সাজসজ্জা ও আধুনিকায়নে ৭ কোটি টাকা চেয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) পাঠিয়েছে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি)।
Published : 05 May 2020, 08:48 PM
‘সাজসজ্জা, আধুনিকায়ন ও ডিজিটাল প্রযুক্তির উপযোগিতা’ শীর্ষক প্রস্তাবনাটি গত ২৪ মার্চ তথ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে নিশ্চিত করেছেন এফডিসির পরিচালক (কারিগরি ও প্রকৌশল) কে. এম আইয়ুব আলী।
তথ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (পরিকল্পনা) রবিউল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে জানান, প্রকল্প প্রস্তাবনাটি তারা পেয়েছেন; করোনাভাইরাস পরিস্থিতি কেটে গেলেই ফাইলটি যাচাই কমিটির বৈঠকে তোলা হবে।
“ফাইলটি বৈঠকে তোলার পর সেখান থেকে প্ল্যানিং কমিশনে পাঠানো হবে। আদৌ কোনো অর্থ দেওয়া হবে কিনা অথবা কী পরিমাণ অর্থ দেওয়া হবে-তা সেখানেই তা চূড়ান্ত করা হবে।”
বছর খানেক আগেও সাজসজ্জা ও আধুনিকায়নের জন্য প্রায় ৫ কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাবনা তথ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছিল এফডিসি; তবে সেটি অনুমোদন করেনি প্ল্যানিং কমিশন।
চলতি বছরের মার্চে ক্যামেরা ও যন্ত্রপাতি কেনা বাবদ ২৮ কোটি টাকার প্রকল্প প্রস্তাবনার সঙ্গে সাজসজ্জা ও আধুনিকায়নের প্রকল্পটি আবারও জুড়ে দিয়ে পাঠানো হয়েছে মন্ত্রণালয়ে।
এফডিসির কী কী উন্নয়নে এই অর্থ খরচ হবে?-এমন প্রশ্নের জবাবে পরিচালক আইয়ুব আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, এফডিসির রাস্তার দুই ধারে সৌন্দর্যবর্ধন করা হবে; সঙ্গে মেকআপ রুমে কিছু ফার্নিচার কেনা হবে। সঙ্গে আনুষঙ্গিক খরচও রয়েছে এর মধ্যে।
কয়েক বছর ধরেই এফডিসিকে মন্ত্রণালয় থেকে নিয়মিত অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হলেও প্রতিষ্ঠানটি তা কাজে লাগাতে পারছে না বলে জানান তথ্য মন্ত্রণালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা।
নিজস্ব তহবিলে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায় অনুদানের উপর নির্ভর করে এফডিসিতে চলতে হচ্ছে বলে স্বীকার করেছেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) নুজহাত ইয়াসমিন।
লোকসানের মুখে থাকা প্রতিষ্ঠানটিকে ‘স্বাবলম্বী’ করতে কয়েক বছর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫৮ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন করলেও তা পুরোপুরি কাজে লাগাতে পারেনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তথ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, “ওরা বলেছিল, কিছু ক্যামেরা ও মেশিনারি কিনলে নিজেদের চলার মতো আয় হবে। সেই অর্থে বেশ কয়েকটি ক্যামেরাও কেনা হয়েছিল। তবে সেই পরিমাণ আয় হচ্ছে না। এমনকি নিজেদের কর্মীদের বেতনও দিতে পারছে না।”
মার্চ ও এপ্রিল মাসের বেতন দিতে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে চলতি মাসে ৬ কোটি টাকা অনুদান নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।