এক সময় পর্দা কাঁপিয়েছেন প্রবল দাপটে। কিন্তু নতুনদের স্থান ছেড়ে দিতে হবেই। তাই বলে দর্শকদের মনে তার স্থানটি মুছে যায়নি চিরতরে। সেই জন্যই হয়তো নিজেকে গুছিয়ে নিয়ে আবার ফিরছেন 'হিরো নাম্বার ওয়ান' গোবিন্দ।
Published : 10 Oct 2014, 05:53 PM
২০০৭ সালে 'পার্টনার' সিনেমার মাধ্যমে দীর্ঘদিন পর পর্দায় ফিরেছিলেন তিনি। সালমানের সঙ্গে জুটি বেঁধে সুপারহিটের মুখও দেখেন। এরপর বেশ কিছু কম বাজেটের কমেডি সিনেমায় তার উপস্থিতি তার পড়ে যাওয়া ক্যারিয়ারকে জোর করে টেনে তোলার চেষ্টা বলেই মনে হয়েছে। তাই আবার অভিনয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে হয়তো ভালোই করেছিলেন।
প্রায় ২৭ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে গোবিন্দ অভিনীত সিনেমার সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। কিন্তু সিনেমার জগত বরাবরই নিষ্ঠুর। গোবিন্দর ক্যারিয়ারের রেখা নিচের দিকে নামতে শুরু করে আসলে ২০০৫ সাল থেকেই। ২০০৬ সালে প্রিয়দর্শনের কমেডি 'ভাগাম ভাগ' তাকে খানিকটা আশার আলো দেখালেও তা নিভে যায় 'পার্টনার'-এর পরপরই। এরপর 'মানি হ্যায় তো হানি হ্যায়', 'লাইফ পার্টনার', 'নটি অ্যাট ফরটি'র মতো সিনেমা দর্শক গ্রহণ করেনি।
২০১৪ সালে এসে নতুন খেলাই দেখাতে যাচ্ছেন এই 'স্ট্রিট ড্যান্সার'। চলতি বছর মুক্তি পাওয়া আকশায় কুমার অভিনীত 'হলিডে' সিনেমাতে অতিথি চরিত্রে দেখা যায় গোবিন্দকে। তবে তার কয়েক সেকেন্ডের পর্দা উপস্থিতিই কেড়ে নিয়েছে দর্শকদের মন।
আগের মত আর নায়কের চরিত্রে না দেখা গেলেও জীবনে প্রথমবারের মতো নেতিবাচক চরিত্রে প্রতিভা দেখানোর জন্য প্রস্তুত গোবিন্দ। ক্যারিয়ারের এই দ্বিতীয় ইনিংসে নিজের খেলার ধরন অনেকটাই পালটেছেন ৫০ বছর বয়সী এই অভিনেতা।
তবে গোবিন্দকে হাস্যরসাত্মক চরিত্রে যারা দেখতে চান, তাদের বেশিদিন অপেক্ষা না করলেও চলবে। কারণ সাইফ আলি খানের নতুন সিনেমা 'হ্যাপি এন্ডিং'-এ তাকে দেখা যাবে পুরনো রূপেই। সিনেমায় আরও অভিনয় করেচেন ইলিয়ানা ডি ক্রুজ এবং কালকি কোচিন।
২০১৫ সালে মুক্তির অপেক্ষায় আছে 'হিরো'। সুভাষ ঘাইয়ের ক্লাসিক সিনেমাটির রিমেইকের মাধ্যমে অভিষেক হবে দুই তারকা সন্তান সুরাজ পাঞ্চোলি এবং আতিথ্যা শেঠির। এতে থাকবেন গোবিন্দও।
এছাড়া ২০১৫ সালে মুক্তি পাবে রানবির কাপুর অভিনীত 'জাগগা জাসুস' যেখানে রানবিরের সৎ বাবার ভূমিকায় দেখা যাবে গোবিন্দকে।