৪১ প্রেক্ষাগৃহে পাঠান, প্রতিদিন ২০৬টি প্রদর্শনী

এই সিনেমার সঙ্গে বক্স অফিসও চালু হতে যাচ্ছে বাংলাদেশে।

পাভেল রহমানবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 May 2023, 05:44 PM
Updated : 11 May 2023, 05:44 PM

বাংলাদেশের ৪১টি প্রেক্ষাগৃহে শুক্রবার মুক্তি পাচ্ছে বলিউড তারকা শাহরুখ খানের সিনেমা ‘পাঠান’।

প্রতিদিন ২০৬টি প্রদর্শনী হবে বলে গ্লিটজকে জানিয়েছেন সিনেমাটির আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ‘অ্যাকশন কাট এন্টারটেইনমেন্ট’র মালিক অনন্য মামুন।

সাফটা চুক্তির আওতায় বাংলাদেশে প্রথম ভারতীয় সিনেমা হিসেবে মুক্তি পাচ্ছে পাঠান। আমদানির শর্ত অনুযায়ী শাকিব খানের ‘পাংকু জামাই’ রপ্তানি হচ্ছে ভারতে।

রোজার ঈদের পরপরই ৫ মে দেশের প্রেক্ষাগৃহে ‘পাঠান’ মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল আমদানিকারকদের। তবে ঈদে মুক্তি পাওয়া দেশীয় সিনেমার ব্যবসা তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে উল্লেখ করে তা পেছানোর দাবি জানিয়ে সোচ্চার একদল পরিচালক, প্রযোজক, অভিনয়শিল্পী। তার পরিপ্রেক্ষিতে ১২ মে ‘পাঠান’ মুক্তির তারিখ ঠিক হয়। এর মধ্যে সেন্সর বোর্ড থেকে মেলে ছাড়পত্র।

সিদ্ধার্থ আনন্দ পরিচালিত পাঠানে শাহরুখ খানের সঙ্গে রয়েছেন দীপিকা পাড়ুকোন ও জন আব্রাহাম। সিনেমাটি ইতোমধ্যে বলিউডে সুপারহিট তকমা পেয়েছে, বিদেশেও ভালো ব্যবসা করছে অ্যাকশন ধাঁচের সিনেমাটি।

পাঠানের সঙ্গে বক্স অফিসেরও শুরু

পাঠান সিনেমাটির মধ্য দিয়ে দেশের প্রেক্ষাগৃহে বক্স অফিস চালু হচ্ছে বলে জানান অনন্য মামুন। তিনি বলেন, “প্রাথমিকভাবে ১৫টি সিনেমা হলে বক্স অফিস থাকবে, যার ফলে জানা যাবে পাঠান সিনেমাটি কত টাকা আয় করল।”

মাল্টিপ্লেক্সগুলোতে সিনেমা প্রদর্শন জটিলতা না থাকলেও সিঙ্গেল স্ক্রিনে প্রদর্শন নিয়ে জটিলতা রয়েছে। সাধারণত সিঙ্গেল স্ক্রিনের হলগুলোর বেশিরভাগই সার্ভার নেই। ফলে তারা পরিবেশকের কাছ থেকে পেনড্রাইভে সিনেমা নিয়ে প্রদর্শন করে।

তবে হলিউড কিংবা বলিউডের সিনেমা প্রদর্শনে সার্ভারের প্রয়োজন থাকায় বেশ কিছু সিনেমা হল আগ্রহ থাকার পরও ‘পাঠান’ মুক্তি দিতে পারছে না।

মূলত পাইরেসির শঙ্কায় পেনড্রাইভে সিনেমা দেবে না বলিউডের সিনেমা পাঠানের প্রযোজক। এজন্য খুব বেশি হলে পাঠান মুক্তি দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

অনন্য মামুন গ্লিটজকে বলেন, “প্রথম সপ্তাহে আমরা সব সিনেমা হলে বক্স অফিস কার্যকর করতে পারছি না। ১৫টির মতো সিনেমা হলে বক্স অফিস কার্যকর থাকবে। পরের সপ্তাহ থেকে অন্যান্য সিনেমা হলেও বক্স অফিস কার্যকরা করা হবে।

“একসঙ্গে হয়ত সব সিনেমা হলে বক্স অফিস চালু করা সম্ভব হবে না। তবে পাঠান সিনেমার মধ্য দিয়ে বক্স অফিস কার্যকর করার চেষ্টা থাকবে।”

বক্স অফিস কী

সিনেমা হলের টিকেটঘরই হল বক্স অফিস। বাংলাদেশের বেশিরভাগ সিনেমা হলে এখনও হাতে হাতে টিকেট বিক্রি হয়, যার ফলে টিকেট বিক্রির সঠিক তথ্য জানা যায় না। ই–টিকেটিং ব্যবস্থা ও সার্ভার থাকলে সব হলেই বক্স অফিস কার্যকর করা সম্ভব বলে মনে করছেন সিনেমা সংশ্লিষ্টরা।

স্টার সিনেপ্লেক্স, ব্লকবাস্টার সিনেমাস, লায়ন সিনেমাসের নিজস্ব সার্ভার ও ই-টিকেটিং ব্যবস্থা রয়েছে। তবে মাল্টিপ্লেক্সগুলোর টিকিট বিক্রির হিসাব প্রকাশ্যে না আসার কারণ পরিবেশকদের সঙ্গে ‘নন ডিসক্লোজার অ্যাগ্রিমেন্ট’। যার ফলে টিকেট বিক্রির হিসাব প্রকাশের এখতিয়ার হল মালিকদের নেই। তারা কেবল পরিবেশকদের কাছে টিকিট বিক্রির হিসাব জানায়। পরিবেশক বা প্রযোজক তাদের ইচ্ছামতো টিকেট বিক্রির তথ্য প্রকাশ করেন।

সিনেমা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বক্স অফিস কার্যকর না থাকায় প্রেক্ষাগৃহে বেশি টিকেট বিক্রি হলেও সিনেমা হল মালিকরা সঠিক তথ্য দেন না। এর ফলে সিনেমার প্রযোজকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হন। বক্স অফিস চালু থাকলে, ই-টিকেটিং এর মধ্য দিয়ে টিকেট বিক্রির তথ্য আড়াল করার সুযোগ থাকে না।