সোমবার সকালে সাভার থানায় ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর বিকালে উত্তরা থেকে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
এরপর রাত ৮টায় ঢাকার বনানীতে নিজের বাড়িতে সাংবাদিকদের সামনে আসেন তিনি; যেখানে আগের দিন সংবাদ সম্মেলন করে কান্নাজড়িত কণ্ঠে অভিযোগ জানিয়েছিলেন তিনি।
সোমবার পরীমনি বলেন, “আজকে আমি অনেক খুশি। আজকে অনেক শান্তি লাগতেছে। এত তাড়াতাড়ি জিনিসগুলো হয়েছে, এতটা আশাও করেছিলাম না। আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞ, যারা আমার পাশে ছিলেন, আমাকে সাপোর্ট করেছেন।”
ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ নিয়ে নিয়ে গত বুধবার রাতে বনানী থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গিয়েও কোনো সহায়তা পাননি বলে জানিয়েছিলেন পরীমনি।
চার দিনে যারা ঘটনাটি জেনেছেন, তাদের অনেকেও উল্টো ‘দমিয়ে রাখার’ চেষ্টা করা হয় বলে জানান পরীমনি।
বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, “এই লড়াইটা কতটা কঠিন, সেটা গত চার দিনে আমি বুঝে গেছি। আমি যতক্ষণ না সুবিচার পাব, ততক্ষণ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যেতে চাই। আমি অনেক ভরসা পাচ্ছি। আমি উঠে দাঁড়ানোর মতো ভরসা পাচ্ছি। এখন পুরোটা লড়তে চাই।”
এর আগে সংবাদ সম্মেলনে আসামিদের সঙ্গে প্রভাবশালীদের যোগাযোগের অভিযোগ তুলেছিলেন পরীমনি।
সেক্ষেত্রে তদন্ত প্রভাবিত হতে পারে বলে কোনো শঙ্কা আছেন কি না- এ প্রশ্নের জবাবে পরীমনি বলেন, “যারা দায়িত্ব নিয়েছেন। সত্যিই সাহস পাচ্ছি এবার। আমার আইনের উপর আস্থা আছে। আমার তো মামলাই নেওয়া হচ্ছিল না। সবাই এখন আমার পাশে আছে। আমার এখন ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই।”