ইরানের সুফি কবি ও দার্শনিক ফরিদ উদ্দিন আত্তারের মানতিকুত তোয়ায়ের অবলম্বনে নাটকটি রচনা করেছেন শাহমান মৈশান; মঞ্চে নির্দেশনা দিয়েছেন আহমেদুল কবির।
Published : 06 Feb 2025, 06:20 PM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগ মঞ্চে আনতে যাচ্ছে ‘পাখিদের বিধানসভা’। এই নাটকের প্রদর্শনী ঘিরে হচ্ছে সুফি নাট্যোৎসব।
ইরানের সুফি কবি ও দার্শনিক ফরিদ উদ্দিন আত্তারের মানতিকুত তোয়ায়ের অবলম্বনে নাটকটি রচনা করেছেন শাহমান মৈশান; মঞ্চে নির্দেশনা দিয়েছেন আহমেদুল কবির।
নাটকে অভিনয় করছেন থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীরা।
শাহমান মৈশান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন, “পাখিদের বিধানসভা’ মঞ্চায়নের মাধ্যমে সুফি নাট্যোৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। দারুল ইরফান রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সহযোগিতায় ৭ থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি প্রতি সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় নাটকটির প্রদর্শনী হবে।”
শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় নাট্যোৎসবের উদ্বোধন করবেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। বিশেষ অতিথি থাকবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান এবং দারুল ইরফান রিসার্চ ইনস্টিটিউটের অনারারি ফেলো ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ শেখ সাদী।
ধ্রুপদী সুফি সাহিত্যের সমকালীন বিনির্মাণ রূপে রচিত হয়েছে নাটক পাখিদের বিধানসভা। এই নাটকের আখ্যান গড়ে উঠেছে পাঁচ পর্বে বিভক্ত কাহিনীর বয়নে-নাগরিকদের নৈরাজ্য ও যোগপর্ব: পাখিদের উড়বার বিধানপর্ব, উড়বার বিতর্ক পর্ব, উড়ালপর্ব এবং সিমুর্গের দরবার অথবা নিজের তালাশ পর্ব।
প্রথম পর্বে দেখা যায় একটি ব্যর্থ হতে থাকা রাষ্ট্রে বিপ্লব আর প্রতিবিপ্লবের পর একদল যুবক-যুবতীর ভিতর-বাহিরে চলছে বহুমুখী ঘাত-প্রতিঘাত-অন্তর্ঘাত। এখানে নাগরিকগণের ভেতরের শূন্যতা কেবলই বড় হয়ে ওঠে। অবশেষে নাগরিকরা উপলব্ধি করেন যে, শূন্যতা হল গভীরে যাওয়ার আমন্ত্রণ।
নাট্যকার শাহমান মৈশান বলেন, “পাখিদের বিধানসভা নাটক লিখতে গিয়ে ফরিদ উদ্দিন আত্তার আমার জন্য এক বিনির্মাণ-সূত্র হয়ে উঠেছেন। এই নাটক বস্তুত ধ্রুপদী সুফি সাহিত্যের সঙ্গে আমার নিজের সময়ের ঘনিষ্ঠতা সন্ধানের একটি নান্দনিক-রাজনৈতিক পদ্ধতির ফলিত রূপ।
“২০২৪ সালের জুলাই-অগাস্ট মাসের আগুনলাল সময়ের জঠরে বাস করে লিখেছি পাখিদের বিধানসভা। ফলে এই নাটক হয়ে উঠেছে আমাদের সময়ের সম্মিলিত রুহের শিহরণ-কম্পিত আধ্যাত্মিকতার এক রাজনৈতিক নাটলিপি। আত্তারের কবিতা যদি হয় আধ্যাত্মিক মুক্তির ধর্মতত্ত্বীয় তরিকা, তবে আমার নাটক হল আত্মসত্তার রাজনৈতিক রূপান্তরের নন্দন ভাষ্য।”
নাটকের মঞ্চ ও পোশাক পরিকল্পনা করেছেন মহসিনা আক্তার। ডিজিটাল চিত্র পরিকল্পনা করেছেন শান্তনু হালদার। আলোক পরিকল্পনা করেছেন ধীমান চন্দ্র বর্মণ। আলোক প্রক্ষেপণে আছেন ধীমান চন্দ্র বর্মণ, সাহাবুদ্দিন মিয়া, মজনু মিয়া। দেহ বিন্যাসে অমিত চৌধুরী, সংগীত পরিকল্পনায় সাইদুর রহমান লিপন।
নাটকে অভিনয় করছেন- আবে হায়াত সৈকত, আল মামুন, আহাদনূর ফকির, এস এ তানভীর, জাদিদ ইমতিয়াজ আহমেদ, তাহিয়া তাসনিম, নিকিতা আযম, রিফাত করবী, রিফাত জাহান শাওন, প্রাণ কৃষ্ণ বণিক. বাদল হোসেন বাদশা, মুজাহিদুল ইসলাম রিফাত, মাহমুদুর রহমান মুক্ত ও সনজিত কুমার দে।