যাত্রাপালা ‘মাইকেল মধুসূদন’ মঞ্চায়নের ৫০ বছর

এই যাত্রাপালায় মাইকেল চরিত্রে অভিনয় করতেন কিংবদন্তি যাত্রাশিল্পী অমলেন্দু বিশ্বাস।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Jan 2023, 03:35 PM
Updated : 25 Jan 2023, 03:35 PM

বাংলাদেশে মাইকেল মধুসূদন যাত্রাপালা মঞ্চায়নের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আলোচনা, স্মৃতিচারণ ও একক অভিনয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে যাত্রা প্রশিক্ষণ উন্নয়ন গবেষণা পরিষদ।

১৯৭৩ সালে যাত্রাপালাটি প্রথম মঞ্চায়িত হয়েছিল, যা বেশ প্রশংসিত ছিল। এতে মাইকেল চরিত্রে অভিনয় করতেন কিংবদন্তি যাত্রাশিল্পী অমলেন্দু বিশ্বাস। এই যাত্রাপালা নিয়ে সৈয়দ শামসুল হক কবিতাও লিখেছেন।

বুধবার জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন নাট্যজন মামুনুর রশীদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলা একাডেমির পরিচালক ড. আমিনুর রহমান সুলতান।

প্রধান আলোচক ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কামালউদ্দিন কবির। বক্তব্য দেন যাত্রাসংগঠক ও নির্দেশক মিলন কান্তি দে। সভাপতিত্ব করেন তাপস সরকার। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন অমলেন্দু বিশ্বাসের মেয়ে অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস।

মামুনুর রশীদ বলেন, “মাইকেল মধুসূদন যাত্রাপালার একটু অংশ আমাদের ‘এবং বিদ্যাসাগর’ নাটকে ব্যবহার করা হয়েছে। ওই অংশটুকু মঞ্চে আসলেই দর্শকের যে করতালি, তাতে বুঝি অমলেন্দু বিশ্বাস যখন মঞ্চে দাঁড়াতেন, তখন কী পরিমাণ উন্মাদনা হত দর্শক সারিতে।”

আমিনুর রহমান সুলতান বলেন, “যাত্রার যে ঐতিহ্য, তার পরম্পরাকে ধরে রেখেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। এই পরম্পরায় যেন মরচে না ধরে যায়।”

কামালউদ্দিন কবির বলেন, “নাট্যকলা বিষয়ক প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রমে যাত্রা শিল্পকে পূর্ণাঙ্গ কোর্স হিসেবে রাখা জরুরি। এখন যেটি আছে, সেটি লোকনাট্য বিষয়ের সাথে অন্তর্ভূক্ত করে পড়ানো হয়। যাতে করে যাত্রা বিষয়ের যে শিল্প শক্তি, এই শিল্প মাধ্যমটির গণমানুষের কাছে যাওয়ার যে ক্ষমতা সেটি গৌন হয়ে যায়।

“গ্রুপ থিয়েটার চর্চায় পান্ডুলিপি সংকটের কারণে অনেকেই বিভিন্ন অনুবাদ মঞ্চে আসছে। গ্রুপ থিয়েটার দলগুলোও যাত্রাপালা মঞ্চে আনতে পারে।”

বাবা অমলেন্দু বিশ্বাসকে নিয়ে অরুণা বিশ্বাস বলেন, “আমার বাবা অমলেন্দু বিশ্বাসের বড় বিষয় ছিল, তিনি মানুষকে ভালোবাসতেন। তিনি কেবল যাত্রাশিল্পী ছিলেন না। তিনি থিয়েটারও করেছেন। তবে তিনি শিল্পের মধ্য দিয়ে মানুষের কথা বলেছেন।”