উচ্চ শুল্কের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের নিজেরই প্রবৃদ্ধি ০.৫ শতাংশ কমে যেতে পারে। আর যেসব দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে, তারা যদি প্রতিশোধমূলক শুল্ক আরোপ করে, তাহলে পুরো বিশ্ব অর্থনীতি একটি বড় ধাক্কার মুখে পড়বে।
Published : 09 Mar 2025, 08:09 PM
রিপাকলিকান দল থেকে মনোনীত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতা হাতে নিতে না নিতেই বিশ্ব বাণিজ্যের জগতে তুমুল ঝড় বইয়ে দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান কয়েকটি আমদানি পণ্যের ওপর ১০ থেকে ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক বসিয়ে দিয়েছেন। হুমকি দিয়ে বলেছেন, প্রয়োজনে তিনি সর্বজনীন একটি শুল্ক ব্যবস্থা প্রচলন করবেন যেখানে সকল দেশের পণ্যের ওপর বর্তমান ২.৫ শতাংশের চেয়ে ঢের বেশি শুল্ক দিতে হবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই নীতি জেনারেল অ্যাগ্রিমেন্ট অন ট্যারিফস অ্যান্ড ট্রেড (GATT)-এর উরুগুয়ে রাউন্ডের সিদ্ধান্তের পরিপন্থী। ওই সিদ্ধান্তের অংশ হিসেবে বহুপক্ষীয় ও দ্বিপক্ষীয় আলোচনা এবং যুক্তিতর্কের মাধ্যমে শুল্কের হার নির্ধারণ করা হয়েছিল। নিজেদের শিল্প বাঁচাতে ট্রাম্প তার আগের শাসনকালেও এমন অসম শুল্ক আরোপ করেছিলেন, যার ফলে মার্কিন অর্থনীতি বা বিশ্ব অর্থনীতির কোনো উপকার না হয়ে বরং সামগ্রিক ক্ষতিই হয়েছিল।
প্রথমবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবার পর ট্রাম্প প্রশাসন ২০১৮ সালে তাদের বাণিজ্য আইনের ৩০১ ধারা প্রয়োগ করেন। এর মাধ্যমে বুদ্ধিবৃত্তিক ও প্রযুক্তি স্থানান্তর সম্পর্কিত ‘অন্যায় বাণিজ্য অনুশীলন’-এর অভিযোগে চীনা আমদানির ওপর প্রায় ৪০০ বিলিয়ন ডলার অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা হয়।
অর্থনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন, এবার উচ্চ শুল্কের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের নিজেরই প্রবৃদ্ধি ০.৫ শতাংশ কমে যেতে পারে। আর যেসব দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে, তারা যদি প্রতিশোধমূলক শুল্ক আরোপ করে, তাহলে পুরো বিশ্ব অর্থনীতি একটি বড় ধাক্কার মুখে পড়বে।
যদি শুল্ক বৃদ্ধি আমদানি উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দেয়, তবে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি কিছুটা হ্রাস পাবে। স্বল্প বাণিজ্য ঘাটতি সাধারণত ডলারকে শক্তিশালী করে, কারণ এর অর্থ হলো যুক্তরাষ্ট্র বিদেশে কম ডলার পাঠাচ্ছে। তবে, রপ্তানিকারক দেশগুলো যদি প্রতিশোধমূলক শুল্ক আরোপ করে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের রপ্তানি কমে যাবে, ফলে বাণিজ্য ভারসাম্যের ওপর একটি নিরপেক্ষ প্রভাব পড়তে পারে।
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার নিয়মে (প্রকৃতপক্ষে পূর্ববর্তী GATT আলোচনার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী) আর্টিকেল ২৮-এ বলা আছে, সংস্থার যেকোনো সদস্য একতরফাভাবে তার শুল্ক প্রতিশ্রুতি পরিবর্তন করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র মুখে এটা বলছে না যে তারা এই আর্টিকেল ব্যবহার করছে, কিন্তু তাদের আচরণে বোঝা যাচ্ছে, “চলো, আমরা আলোচনায় বসি এবং নতুন করে পারস্পরিক শুল্ক নির্ধারণ করি।” ওয়াশিংটন এখন সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে শুল্ক ছাড়ের বিষয়ে একটি নতুন ভারসাম্য স্থাপন করতে চায়।
শুল্ক আলোচনার ক্ষেত্রে ‘ডি ফ্যাক্টো’ নতুন একটি ‘রাউন্ড’ শুরু করতে কিছুটা সময় লাগবে। তবে, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার নিয়মের অধীনে এ ধরনের ব্যতিক্রমী আলোচনা কোনো নির্দিষ্ট দেশ দ্বারা প্রতিরোধ করা যায় না। যখন আর্টিকেল ২৮ অনুযায়ী শুল্ক নিয়ে আলোচনা ব্যর্থ হয়, তখন পরিবর্তন প্রস্তাবকারী দেশ তার পছন্দমতো একতরফাভাবে প্রস্তাব বাস্তবায়ন করতে পারে।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রাক্তন মহাপরিচালক এবং ইউরোপের একজন শীর্ষ বাণিজ্য আইন বিশেষজ্ঞ হার্ভে জোউয়ানজিয়ান, জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন কেন্দ্রের অধ্যাপক ও প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রদূত (USTR)-এর সাধারণ পরামর্শদাতা এবং বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার আপিল বিভাগের সদস্য জেনিফার হিলম্যান এবং জেনেভা গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক জুস্ট পাউলিন সম্প্রতি একটি গবেষণাপত্রে (How the US Reciprocal Tariff Plan Could Save the WTO) সম্পূর্ণ ভিন্ন মত প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, “আপনি যদি ইকোনমিস্ট সাপ্তাহিককে জিজ্ঞাসা করেন ট্রাম্পের শুল্ক আরোপ ‘বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যের জন্য সত্যিই বিশৃঙ্খলা’ কিনা, তাহলে আমরা বলতে চাই, যদি ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতি সঠিকভাবে পরিচালিত হয়, তবে বিপরীতটাই সত্য হতে পারে: বৈশ্বিক বাণিজ্যে একটি নতুন ভারসাম্য আসতে পারে এবং বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার পুনর্জাগরণ ঘটতে পারে।”
তারা আরও বলেন, “আমরা মনে করি, বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য সহযোগিতার প্রাচীর পুনর্নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় মূল ইটগুলোর মধ্যে একটি হলো বাণিজ্য নীতি।” বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার আপিল বিভাগ বর্তমানে কার্যত অচল, কারণ যুক্তরাষ্ট্র এখানে বিচারক নিয়োগে বাধা দিয়ে রেখেছে। ওয়াশিংটনের ধারণা, গত ৩০ বছর ধরে তারা একতরফাভাবে বিভিন্ন দেশকে শুল্ক সুবিধা দিয়ে এসেছে, যার বিনিময়ে তাদের নিজেদের আর্থিক ও অন্যান্য ক্ষতি হয়েছে।
দুর্বল হতে পারে ডলার
যদি শুল্ক আরোপ অর্থনীতিতে মন্দা বা গতি শ্লথ করে দেয়, তবে বিনিয়োগকারীরা যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংককে সুদের হার কমানোর জন্য চাপ দিতে পারে। এমনটা ঘটলে ডলার দুর্বল হয়ে পড়বে, কারণ সুদের হার বেশি থাকলেই অন্য দেশের বিনিয়োগকারীরা ডলারে তাদের অর্থ জমা রাখে। আবার, বিদেশি দেশগুলো যদি মার্কিন শুল্কের জবাবে প্রতিশোধমূলক শুল্ক আরোপ করে, তবে তা মার্কিন রপ্তানিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। এতে ডলারের চাহিদা কমে যাবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। চীনের মতো আর্থিকভাবে শক্তিশালী দেশগুলো নিজেদের মুদ্রার অবমূল্যায়ন ঘটিয়ে শুল্কের প্রভাব মোকাবিলা করতে পারে।
ক্ষতিগ্রস্তরা যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যবলয় ত্যাগ করতে পারে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অতিরিক্ত শুল্কের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো নিজেদের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদার করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, গত ট্রাম্প শাসনকালে মার্কিন শুল্কের জবাবে চীন ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং অন্যান্য এশীয় দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য বাড়িয়ে দিয়েছিল। এটি দীর্ঘমেয়াদে বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব কমাতে পারে এবং নতুন আঞ্চলিক বাণিজ্য বলয় তৈরি করতে পারে। অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ স্বল্পমেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য লাভ আনলেও দীর্ঘমেয়াদে ঝুঁকি বাড়ায়। শুল্ক বিদেশি প্রতিযোগিতা থেকে দেশীয় শিল্পকে সাময়িকভাবে রক্ষা করে। তবে, এটি অর্থনীতিতে অদক্ষতা, প্রতিযোগিতা হ্রাস এবং অন্যান্য খাতে (যেমন, আমদানিকৃত উপাদানের ওপর নির্ভরশীল শিল্প) কর্মহীনতা সৃষ্টি করে।
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা যে অর্থনৈতিক তত্ত্বের ওপর দাঁড়িয়ে আছে, তা হলো তুলনামূলক সুবিধার তত্ত্ব। এই তত্ত্ব অনুযায়ী, কিছু পণ্য উৎপাদনে কিছু দেশ অন্যদের তুলনায় এগিয়ে থাকতে পারে, কারণ তারা কম খরচে গুণগত মান বজায় রেখে ওই পণ্য উৎপাদন করতে সক্ষম। তাই সব দেশের সব পণ্য উৎপাদনের প্রয়োজন নেই। এই তত্ত্ব অনুসরণ করলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক তৈরির দরকার নেই, আর বাংলাদেশের ভারী যন্ত্রপাতি বা উড়োজাহাজ তৈরি করা অত্যন্ত ব্যয়বহুল হয়ে পড়ে। তাই বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি করে সেখান থেকে উড়োজাহাজ কিনতে পারে। এই তত্ত্বকে ভিত্তি করে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলো মধ্যম ও নিম্ন আয়ের দেশগুলোকে নিয়ে একটি সংস্থা গঠন করে, যা পরে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
উরুগুয়ে রাউন্ড কি ব্যর্থ?
শুল্ক কমিয়ে আমদানি বাড়ানো নিয়ে আলোচনার একটি জনপ্রিয় অধ্যায় হলো ‘উরুগুয়ে রাউন্ড’। এটি ছিল সর্বকালের বৃহত্তম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আলোচনার একটি। এটি ১৯৮৬ সালে ট্যারিফস অ্যান্ড ট্রেড (GATT) সংক্রান্ত সাধারণ চুক্তির কাঠামোর মধ্যে শুরু হয় এবং ১৯৯৪ সালের ১৫ এপ্রিল মরক্কোর মারাকেশে সমাপ্ত হয়। মজার বিষয়, মুক্ত বাণিজ্য গরিব দেশগুলোকে কিছুটা এগিয়ে নিয়েছে। কিন্তু এই দেশগুলো মূলত কৃষিনির্ভর এবং সাধারণ পণ্য তৈরির সক্ষমতা রাখে। দামি ভারী শিল্প সবসময় পশ্চিমাদের হাতেই থেকে গেছে। দ্বিতীয়ত, এই চুক্তির আওতায় পুঁজি এক দেশ থেকে অন্য দেশে (মূলত ধনী থেকে গরিব দেশে) অবাধে যেতে পারলেও, উৎপাদনের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ‘শ্রম’ দেশ পেরোতে পারেনি। সেবা খাতে উন্নত দেশগুলো অনুন্নত দেশে আন্তর্জাতিক হোটেল তৈরি করে ভালো ব্যবসা করছে, জয়েন্ট ভেঞ্চার কোম্পানি খুলে লাভ করছে। কিন্তু অনুন্নত দেশ থেকে শ্রমিকদের সহজে উন্নত দেশে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। ফলে, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা যে মুক্ত বিশ্ব বাণিজ্যের মডেল দিয়েছে, তা একপেশে, ত্রুটিপূর্ণ এবং উন্নত দেশ যে কোনো সময়, যে কোনো অজুহাতে তার বরখেলাপ করতে পারে। বাংলাদেশ ইউরোপে শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা পেলেও, তৈরি পোশাকের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে এই সুবিধা দেয়নি। তবুও, সাধারণ পোশাকের ক্ষেত্রে— যেখানে উৎপাদক এখন প্রায় নেই বললেই চলে— বাংলাদেশ একটি ভালো অবস্থানে রয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে ২০২৪ সালে আনুমানিক ১০.৬ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য হয়েছে। বাংলাদেশে মার্কিন পণ্য রপ্তানির পরিমাণ ছিল ২.২ বিলিয়ন ডলার, আর বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য আমদানি ছিল ৮.৪ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশের অনুকূলে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ৬.২ বিলিয়ন ডলার। চীনের পণ্যে শুল্ক বাড়লে, বিশেষত পোশাক খাতে, তা বাংলাদেশের জন্য ভালো হবে বলে পোশাক রপ্তানিকারকরা মনে করছেন।
অর্থনৈতিক মডেল কি বলে?
আর্মিংটন স্থিতিস্থাপকতা: আর্মিংটন স্থিতিস্থাপকতার মডেল দেশে উৎপাদিত এবং আমদানিকৃত পণ্যের মধ্যে প্রতিস্থাপনের স্থিতিস্থাপকতাকে বোঝায়। এটি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ভারসাম্য এবং গণনামূলক সাধারণ ভারসাম্য (CGE) মডেলগুলোর একটি গুরুত্বপূর্ণ প্যারামিটার হিসেবে কাজ করে। এটি নির্ধারণ করে কীভাবে গ্রাহক বা সংস্থাগুলো আপেক্ষিক দামের পরিবর্তনের সঙ্গে দেশি ও বিদেশি পণ্যের মধ্যে পছন্দ বদলায়।
এই তত্ত্ব অনুযায়ী, যদি আর্মিংটন স্থিতিস্থাপকতা বেশি হয়, তাহলে দাম পরিবর্তন হলে গ্রাহকরা দেশি ও আমদানিকৃত পণ্যের মধ্যে সহজেই স্থান পরিবর্তন করে। আর যদি স্থিতিস্থাপকতা কম হয়, তাহলে দেশি ও আমদানিকৃত পণ্যের ব্যবহারে তেমন পরিবর্তন হয় না। এর মানে, দামের পরিবর্তন (এখানে দাম বৃদ্ধি) পণ্যের চাহিদায় সামান্য প্রভাব ফেলে। পল আর্মিংটন নামে একজন বিশিষ্ট মার্কিন অর্থনীতিবিদ ১৯৬৯ সালে একটি গবেষণাপত্রে এই ধারণা প্রকাশ করেন।
এই মডেল অনুযায়ী, ২০১৮ সালে উচ্চ শুল্কহার সফল হয়নি। নিম্ন আর্মিংটন স্থিতিস্থাপকতার কারণে অনেক মার্কিন শিল্প-উদ্যোক্তা, বিশেষত মোটরগাড়ি নির্মাণ, যন্ত্রপাতি ও জ্বালানি খাতে, বেশি খরচ সত্ত্বেও ইস্পাত আমদানি করতে থাকেন। কারণ, দেশীয় ইস্পাত আরও ব্যয়বহুল ছিল, প্রয়োজনীয় গ্রেড বা স্পেসিফিকেশন সবসময় পাওয়া যেত না। ফলে, দীর্ঘমেয়াদী সরবরাহ চুক্তিতে আবদ্ধ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তখন উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ইস্পাত আমদানি করেছে, বিশেষত কানাডা, মেক্সিকো এবং ইইউ থেকে (যারা পরে শুল্ক ছাড় পেয়েছে)।
প্রকৃত তথ্যে দেখা গেছে, শুল্ক বৃদ্ধির কারণে যে পরিমাণ কর আদায় হয়েছে, তাতে প্রতি মার্কিন পরিবার গড়ে বছরে ২০০ থেকে ৩০০ ডলার অতিরিক্ত কর দিয়েছে।
এদিকে, ডনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা ওষুধের ওপর ২৫ শতাংশ বা তার বেশি শুল্ক বসানোর হুমকি দিয়েছেন। এই শুল্ক সত্যিই কার্যকর হলে, তা ভোক্তা ও উৎপাদক উভয়ের জন্যই একটি তিক্ত অভিজ্ঞতা হবে। এতে স্বল্পমেয়াদে মার্কিন জনগণের ওষুধজনিত খরচ বাড়বে। মোট কথা, ট্রাম্পের এই শুল্কনীতি খোদ যুক্তরাষ্ট্রকে বিপাকে ফেলতে পারে।