নারীদের নিয়ে সামাজিক সচেতনতামূলক #ভোগএম্পাওয়ার সিরিজের আওতায় মুক্তি পাওয়া ‘মাই চয়েস’ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটি সম্প্রতি ব্যপক সমালোচনার জন্ম দেয়। দিপিকা পাড়ুকোন অভিনীত চলচ্চিত্রটি নিয়ে প্রথমবারের মতো মুখ খুলেছেন এর নির্মাতা হোমি আদাজানিয়া।
Published : 11 Apr 2015, 01:22 PM
ভিডিওটির শুরু হয় দিপিকার কণ্ঠে “আমার শরীর, আমার মন, আমার সিদ্ধান্ত” সংলাপটি দিয়ে। সমাজে বিয়ে, যৌনতা, সন্তান নেওয়ার বিষয়ে নারীদের নিয়ে প্রচলিত ধারণা সম্পর্কে আরও বলা হয়, “আমার সিদ্ধান্ত। আমি বিয়ে করবো, না করবো না। বিয়ের আগে যৌন সম্পর্কে জড়াবো, বিয়ের বাইরে গিয়ে যৌন সম্পর্কে জড়াবো, নাকি জড়াবো না - এটা আমার সিদ্ধান্ত।"
আর এই বক্তব্যটিই সবচেয়ে বেশি বিতর্কিত হয়।
সম্প্রতি নিজের ফেইসবুক পেইজে হোমি লেখেন, আন্দামান দ্বীপপুঞ্জে অবস্থান করার কারণে দীর্ঘদিন যোগাযোগের আওতায় ছিলেন না তিনি। ‘মাই চয়েস’ সম্পর্কে তিনি লেখেন, " আমি আবারও বলতে চাই, আমাদের চলচ্চিত্র #মাইচয়েস সব নারীর সিদ্ধান্ত, তা যতই প্রথাবিরোধী হোক না কেন, তার নিজের।"
"বক্তব্যে যে কর্মের কথা বলা হয়েছে চলচ্চিত্রটি কোনোভাবেই তা সমর্থন বা প্রচার করে না এবং আমাদের সবাইকেই ফল বিচার করে জীবনে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এটা একটা আড়াই মিনিটের ভিডিও যেখানে কোনোভাবেই এত জটিল একটা ইস্যু পুরোপুরি তুলে ধরা সম্ভব নয় এবং এটা কেবল এই বিষয়টি প্রকাশ করার চেষ্টা করেছে যে, একজন নারীর সিদ্ধান্ত কেবল তার এবং অন্য কারও নয়।"
"যারা ভাবছেন এটি বৈষম্যমূলক এবং পুরুষবিদ্বেষী, তাদের জন্য বলছি, এই ভিডিও এমন মানুষকে উদ্দেশ্য করে বলা যার মানসিকতা সীমাবদ্ধ, তাদেরকে উদ্দেশ্য করে নয় যারা মুক্তমনা এবং নারীকে সম্মান করেন ও সমতার চোখে দেখেন।"
নিজের বক্তব্যের ইতি টেনে তিনি লেখেন, "মজার ব্যাপার হলো, ভুল বোঝাবুঝির কারণে #মাইচয়েস বিস্ফোরকভাবে ভাইরাল হয়েছে এবং লিঙ্গ সমতা নিয়ে কথা বলার ব্যাপারে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে যদি এমনটাই করতে হয়, তাহলে আমি আক্রমণের শিকার হতে এবং ভুল বোঝাবুঝির শিকার হতেও রাজি।"
২৮ মার্চ ইউটিউবে পোস্ট করা হয় ভিডিওটি। এখন পর্যন্ত ৮০ লাখ বার দেখা হয়েছে ‘মাই চয়েস’।