‘সালাম সালাম হাজার সালাম’ গানের গীতিকার ফজল-এ-খোদা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
Published : 02 Jul 2021, 01:13 PM
শ্বাসকষ্ট বাড়তে থাকায় বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান তার ছেলে সজীব ওনাসিস।
৮০ বছর বয়সী ফজল-এ-খোদা দীর্ঘদিন ধরে কিডনির জটিলতার সঙ্গে ডায়াবেটিসে ভুগছেন।
সজীব ওনাসিস বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, মঙ্গলবার তার বাবা ও মা মাহমুদা সুলতানার করোনাভাইরাস‘পজিটিভ’ আসার পর চিকিৎসকের পরামর্শে তারা বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
“বৃহস্পতিবার বাবার শ্বাসকষ্ট বাড়তে থাকলে উনাকে হাসপাতালের কোভিড ওয়ার্ডে ভর্তি করেছি। হাসপাতালে আপাতত কোনো আইসিইউ বেড খালি নাই; চিকিৎসকরা ব্যবস্থা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।”
১৯৬৩ সালে বেতারের তালিকাভুক্ত গীতিকার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন ফজল-এ-খোদা। অবসরে যান বাংলাদেশ বেতারের পরিচালক হিসেবে।
ফজল-এ-খোদার লেখা ও আব্দুল জব্বারের গাওয়া ‘সালাম সালাম হাজার সালাম’ একাত্তরে স্বাধীনতাকামী বাংলার মানুষকে উজ্জীবিত করেছিল।
এছাড়া ‘যে দেশেতে শাপলা শালুক ঝিলের জলে ভাসে’, ‘ভালোবাসার মূল্য কত আমি কিছু জানি না’, ‘কলসি কাঁধে ঘাটে যায় কোন রূপসী’, বাসন্তী রং শাড়ী পড়ে কোন রমণী চলে যায়’, আমি প্রদীপের মতো রাত জেগে জেগে’, ‘প্রেমের এক নাম জীবন’, ‘ভাবনা আমার আহত পাখির মতো, পথের ধুলোয় লুটোবে’র মতো শ্রোতাপ্রিয় গান লিখেছেন তিনি।
গান লেখার পাশাপাশি ছড়াকার, সংগঠক হিসেবেও পরিচিত ফজল-এ-খোদা। শিশু কিশোর সংগঠন শাপলা শালুকের আসরের প্রতিষ্ঠাতা তিনি। সত্তর দশকে তিনি শিশু কিশোরদের মাসিক পত্রিকা ‘শাপলা শালুক’ সম্পাদনা করেন।
তার লেখা ১০টি ছড়াগ্রন্থ, ৫টির কবিতার গ্রন্থসহ তার মোট ৩৩টি বই প্রকাশিত হয়েছে।