“ফুসফুস সংক্রমণের পাশাপাশি রক্তক্ষরণও হচ্ছে; উনি খুব একটা ভালো নেই”, বলেন প্রবীর মিত্রের পুত্রবধূ সোনিয়া ইয়াসমিন।
Published : 04 Jan 2025, 09:16 PM
ফুসফুসের সংক্রমণ ও রক্তক্ষরণের কারণে বর্ষীয়ান অভিনেতা প্রবীর মিত্রের স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ার তথ্য দিয়েছেন স্বজনরা।
প্রবীর মিত্রের পুত্রবধূ সোনিয়া ইয়াসমিন শনিবার সন্ধ্যায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “উনার শারীরিক অবস্থা খুব একটা ভালো নেই।
“২৩ ডিসেম্বর থেকেই তো আমরা হাসপাতালে; চিকিৎসা চলছে। উনার ফুসফুসে সংক্রমণ হয়েছে, সঙ্গে রক্তক্ষরণও (ইন্টারনাল ব্লিডিং) হচ্ছে। উনি খুব একটা ভালো নেই। সবাই দোয়া করবেন।”
রাজধানীর একটি হাসপাতালের ‘হাই ডিপেন্ডেনসি কেয়ার ইউনিটে’ (এইচডিইউ) চিকিৎসাধীন আছেন প্রবীর মিত্র।
হাড়ক্ষয়সহ (অস্টিওপরোসিস) বার্ধক্যজনিত নানা রোগে কয়েক বছর ধরেই চার দেওয়ালে বন্দি জীবন কাটছে ৮৪ বছর বয়সী এই অভিনয়শিল্পীর।
স্কুলজীবনে প্রথমবারের মতো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ডাকঘর’ নাটকে প্রহরীর চরিত্রে অভিনয় করেন প্রবীর মিত্র। পরবর্তী সময়ে পরিচালক এইচ আকবরের হাত ধরে ‘জলছবি’ চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে বড়পর্দায় অভিষেক হয় তার।
প্রায় চার দশকের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ‘তিতাস একটি নদীর নাম’, ‘দুই পয়সার আলতা’, ‘বড় ভালো লোক ছিল’, ‘বেদের মেয়ে জোসনা’সহ শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।
সবশেষ এসডি রুবেলের পরিচালনায় ‘বৃদ্ধাশ্রম’ নামে একটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন তিনি।
১৯৮২ সালে মুক্তি পাওয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন পরিচালিত ‘বড় ভালো লোক ছিল’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ে জন্য পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান প্রবীর মিত্র। ২০১৮ সালে পান আজীবন সম্মাননা।
১৯৪০ সালে চাঁদপুরে জন্ম নেওয়া প্রবীর মিত্রের শৈশব কেটেছে পুরান ঢাকায়। পড়াশোনা করেন সেন্ট গ্রেগরি হাইস্কুল ও জগন্নাথ কলেজে (বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়)।
তার তিন ছেলে ও এক মেয়ে। স্ত্রী অজন্তা মিত্রকে ২০০০ সালে হারানোর পর ২০১২ সালে ছোট ছেলে আকাশও পরপারে পাড়ি জমান।