সিনেমা সমালোচকরা মনে করছেন ‘দ্য সাবস্ট্যান্স’ গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার জেতায় মুর অস্কার দৌড়ে সুবিধাজনক অবস্থায় আছেন।
Published : 02 Mar 2025, 03:08 PM
যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের ডলবি থিয়েটারে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৯৭তম অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডস অনুষ্ঠান। বিশ্ব চলচ্চিত্রের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার অস্কার জিতছে কোন সিনেমা এবং কাদের হাতে উঠছে সেই সোনালী ট্রফি সেটি নিয়ে জল্পনা বা কৌতুহলের শেষ নেই।
অস্কারের অন্যান্য খবরের পাশাপাশি সেরা অভিনেত্রী শাখা নিয়ে আলোচনা বেশি হওয়ার অন্যতম কারণ হিসেবে অভিনেত্রী ডেমি মুরের প্রত্যাবর্তনকে তুলে ধরেছে ‘দ্য গার্ডিয়ান’।
অভিজ্ঞ এই অভিনেত্রী নব্বইয়ের মাঝামাঝিতে হলিউডে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়াদের একজন ছিলেন। অভিনয়ের সাড়ে চার দশকে এই অভিনেত্রীর ঝুলিতে তেমন কোনো বড় পুরস্কার না থাকলেও ‘দ্য সাবস্ট্যান্স’ সিনেমা তাকে আলোচনায় এনেছে। এই সিনেমার জন্য অস্কারে তিনি মনোনয়ন পেয়েছেন। এছাড়া ‘দ্য সাবস্ট্যান্স’ সিনেমার জন্য তিনি জিতেছেন ‘গোল্ডেন গ্লোব’ পুরস্কারও। যা তাকে অস্কারের প্রতিযোগিতার মাঠে সুবিধাজনক অবস্থায় এনে দিয়েছে।
অস্কার জিততে হলে মুরকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে অভিনেত্রী সিনথিয়া আরিভো, কার্লা সোফিয়া গ্যাসকোন, মাইকি ম্যাডিসন এবং ফার্নান্দা তোরেসের সঙ্গে।
অভিনেত্রী মাইকি ম্যাডিসনের নামও আলোচনায় এসেছে ‘আনোরা’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য; তবে এই সিনেমায় যৌন দৃশ্যে প্রশিক্ষক ছাড়াই অভিনয়ের জন্য সমালোচিত হয়েছেন তরুণ এই অভিনেত্রী।
এছাড়া সিনথিয়া আরিভো, কার্লা সোফিয়া গ্যাসকোন এবং ফার্নান্দা তোরেসের নামও উচ্চারিত হচ্ছে ভিন্ন ভিন্ন কারণে।
এই তিনজনের মধ্যে অভিনেত্রী ও গায়িকা সিনথিয়া আরিভোর দিকে চিত্র সমালোচকদের নজর বেশি। এমি, গ্র্যামি ও টনি পুরস্কারপ্রাস্ত আরিভো যদি এবার ‘উইকড’ সিনেমার জন্য অস্কার জিতে নেন, তাহলে চারটি গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কার পাওয়ার বিরল সম্মানের উদাহরণ তৈরি হবে তার হাত দিয়ে।
ব্রাজিলিয়ান অভিনেত্রী ফার্নান্দা তোরেস হলেন সেই অভিনেত্রী, যিনি তার মায়ের পর দ্বিতীয় ব্রাজিলিয়ান অভিনেত্রী যিনি অস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন।
অস্কারে সর্বোচ্চ মনোনয়ন ১৩ শাখায় নাম ওঠানো সিনেমা ‘এমিলিয়া পেরেজের’ অভিনেত্রী কার্লা সোফিয়া গ্যাসকোন তোপের মুখে পড়েছেন তার ধর্ম বিদ্বেষী পোস্টের জন্য। যদিও সোশাল মিডিয়ায় ওই পোস্টগুলো পুরনো, কিন্তু অস্কারের প্রচারণায় অন্য ধর্মের প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ মনোভাব গ্যাসকোনের জনপ্রিয়তায় ক্ষতিকর ছাপ ফেলেছে।
মুরের প্রত্যাবর্তনের গল্প
ডেমি মুর নব্বইয়ের দশকে হলিউডের সবচেয়ে আবেদনময়ী তারকাদের একজন ছিলেন। ৬৩ বছরের জীবনে তিনি অভিনয় করছেন ৪৫ বছর ধরে। চলতি বছরে ‘দ্য সাবস্ট্যান্স’ সিনেমায় মুরের অভিনয়, কিছুদিন আগে তাকে এনে দিয়েছে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার।
“বড় একটা ধাক্কা, আশা করিনি ৪৫ বছরের বেশি সময় ধরে কাজ করছি, সেভাবে পুরস্কার পাইনি”; গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার জিতে এভাবেই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন মুর।
অস্কারে মনোনয়ন ও ‘গোল্ডেন গ্লোব’ ছাড়াও এই সিনেমার অভিনয়ের জন্য মুরের ঝুলিতে আসে ‘ক্রিটিকস চয়েস’ এবং ‘এসএজি অ্যাওয়ার্ড’।
মুরের প্রত্যাবর্তনকে ‘অপ্রতিরোধ্য আখ্যান’ বর্ণনা করেছে ‘দ্য গার্ডিয়ান’।
মুরকে ডাকা হত এক সময়ে ‘পপর্কন অভিনেত্রী’।
নিজের এই তকমা সম্পর্কে মুরের ভাষ্য, “ত্রিশ বছর আগে একবার এক প্রযোজক আমাকে বলেছিলেন আমি একজন পপর্কন অভিনেত্রী। সেই সময়ে, আমি ভেবেছিলাম যে এটি এমন কিছু যা আমার পাওয়ার অধিকার নেই। আমি এমন সিনেমা করতে পারি যা প্রচুর অর্থ উপার্জন করে, তবে আমি স্বীকৃতি পাবো না, এবং আমি এটি বিশ্বাস করেছিলাম।”
এ ধরনের চিন্তা নিজেকে ‘প্রায় ক্ষয়’ করে ফেলেছিল বলে জানিয়েছেন মুর।
অস্কারে মনোনয়ন পাওয়ার পর মুর বলেছিলেন, “অভিনয় আমাকে জীবনের মানে নতুন করে খুঁজে নিতে সাহায্য করেছে।”
‘দ্য সাবস্ট্যান্স’ বানিয়েছেন পরিচালক কোরালি ফারগেট। সিনেমাটি আলোচনায় আসে গত বছর কান উৎসবে প্রদর্শিত হওয়ার পর। নগ্নতা, সহিংসতার জন্য সিনেমাটি কেবল প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য।
এই সিনেমার চিত্রনাট্য যখন তার কাছে আছে, তখন সময়টা খারাপ যাচ্ছিল বলে জানিয়েছেন মুর।
‘দ্য সাবস্ট্যান্স’ সিনেমায় মুরের চরিত্রটি পঞ্চাশোর্ধ এক তারকার। যিনি তার হারানো যৌবন ফিরে পেতে এক নিষিদ্ধ ওষুধ ব্যবহার করেন।
এই সিনেমার মুর কেবল তার অভিনয় দক্ষতাই তুলে ধরনেনি, বয়সের সঙ্গে লড়াই করা নারীদের গল্পও তুলে ধরেছেন। মুর, মার্গারেট কোয়ালি, ডেনিস কায়েডের অভিনয়ের প্রশংসা করেছেন সমালোচকরা; প্রশংসা এসেছে সিনেমার সম্পাদনরাও।
যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত হয়েছে ইংরজেই ভাষার ‘দ্য সাবস্ট্যান্স’।
ম্যাডিসনের চমক
একজন বার ড্যান্সার ও গ্যাংস্টারের ছেলের প্রেম নিয়ে তৈরি সিনেমা ‘আনোরা’ এবার অস্কারে আলোচনায় আছে। আরো বেশি আলোচনা চলছে এই সিনেমায় অভিনয় করে মাত্র ২৫ বছর বয়সে মাইকি ম্যাডিসনের নাম উঠেছে অস্কারে সেরা অভিনেত্রীর মনোনয়নে।
এরি মধ্যে এই সিনেমার জন্য বাফটা পুরস্কার পেয়েছেন ম্যাডিসন।
শন বেকার তার ‘আনোরা’ সিনেমায় প্রচুন যৌনদৃশ্য রেখেছেন। ম্যাডিসন হয়েছেন একজন যৌনকর্মী, যার সম্পর্ক হয় রাশিয়ান এক বিলিওনিয়ারের ছেলের সঙ্গে। সিনেমার যৌনদৃশ্যের দৃশ্যধারণের সময় সাধারণ প্রশিক্ষিতদের সঙ্গে রাখা হয়, যারা অভিনয়শিল্পীদের অন্তরঙ্গ দৃশ্যে অভিনয়ে সহজ হতে সহযোগিতা করেন।
তাদের বলা হয় ‘ইন্টিমেসি কো-অর্ডিনেটর’। ‘আনোরার’ ওই ধরনের দৃশ্যের শুটিংয়ের সময় ম্যাডিসন কোনো ‘ইন্টিমেসি কো-অর্ডিনেটর’ রাখেননি বলে জানিয়েছেন।
‘আমি সবটা একাই সামাল দিয়েছি’, বলেছিলেন ম্যাডিসন।
তার এই মন্তব্যের সমালোচনা এসেছে। তরুণী অভিনেত্রীকে নিয়ে সমালোচকদের বিরূপ প্রতিক্রিয়ার ফলে অস্কার দৌড়ে তিনি কতটুকু এগুতে পারবেন তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।
কারো ভাষ্য, ‘আনোরা’ নিছকই প্রেমের গল্প নয়। সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের জীবন এবং তাদের বাঁচার এবং টিকে থাকার প্রতিচ্ছবি হল ‘আনোরা’।
আবার কারো মতে উচ্চবিত্তের সন্তানের সঙ্গে যৌনকর্মীর প্রেমের চিত্রনাট্য যথেষ্ঠ গভীর নয়।
ঐতিহাসিক মনোনয়ন তোরেসের
৬০ বছর বয়সী ব্রাজিলিয়ান অভিনেত্রী ফার্নান্দা তোরেসের নাম অস্কারের সেরা অভিনেত্রীর মনোনয়নে এসেছে ‘আই অ্যাম স্টিল হিয়ার’ সিনেমার জন্য। তোরেসের নামটি এবার আলোচিত। কারণ, তার মায়ের পর তিনিই দ্বিতীয় ব্রাজিলিয়ান অভিনেত্রী, যিনি অস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন। তার মা ফার্নান্দা মোনটেনেগ্রো ১৯৯৯ সালে ‘সেন্ট্রাল স্টেশন’ সিনেমার জন্য প্রথম ব্রাজিলিয়ান অভিনেত্রী হিসেবে অস্কারে মনোনয়ন পেয়েছিলেন।
‘আই অ্যাম স্টিল হিয়ার’ সিনেমার জন্য তোরেসে ‘গোল্ডেন গ্লোব’ জিতেও ইতিহাস গড়েছেন। সেখানেও তোরেসে অনন্য, কারণ তিনিই প্রথম ব্রাজিলিয়ান, লাতিন আমেরিকান এবং পর্তুগিজ-ভাষী অভিনেত্রী হিসেবে ‘গোল্ডেন গ্লোব’ পুরস্কার জেতার সম্মান অর্জন করেছেন।
‘ব্রাজিলের সামরিক স্বৈরশাসনের সময় এক ভিন্নমতাবলম্বী রাজনীতিবিদের নিখোঁজ হওয়ার গল্প বলেছে ‘আই অ্যাম স্টিল হিয়ার’ সিনেমাটি। নিখোঁজ রাজনীতিবিদের স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন তোরেসে। যে নারী স্বামীর খোঁজে তোলপাড় করে ফেলেন চারদিক।
সিনেমা সমালোচকদের ভাষ্যে, ‘আই অ্যাম স্টিল হিয়ার’ কেবল একটি রাজনৈতিক গল্প নয়, বরং মানবাধিকার এবং ন্যায়বিচারের প্রতিচ্ছবিও।
ঘটনা ঘটিয়ে ফেলতে পারেন আরিভো
অভিনেত্রী ও গায়িকা সিনথিয়া আরিভো অস্কারে সেরা অভিনেত্রীর মনোনয়ন পেয়েছেন ‘উইকড’ সিনেমার জন্য। এই সিনেমাটি সেরা চলচ্চিত্রের শাখাতেও নাম লিখিয়েছে।
আরিভো সম্পর্কে সমালোচকরা বলছেন, ‘বলা যায় না, আরিভো ঘটনা ঘটিয়েও ফেলতে পারেন।‘
এই কথার অর্থ হল, টেলিভিশনের কাজে সর্বোচ্চ সম্মাননা এমি, সঙ্গীতের গ্র্যামি, চলচ্চিত্রের অস্কার এবং থিয়েটার শিল্পের জন্য টনি- এই চার পুরস্কারের আদ্যাক্ষর নিয়ে হয় ইজিওটি।
আরিভোর ঝুলিতে এরিমধ্যে এমি, গ্র্যামি ও টনি জায়গা করে নিয়েছে। এখন এই অভিনেত্রী যদি অস্কার জিতেই যান, তাহলে তিনি ‘ইজিওটি’ জয় করবেন, যা হবে এক বিরল ঘটনা।
এর আগে রিটা মোরেনো, অড্রে হেপবার্ন, মেল ব্রুকস এবং উপি গোল্ডবার্গ এই চারটিই সর্বোচ্চ সম্মাননা পাওয়ার রেকর্ড করেছেন।
‘উইকড’ সাড়া তোলা ‘দ্য উইজার্ড অব ওজ’ সিনেমার আগের গল্প বলেছে। আরিভো এই সিনেমায় সবুজ চামড়ার ডাইনি এলফাবারের চরিত্রে অভিনয় করেছে।
‘উইকড’ শুধুমাত্র ফ্যান্টাসি নয়, সমাজে বৈষম্য, কুপ্রথা ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে শক্ত বার্তা দেওয়া একটি সিনেমা।
তবে নিজের প্রচারে পিছিয়ে আছেন আরিভো। সমালোচকদের কথায়, পুরস্কার প্রাপ্তিতে অনীহা দেখা গেছে আরিভোর মধ্যে।
সোফিয়া গ্যাসকনকে বিতর্কিত পথ
কার্লা সোফিয়া গ্যাসকন সেরা অভিনেত্রীর মনোনয়ন পেয়েছেন আলোচিত ‘এমিলিয়া পেরেজ’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য। ট্রান্সজেন্ডার হিসেবে অস্কারে তিনিই প্রথম মনোনয়ন পেয়ে ইতিহাস গড়েন।
আর এবারের অস্কারে সেরা সিনেমা, সেরা পরিচালক ও সেরা অভিনেত্রীসহ ১৩ শাখায় মনোনয়ন পেয়ে বাজিমাত করেছে ‘গোল্ডেন গ্লোব’ জিতে নিয়েছে এই সিনেমাটি।
ফরাসি নির্মাতা জ্যাক অঁদিয়ার স্প্যানিশ ভাষায় এই সিনেমাটি বানিয়েছেন। মেক্সিকোর চার প্রতিষ্ঠিত নারীর গল্পে বোনা হয়েছে সিনেমার চিত্রনাট্য। যে নারীরা নিজেদের মত করে সুখী হতে চায়। সিনেমায় একজন কুখ্যাত মাদকসম্রাজ্ঞীকে দেখানো হয়েছে। নিজের ভুয়া মৃত্যুর খবর প্রচার করে নতুন জীবন শুরু করতে এক আইনজীবীর সহযোগিতা চান। এরপর কী হয়, তা নিয়েই এগিয়েছে গল্প।
কেবল অস্কারে মনোনয়নই নয় ‘এমিলিয়া পেরেজ’ সিনেমায় শক্তিশালী অভিনয় গ্যাসকনকে কান চলচ্চিত্র উৎসবে এবং ইউরোপিয়ান ফিল্ম অ্যাওয়ার্ডেও সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার এনে দিয়েছে।
গ্যাসকনের এই জয়জয়কারের মধ্যে তার পুরোনো বিতর্কিত টুইটগুলো সামনে এসেছে; যা অস্কার প্রচারণায় বিপত্তি ঘটিয়েছে।
গ্যাসকন ওই পোস্টগুলো করেছিলেন ২০২০ সাল থেকে ২০২২ সালের মধ্যে। সেখানে মুসলিমদের বিভিন্ন রীতিনীতির বিরোধিতা করে কিছু কথাবার্তা বলেছিলেন এই অভিনেত্রী। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের হাতে নিহত কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডকে মাদক কারবারি বলেও আখ্যা দিয়েছিলেন গ্যাসকন।
এসব পোস্টের জেরে গ্যাসকনকে ‘বর্ণবাদী’ আখ্যা দিয়েছেন অনেকে। যদিও গ্যাসকন পরে ক্ষমা চেয়েছেন, তবুও তিনি সমালোচিত হয়েছেন।
অস্কারের মনোনয়নে নাম আসার পর গ্যাসকন তার প্রচার শুরু করলে তার পাশ থেকে নেটফ্লিক্স সরে দাঁড়িয়েছিল। পরে অবশ্য নেটফ্লিক্স অভিনেত্রীকে সমর্থন করেছে।
গ্যাসকনের বিরুদ্ধে জনমত এমন পর্যায়ে চলে যায় যে তিনি ডলবি থিয়েটারের আসরে অংশ নিতে পারবেন কী না সেটিও অনিশ্চিত হয়ে দাঁড়ায়। পরে অবশ্য অস্কার কর্তৃপক্ষ তাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
আরও পড়ুন
অস্কারের মনোনয়ন, ১৩ শাখায় নাম রেখে শীর্ষে 'এমিলিয়া পেরেজ'
অস্কারের মনোনয়নে নাম আসা সিনেমাগুলো দেখা যাবে যেখানে
একমাত্র অস্কার জয়ী কৃষ্ণাঙ্গ অভিনেত্রী হ্যালি বেরি এখন 'ক্লান্ত'