তথ্য প্রযুক্তি আইনে সাবেক স্ত্রী জিনাত কবির তিথির দায়ের করা মামলায় সংগীত পরিচালক শওকত আলি ইমনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
Published : 21 Aug 2014, 05:40 PM
বৃহস্পতিবার বিকালে ইমনের জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকার মহানগর হাকিম আমিনুল হক।
ইমনের আইনজীবী মোহাম্মদ আলী জামিন চেয়ে আদালতে বলেন, “তথ্য প্রযুক্তি আইনে ঘটনার সমর্থনে কোন কাগজপত্র, তথ্যপ্রমাণ দাখিল করা হয়নি। অথচ আইনে বাধ্যবাধকতা রয়েছে এ ধরনের মামলায় সেগুলো দাখিল বা আদালতে উপস্থাপন করার।”
বুধবার রাতে ইস্কাটনের বাসা থেকে ইমনকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন রমনা থানার এসআই একে আজাদ।
“ইমনের সাবেক স্ত্রী জিনাত কবির তিথি গত ১৮ অগাস্ট ইমনের বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে একটি মামলা করেন। এতে ইমনের বিরুদ্ধে তিথির নগ্ন ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়।”
দ্বিতীয় স্ত্রী তিথির অভিযোগের ভিত্তিতে এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো আদালতের মুখোমুখি হতে হলো ইমনকে।
২০১২ সালের ৫ই ডিসেম্বর ইমনের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও ধর্ষণের অভিযোগে রমনা থানা পুলিশ ইমনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের সময় তল্লাশি চালিয়ে ইমনের ইস্কাটনের বাসা থেকে অবৈধ মাদকদ্রব্য খুঁজে পায় পুলিশ। তার বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করা হয়।
৬ ডিসেম্বর পুলিশি হেফাজতে থাকা অবস্থাতেই তিথির সঙ্গে ইমনের বিয়ে হয়।
১১ ডিসেম্বর দুই মামলায় ইমনের জামিন হয়। জামিনে জেল থেকে বের হয়েই ইমন এ বিয়ে অস্বীকার করলে তিথি আবারও থানায় অভিযোগ করেন।
ইমন সংগীতের সঙ্গে জড়িত ছোটবেলা থেকেই। গত ২ দশকে তিনশ’রও বেশি ছবিতে সংগীত পরিচালনা করেছেন তিনি।
ইমনের প্রথম স্ত্রী বিজরী বরকতুল্লাহ। তাদের বিয়ে হয় ১৯৯৬ সালে। ২০১২ সালে তাদের বিচ্ছেদ হয়। তাদের একমাত্র সন্তান উর্বানা শওকত মায়ের সঙ্গে থাকেন।
ছবি: ফেইসবুক থেকে সংগৃহীত।