গত কয়েকদিন ধরে পরিচালক, ডিরেক্টরস গিল্ড ও টেকনিশিয়ান ফেডারেশসন দফায় দফায় বৈঠক করেও সংকটের সুরাহায় পৌঁছুতে পারেননি।
Published : 29 Jul 2024, 02:21 PM
আপাতত লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশনের কাজ বন্ধ আছে কলকাতার সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে। কারণ অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন এ ইন্ডাস্ট্রির বড়-ছোট সব কাতারের পরিচালকরা।
পরিচালক, ডিরেক্টরস গিল্ড ও টেকনিশিয়ান ফেডারেশনের মধ্যে মতবিরোধের জের ধরে সোমবার থেকে ধর্মঘটে নেমেছেন পরিচালক সৃজিত মুখার্জি, কৌশিক গাঙ্গুলি, রাজ চক্রবর্তীরা।
আনন্দবাজার লিখেছে, ‘সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে’ ঢাকার মাটিতে পরিচালক রাহুল মুখোপাধ্যায়ের ‘লহু’ নামের ওয়েব সিনেমার শুটিং করা নিয়ে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে উত্তপ্ত টালিগঞ্জ।
গত কয়েকদিন ধরে পরিচালকদের সংগঠন ডিরেক্টরস গিল্ড ও টেকনিশিয়ান ফেডারেশন দফায় দফায় বৈঠক করেও ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি।
টেকনিশিয়ান ফেডারেশন নির্মাতা রাহুলকে ‘বয়কট’ করার সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসায় পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী কর্মবিবরতি শুরু করেছেন বাংলা সিনেমা-ওয়েব সিরিজের পরিচালকরা।
টেকনিশিয়ান ফেডারেশনের অভিযোগ, রাহুল কাউকে না জানিয়ে ঢাকায় এসে ‘লহু’র শুটিং করেছেন এবং কলকাতার ওই সিরিজের শুটিংয়ের বকেয়া মেটাননি।
ডিরেক্টরস গিল্ড প্রথমে রাহুলের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে গেলেও পরে তারা অবস্থান পরিবর্তন করে পরিচালকের পাশে দাঁড়ায়। আর পরিচালকদের বক্তব্যের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে তাদের সঙ্গে জোট বেঁধেছে ছোট পর্দার প্রযোজকদের সংগঠন ডব্লিউএটিপি ও আর্টিস্ট ফোরাম।
ঘটনাটি নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে নানা ধরনের বক্তব্য এলেও, যাকে ঘিরে এত তুলকালাম, সেই রাহুলের কোনো মন্তব্য কলকাতার সংবাদমাধ্যমগুলোতে নেই।
কলকাতার ডিরেক্টরস গিল্ড এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ২৯ জুলাই থেকে যত দিন পর্যন্ত না পরিচালকদের সমস্যার সমাধান হচ্ছে, তত দিন পর্যন্ত বাংলা ভাষার সমস্ত শুটিং ফ্লোরে সদস্যরা উপস্থিত হবেন না। বাংলা ভাষা ছাড়া অন্য ভাষার ক্ষেত্রে এই অনুরোধ প্রযোজ্য নয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, “গত শনিবার, ২৭ জুলাই রাহুল মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায় একটি বাংলা সিনেমার শুটিং ছিল টেকনিশিয়ান স্টুডিয়োতে। কিন্তু ফেডারেশনের আওতাভুক্ত কলাকুশলীরা সেই শুটিংয়ে উপস্থিত হননি। ফলে শুটিং করাই যায়নি। এবং ওখানে উপস্থিত পরিচালক, অভিনয়শিল্পী সবাই অপমানিত হন।
“অগ্রজ পরিচালকদের সঙ্গে আলোচনা করে স্থির হয়, কলাকুশলীরা রাহুলকে নির্দিষ্ট সিনেমার (লহু) পরিচালক হিসেবে মেনে না নিলে, তার সঙ্গে শুটিং করতে রাজি না হলে, টালিগঞ্জের বাংলা সিনেমার সোমবার থেকে অসহযোগিতায় যেতে বাধ্য হচ্ছে। মীমাংসা না হওয়া পর্যন্ত এই অবস্থান থেকে তারা নড়বেন না।”
রাজ চক্রবর্তী, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, অনীক দত্ত, অনিরুদ্ধ চৌধুরী, অপর্ণা সেন, অতনু ঘোষ, দেবালয় ভট্টচার্য, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, অনির্বাণ ভট্টচার্যসহ আরো অনেক পরিচালক সই করেছেন সেখানে।
কর্মবিরতির এই সিদ্ধান্তের ফলে যদি আগামীতে যদি কোনো পরিচালক কোনো সমস্যায় পড়েন, তাহলে তার পাশে ইন্ডাস্ট্রির অন্যান্য পরিচালকরা দাঁড়াবেন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে টেকনিশিয়ান ফেডারেশনের সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস বলেছেন, রাহুলকে বয়কট প্রশ্নে তারা সিদ্ধান্তে ‘অটল আছেন’।
রাহুল কবে ঢাকায় এসে শুটিং সারলেন এবং সিনেমাটি যে জটিলতার মুখে পড়েছে সে বিষয়ে ‘চরকি’ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেদওয়ান রনির বক্তব্য জানতে তার মোবাইলে চেষ্টা করেছিল গ্লিটজ। কিন্তু তিনি সাড়া দেননি।
সংকটের উৎস ও ডিরেক্টরস গিল্ডের ভূমিকা
গত বছরের অক্টোবরে ভারতে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশের ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ‘চরকি’। তখন রাহুল ঢাকার অভিনেতা আরিফিন শুভ এবং কলকাতার নায়িকা সোহিনী সরকারকে নিয়ে ‘লহু’ নামের সিনেমার কাজ শুরু করেন। শুটিং কাজ শুরু হয় ডিসেম্বর মাসে। তারপর খবর আসে, টেকনিশিয়ান ফেডারেশনের সঙ্গে দেনাপাওনা নিয়ে এই সিনেমার কাজ বন্ধ হয়ে গেছে।
এর মাঝে ঢাকায় এসে চারদিন কাজ করে কিছু শুটিং শেষ করেন রাহুল। এই খবর জানাজানি হলে তৈরি হয় জটিলতা। অসন্তোষ প্রকাশ করে কলকাতার টেকনিশিয়ান ফেডারেশন।
রাহুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, তিনি ডিরেক্টরস গিল্ড এবং ফেডারেশনের অনুমতি না নিয়ে ‘লহু’র শুটিং করতে ঢাকায় গিয়েছিলেন। এ নিয়ে পরিচালককে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয় হয়। রাহুল প্রথমে ঢাকায় এসে কাজ করার কথা অস্বীকার করলেও পরে নিজের ভুল স্বীকার করে শুটিংয়ের কথা স্বীকার করেন।
এর পরে রাহুলের ওপরে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা দেয় ডিরেক্টরস গিল্ড। আর টেকনিশিয়ান ফেডারেশন তাকে ‘নিষিদ্ধ’ করার সিদ্ধান্ত নেয়।
পরে রাহুল নিজেকে নির্দোষ দাবি করে তার পক্ষে সমস্ত তথ্যপ্রমাণ ডিরেক্টরস গিল্ডের হাতে তুলে দেন।
এরপর তদন্ত করে শুক্রবার ডিরেক্টরস গিল্ড আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়, রাহুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ‘ভুল প্রমাণিত হওয়ায়’ তারা এই পরিচালককে নিষেধাজ্ঞা থেকে অব্যাহতি দিচ্ছে।
ডিরেক্টরস গিল্ডের সম্পাদক সুদেষ্ণা রায় বলেন, “পরিচালনায় রাহুলের কাজ করতে বাধা নেই। তবে পূজা উপলক্ষে তিনি তার নতুন সিনেমার পরিচালনায় থাকতে পারবে না। এর বদলে তিনি কাজ করবেন সহকারী প্রযোজক হিসেবে।”
পরিচালকরা ক্ষুব্ধ
ডিরেক্টরস গিল্ডের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের পর শনিবার রাহুলের পূজার সিনেমার শুটিংয়ে যোগ দিতে সেটে পৌঁছে যান অভিনেতা প্রসেনজিৎ, অনির্বাণ, প্রযোজক শ্রীকান্ত মেহতা এবং এই টিমের অন্যান্যরা। কিন্তু সেদিন সেখানে পরিচালকের ভূমিকাতেই রাহুলকে দেখা যায়। এতে বেঁকে বসেন কলাকুশলীরা। তার কাজ গুটিয়ে সেটের বাইরে চলে যান।
এ নিয়ে পরিচালক রাজ চক্রবর্তী বলেন, “রাহুলের সঙ্গে টেকনিশিয়ানরা কাজ করতে চাইছেন না। এতে আমরা আহত, অপমানিত। একজন পরিচালকই কিন্তু কাজ আনেন। আমরা সবাই মিলে তার পর সেই কাজটি করি। এখন আমরা যদি কাজ করতে না যাই, কলাকুশলীরা সেই কাজ তুলে দিতে পারবেন?”
নায়ক দীপক অধিকারী দেব বলেন, “প্রতিটা মানুষের শিডিউল বাঁধা থাকে, রাহুল নির্ধারিত সময়ে শুটিং করতে এলেও টেকনিশিয়ানরা কেন এলেন না? এটা তো অন্যায়। আমরা সবাই সুস্থভাবে কাজ করতে চাই। টেকনিশিয়ান ফেডারেশনের সঙ্গে সুষ্ঠু আলোচনা করে সিনেমার কাজ যত দ্রুত সম্ভব শুরু হোক। আমার অনুরোধ এর মধ্যে রাজনীতি ঢোকাবেন না।”
আর অভিনেতা-নির্দেশক পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “টেকনিশিয়ানদের এই অন্যায় ব্যবহার মানা যায় না। রাহুলের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা সঠিক নয়। তাই নিষেধাজ্ঞা তোলা হয়। ফেডারেশন এখন বলছে, তারা কাজ করবে না। এটা কেন?”
ক্ষোভ প্রকাশ করে পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “যেটা হচ্ছে, সেটা খুব আনন্দের নয়। মারাত্মক অসম্মান।”
একই ধরনের কথা বলেছেন রাহুলের পূজার সিনেমার অভিনেতা অনির্বাণ। তিনি হতাশ কণ্ঠে বলেন, “যা হচ্ছে, সেটা কার জন্য ভালো হচ্ছে, কেউ কি বলতে পারেন?”
এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে এই জটিলতা ঘিরে ‘অবসাদে’ ভুগছেন বলে জানিয়েছেন রাহুলের থ্রিলারধর্মী ওই সিনেমার মূল চরিত্রের অভিনেতা প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জি।
তিনি বলেন, “টেলিভিশন, ফিল্ম কিংবা ওটিটি-যে কোনো মাধ্যমেই হোক না কেন, এই যে কাজটা আমরা করি, সিনেমা বানানো, এটা বড় একটা কর্মযজ্ঞ। আমরা রাত্রিবেলা ঘুমানোর আগে একটা সিন পড়ে প্রস্তুত থাকি পরের দিন সকাল বেলায় উঠে শুটিংটা করব বলে। এটা শিল্পী হিসেবে একটা ভালবাসার জায়গা। আমি টানা ৯ দিন রোজ রাতে সিন পড়ছি, আর সকালে উঠে শুনছি কাজটা হবে না। এটা একজন শিল্পীর ভাবাবেগে আঘাত লাগা। আমরা তো আবেগ দিয়েই সৃজনশীল কাজ করি, সেটাই যদি বাধাপ্রাপ্ত হয়, তাহলে শিল্পীর কাজ করার আবেগ নষ্ট হয়। এর জেরে কাজ যদি ঠিক করে না হয়, তাহলে আমি আজ ৪০ বছর ধরে কাজ করছি। দর্শকরাও আমাদের কাজ দেখবেন না।
“একটা টিমে কাজ করলে মান অভিমান হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু তার জন্য ভালোবাসা কেন চলে যাচ্ছে? এখানে কারও কিছু প্রমাণ করার নেই, থেকে যাবে শুধু আমাদের সকলের কাজ। ইতিবাচক আলোচনার মাধ্যমে একটা পজিটিভ সিদ্ধান্ত হবে বলেই আশা করছি।”
পরিচালক অনীক দত্তের প্রশ্ন, “রাহুল পরিচালনা করবেন কী করবেন না, এটা বলার অধিকার ফেডারেশনের আদৌ আছে কি? আর আমরা ভুলে যাচ্ছি, পরিচালক-কলাকুশলীরা একে অন্যের পরিপূরক। দুপক্ষ একজোট না হলে সিনেমা তৈরি করা যায় না।”
অনঢ় ফেডারেশন, সুরাহার আহ্বান আর্টিস্ট ফোরামের
টেকনিশিয়ান ফেডারেশনের সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস বলেন, “কলাকুশলীরা কাজ করতে চাইছে না কারণ আমরা মনে করি রাহুল নিয়ম ভেঙেছে। এবং সংগঠনের নিয়ম যারা ভাঙবেন তাদের সঙ্গে কোনো দিন কাজ করবেন না ফেডারেশনের সদস্যরা। কলাকুশলীরা ন্যায্য পাওনা পেলে, সকলে সঠিক পথে চললে সমস্যা হবে না।”
ফেডারেশন বরাবর কলাকুশলীদের পাশে আছে জানিয়ে স্বরুপ বলেন, “এমনও দেখা গেছে, প্রযোজক মাঝপথে একটি সিনেমার কাজ বন্ধ করে দেন। পাওনা না মিটিয়ে ফের অন্য সিনেমার শুরু করেন। তখনও ফেডারেশন কলাকুশীদের হয়ে লড়ে যায়। কাজ শেষ করে সিনেমামুক্তির দায়িত্ব সংগঠনের। সবটাই আমার করি কলাকুশলীর স্বার্থে।”
বিতর্কে শামিল হয়েছে ছোট পর্দার প্রযোজকদের সংগঠন ‘ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অফ টেলিভিশন প্রোডিউসার্স অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল’ (ডব্লিউএটিপি)। এ সংগঠনের অভিযোগ, বহু বছর ধরে ফেডারেশনের জোরজুলুম, নীতি-নিয়মের ধাক্কায় তারা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না।
এক বিবৃতিতে ছোট পর্দার প্রযোজকরা বলেন, “বাংলা, হিন্দি ও টিভি প্রযোজনার শুটিং খেয়াল খুশি মত বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রযোজকদের অতিরিক্ত টেকনিশিয়ান নিতে বাধ্য করা হয়। রাহুলের ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল, আমরা প্রযোজনার দায়িত্বে থাকলেও সেই 'কন্টেন্ট'-এর পরিচালক নির্বাচনের ক্ষমতা পর্যন্ত আমাদের নেই।
“সামগ্রিকভাবে বাংলা ইন্ডাস্ট্রির যা অবস্থা হয়েছে, তাতে এখনই সব পক্ষ এগিয়ে এসে সমাধানের চেষ্টা না করলে, ইন্ডাস্ট্রির সমূহ সর্বনাশ হবে।”
এদিকে মধ্যস্থতা করতে চেয়ে মাঠে নেমেছে আর্টিস্ট ফোরাম। ওয়েস্ট বেঙ্গল মোশন পিকচার্স আর্টিস্ট ফোরাম তাদের বিবৃতি বলেছে, ভিন্নমতাবলম্বীদের মাঝে মধ্যস্থতাকারীর দায়িত্ব নিয়ে একটি সমাধান সূত্রের খোঁজে অগ্রণী ভূমিকা নিতে প্রস্তুত তারা।
“টলিপাড়ায় প্রত্যেকটি শিল্পী, কলাকুশলী যেন স্বক্ষেত্রে কাজ চালিয়ে যেতে পারে এবং কোনওরকম অসহযোগিতার সম্মুখীন না হন। ”
আর্টিস্ট ফোরামের সভাপতি রঞ্জিত মল্লিক বলেন, “কোনোভাবেই শুটিং যাতে ব্যাহত না হয়।”
সংস্থার সাধারণ সম্পাদক শান্তিলাল মুখোপাধ্যায় বললেন, “আমরা প্রত্যেকেই দৈনিক ভিত্তিতে কাজ করি। আমরা দ্রুত সমস্যাটা মিটিয়ে নেওয়ার অনুরোধ করেছি।”
এদিকে এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাহুলের পূজার সিনেমার প্রযোজনা সংস্থা এসফিএফ এর কর্ণধার শ্রীকান্ত মেহতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছিলেন, প্রয়োজনে রাহুলের সিনেমা বন্ধ করে দেওয়া হবে।
তবে রোববার তিনি বলেছেন, প্রসেনজিৎ ও অনির্বাণকে নিয়ে রাহুলই সিনেমাটি বানাবেন। এসভিএফ রাহুলের পাশে আছে।
টেকনিশিয়ানদের কর্মবিরতি অব্যাহত থাকলে সিনেমা পূজায় প্রেক্ষাগৃহে আসবে কী না প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, “ধৈর্য্য ধরুন। রাহুলের পরিচালনাতেই সুন্দর করে সব কাজ হবে। পূজায় সিনেমা মুক্তি পাবে। প্রেক্ষাগৃহ উপচে পড়বে দর্শকে।”