বিতর্ক যেন শাকিব খানের নিত্যদিনের সঙ্গী। এবার শিল্পী সমিতির ভোট গণনার সময় মধ্যরাতে নির্বাচনী ভোটকেন্দ্রে ঢুকে তোপের মুখে পড়ে আবারো নতুন বির্তকের জন্ম দিলেন শাকিব খান।
Published : 06 May 2017, 09:22 PM
শুক্রবার দিনভর তেমন কোনো অনাকাঙ্খিত ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয় শিল্পী সমিতির নির্বাচন। সন্ধ্যা ৭টার কিছুটা পর থেকে শুরু হয় নির্বাচনের ভোট গণনা। বেশ সুষ্ঠুভাবেই ভোট গণনা চললেও রাত দেড়টার দিকে নির্বাচনী ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করেন শাকিব খান। সে সময় অনেকের বাধা-নিষেধ সত্ত্বেও জোর করে তিনি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে ঢুকে যান।
এর প্রতিবাদ জানান সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী জায়েদ খানসহ সহ অন্যান্য শিল্পী ভোটাররা। সেই সময় চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির কার্যালয়ের বাইরে অবস্থান করা নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন পদপ্রার্থী ও সাধারণ ভোটাররা বিক্ষোভ শুরু করেন। তাদের বিক্ষোভের মুখে এফডিসি প্রাঙ্গন ছেড়ে চলে যান ঢালিউডের এই সুপারস্টার।
এ বিষয়ে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার মনতাজুর রহমান আকবর গ্লিটজকে বলেন, “শাকিব খান হঠাৎ করেই মধ্যরাতে এসেছেন। তার এই হঠাৎ উপস্থিতি তার প্রতিপক্ষের ভোটাররা খুব ভালোভাবে গ্রহন করতে পারেন নাই। তার এই অনাধিকার প্রবেশকে ঘিরে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির কার্যালয়ের বাইরে ভোটারদের মধ্যে বেশ হট্টগোল শুরু হয়।”
তিনি আরো বলেন, “নির্বাচন কমিশনের ভিতরে প্রবেশ করতে হলে আমার অনুমতি নিয়েই প্রবেশ করতে হবে। কিন্তু তিনি সেটাও নেননি। পরবর্তীতে পুলিশের পাহাড়ায় তাকে তার গাড়িতে তোলা হয়। এরপরে বাহিরে কি হয়েছে সেই ব্যাপারে আমি কিছুই বলতে পারবো না।’
তবে এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশন শাকিব খানের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ গ্রহন করবেন কিনা জানতে চাইলে গ্লিটজকে আকবর বলেন, “এখন এই বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করবে না। তবে যারা চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে নির্বাচিত হয়েছেন, এটা এখন তাদের দেখার বিষয়।”
এবারের চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে তিনটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। প্যানেল তিনটি হলো ওমর সানি-অমিত হাসান, মিশা সওদাগর-জায়েদ খান এবং ড্যানি সিডাক-ইলিয়াস কোবরা। নির্বাচনে সভাপতি পদে ২৫৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মিশা সওদাগর। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ওমর সানি পেয়েছেন ১৫৩ ভোট। অপরদিকে ২৭৯ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন জায়েদ খান। তার প্রতিদ্বন্দ্বী অমিত হাসান পেয়েছেন ১৪৫ ভোট।