলে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে মঞ্চ থেকে নামার সময় পা পিছলে পড়ে বাম হাত ও বাম পা ভেঙে যায় মহিউদ্দিনের। এরপর থেকেই তিনি নানা রোগে ভুগছিলেন।
১৯৮০ সালে বাংলাদেশ বেতার চট্টগ্রাম কেন্দ্রে গীতিকার হিসেবে তালিকাভুক্ত হন তিনি। কিছুদিন সাংবাদিকতাও করেছিলেন। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক গানের প্রায় সব শিল্পী তার লেখা ও সুর করা গান গেয়েছেন।