দম বন্ধ লাগছে, গানে ফিরতে চাই: এন্ড্রু কিশোর

একের পর এক কেমোথেরাপিতে জর্জরিত হয়ে হাসপাতালের বন্দিজীবন ছেড়ে সুস্থ হয়ে গানের জগতে ফিরতে চান বাংলা চলচ্চিত্রের গানের অগ্রগণ্য সংগীতশিল্পী এন্ড্রু কিশোর।

সাইমুম সাদবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Nov 2019, 12:33 PM
Updated : 30 Nov 2019, 12:33 PM

ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে গত তিন মাস ধরে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি।

সিঙ্গাপুর থেকে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “হাসপাতালে আমার দম বন্ধ লাগছে। সুস্থ হয়ে আমি গানে ফিরতে চাই। দেশবাসীর কাছে দোয়া চাইছি।”

সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝির দিকে তার শরীরে ক্যানসার ধরা পড়ার পর ইতোমধ্যে তাকে প্রথম সাইকেলে ১২টি কেমোথেরাপি দেওয়া হয়েছে। ২৬ নভেম্বর থেকে দ্বিতীয় সাইকেলের কেমো শুরু হয়েছে।

সব কেমো নিতে তাকে আরও তিনমাসের মতো সিঙ্গাপুরে অবস্থান করতে হবে। তার চিকিৎসায় নিতে প্রায় দুই কোটির মতো টাকা খরচ হবে।

এতো বড় অংকের অর্থের ভার নিজের পরিবারের পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়। বাধ্য হয়ে ‘গো ফান্ড মি’ নামের এক ওয়েবসাইটে সহায়তার আবেদন জানিয়েছেন তার স্ত্রী লিপিকা এন্ড্রু।

তবে সেখান থেকে এখন অব্দি উল্লেখ্যযোগ্য সাড়া মেলেনি বলে জানালেন এন্ড্রু কিশোর। এর বাইরে ব্যক্তি উদ্যোগে তার সহশিল্পীরা সহযোগিতা করছেন তার।

সাবিনা ইয়াসমিন, কুমার বিশ্বজিৎ, রিজিয়া পারভীন, সামিনা চৌধুরীসহ আরও অনেকে তার নিয়মিত খোঁজখবর নিচ্ছেন।

এর মধ্যে চিকিৎসা সহায়তার জন্য অর্থ সংগ্রহের নামে ফেইসবুকে বিভিন্ন বিকাশ নাম্বার ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট দিয়ে এক শ্রেণির প্রতারক প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে বলে জানান শিল্পীর শিষ্য মোমিন বিশ্বাস।

তিনি বলেন, “গো ফান্ড মি’ ছাড়া আর কোনো বিকাশ নাম্বার কিংবা কোনো ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে তার চিকিৎসায় অর্থ সংগ্রহ করা হচ্ছে না।”

ক্যানসার ধরা পড়ার আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে চিকিৎসার জন্য ১০ লাখ টাকার চেক দিয়েছিলেন।

“আপা বলেছিলেন, ‘এটা দিয়ে তুমি চেকআপ করাও’। সেখান থেকে সিঙ্গাপুরে চেকআপে এলাম, ডাক্তার বললেন, ক্যান্সার ধরা পড়েছে। এখনও চিকিৎসা করাতে হবে। আমাকে ভর্তি করাতে হবে।”

তিনি বললেন, আমার ক্যানসারের খবরটি আপা (প্রধানমন্ত্রী) হয়তো জানেন না। আমার বিশ্বাস, জানলে হয়তো কোনো উদ্যোগ নেবেন।

১৯৭৭ সালে ‘মেইল ট্রেন’ চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে প্লেব্যাকে যাত্রা শুরু করা এন্ড্রু কিশোর আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন।

‘জীবনের গল্প আছে বাকি অল্প’, ‘হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস’, ‘ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে’, ‘আমার সারা দেহ খেও গো মাটি’, ‘আমার বুকের মধ্যে খানে’সহ অসংখ্য জনপ্রিয় বাংলা গান উপহার দিয়েছেন শ্রোতাদের।