এখন শিল্পীদেরই গানের প্রমোশন চালাতে হচ্ছে। গান গাওয়ার পর নিজেদেরই মার্কেটিং করতে হয়। ফেসবুকে জানাতে হয়,'এই যে আমার এই গান বের হয়েছে, এটা একটু শুনে দেখতে পারেন আপনারা'। আগে এমন ছিল না।
Published : 15 Apr 2024, 08:12 PM
বাংলা গান, বিশেষ করে ব্যান্ড সংগীতের সোনালি সময় বলা হয়ে থাকে গত শতকের নব্বইয়ের দশককে। তখন শ্রোতারা মুখিয়ে থাকতেন নতুন ক্যাসেট, সিডি ও অ্যালবামের জন্য। ফুরসত মিলত না গীতিকার, সুরকার, কম্পোজার ও শিল্পীদের। স্টুডিওগুলোও থাকত সরগরম। তখনকার অনেক জনপ্রিয় গান এখনো মুখে মুখে ফেরে।
বাংলাদেশের সংগীতাঙ্গন ক্যাসেট, সিডি, অ্যালবামের সেই সময় পেরিয়ে এসেছে বহু আগে। ইন্টারনেটে ‘ব্যাপক বিস্ফোরণের’ এই সময়ে তখনকার অনেক শিল্পীই এখন গানবিমুখ।
কেনই হারিয়ে গেল সোনালি সে সময়? শিল্পীরা বলছেন, প্রত্যাশার সঙ্গে তাদের প্রাপ্তি মেলেনি, শিল্পীসত্তার ক্ষুধা মেটানোর মত গানও এখন তৈরি হচ্ছে না। এছাড়া ডিজিটাল মাধ্যমের বিড়ম্বনাসহ নানা সংকটের কথাও বলেছেন তারা।
এখন সংগীত বলে কিছু নেই: সামিনা চৌধুরী
একই অনুযোগ সুরেলা কণ্ঠের অধিকারী প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পী সামিনা চৌধুরীর। নব্বই দশকের গানের সেই জৌলুস নষ্ট হয়ে গেছে বলেই মনে করেন তিনি।
“ক্যাসেট, সিডির যুগটায় দোকানে দোকানে, গলিতে গলিতে গান বাজত। কি যে ভালো লাগত। এলিফ্যান্ট রোড, আশপাশে ক্যাসেটের দোকানগুলোতে উৎসবের মতো হতো। তারপর যখন ফালতু গান বের হওয়া শুরু হল, তখন বিরক্ত লাগত। বাজে বাজে গান বের হওয়া শুরু হল। তারপর একদম নষ্ট হতে লাগল। এখন তো ক্যাসেট, সিডি, অ্যালবাম কিছুই নেই। এখন সংগীত বলে কিছু নেই।”
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর অপব্যবহারে প্রসঙ্গ তুলে ধরে এই শিল্পী বলেন, “মানুষের এখন সময় নেই। ফেইসবুক, টিকটক, রিল এসব এসে গান ছোট হতে হতে ১০ সেকেন্ড, ৫ সেকেন্ডে চলে এসেছে। মানুষ এখন আর গান শোনে না। …মানুষের গান নিয়ে ভাবার সময় এখন নেই।”
শিল্পীদের নিজেদেরই এখন গানের প্রচার করতে হয় এই প্রসঙ্গ তুলে ধরে সামিনা বলেন, “আগের মত গানের প্রচারণা হয় না। এখন শিল্পীকেই গানের প্রচার করতে হয়। আমি এটার পক্ষপাতিত্ব কখনই ছিলাম না। যারা গাইতে পারে না তারা বেশি প্রচার করে। যারা গাইতে পারে তারা নিশ্চুপ থাকে। গান একদম অবক্ষয়ের অবস্থায় চলে এসেছে। গান আর হবে না। গানের অবস্থা খুবই বাজে। গান সবাই গাইতে পারে না। কিন্তু এখন অবস্থা গান সবাইকে গাইতে হবে। জোর জবরদস্তি করে গান হচ্ছে।”
এখনকার অনেক গান নিয়ে অভিযোগ, আপত্তি আছে এই শিল্পীর।
তিনি বলেন, “আমরা শ্রোতা তৈরি করেছি অনেক বছর ধরে। এখন বাজে বাজে গান দিয়ে শ্রোতাদের রুচি নষ্ট করে ফেলেছে। আমি গান নিয়ে আর ভাবি না, ভেবে লাভ নেই। অভিযোগেরও শেষ নেই। ক্যাসেটের চলটা রাখা দরকার ছিল।”
ঈদের সময় টেলিভিশনে গানের অনুষ্ঠান দেখা যেত, এখন দেখা যায় না কেন এমন প্রশ্নে এই শিল্পী বলেন, “একটা দুইটা অনুষ্ঠান করছি৷ অনুষ্ঠানগুলোও এখন সাড়া ফেলে না। একদম খরার মতো। চ্যানেলগুলো এখন নতুন ছেলে-মেয়েদের দিয়ে গান করায়। একদম নতুন শিল্পীদের দিয়ে অনুষ্ঠান চলে। শ্রোতাদের কথা ভাবে না।”
সম্প্রতি নতুন একটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন সামিনা চৌধুরী। গানের নাম 'আবার যদি দেখা হয়ে যায়'। ঈদের পরে প্রচারিত হবে গানটি।
এখন শিল্পীদের মার্কেটিং বেশি করতে হয়: শাফিন আহমেদ
চার দশক ধরে ‘মাইলস’ ব্যান্ডটির সঙ্গে যে নামটি জড়িয়ে আছে, তিনি শাফিন আহমেদ। যদিও তিনি এখন আর মাইলসের সাথে নেই। গত ৫ এপ্রিল ‘রুবারু’ শিরোনামের একটি গান মুক্তি পেয়েছে এই শিল্পীর। ঈদ উপলক্ষেই প্রকাশ পেয়েছে তার গাওয়া প্রথম হিন্দি একক এই গানটি।
নব্বই দশকে গানের জোয়ারের স্মৃতিচারণ করে শাফিন গ্লিটজকে বলেন, “পুরনো দিনের সেই বিষয়টা একেবারেই বদলে গেছে। আগের সময়টা এখন এনালগ যুগের মতো। তখন এই ইন্টারনেটের ব্যবহার ছিল না। ক্যাসেটে গান বের হত, সেটা সংগ্রহ করত। সবচেয়ে সুন্দর যে বিষয়টি ছিল মানুষ ঈদে অ্যালবাম গিফট করত। এক একটি রেকর্ড লেবেল থেকে ৩০ থেকে ৩৫টা করে অ্যালবাম বের হত। অ্যালবামে ১০ থেকে ১২টা করে গান থাকত।”
তখন ঈদের সময় অ্যালবাম বের করতে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা ছিল, এখন সব দায়িত্ব শিল্পীদের উপর পর, এমনটা জানিয়ে তিনি বলেন, “এখন ডিজিটাল যুগে এসে কখন যে গান তুলছি, কার গান কখন রিলিজ পাচ্ছে সেটাই অনেকে জানতে পারে না। আগে শিল্পী যেত মিউজিক লেবেলের কাছে, যেখান থেকে গান বের হচ্ছে তারা তাদের ব্যবসার জন্য প্রচারণা শুরু করত। খবরের কাগজে বিজ্ঞাপন যেত। শিল্পীদের অ্যালবাম, গান আসার খবর সিনেমার মত করে প্রচার হত। সারাদেশব্যাপী অ্যালবাম সংগ্রহের চাহিদা তৈরি করতে হত। পাড়ায় পাড়ায় গান বাজত। চাঁদ রাতে, ঈদে নতুন অ্যালবামের গান দিয়ে শ্রোতারা আনন্দ, উল্লাস করত।
“ডিজিটাল মাধ্যম হওয়ার পর আমাদের গানগুলো মানুষকে শোনানোর জন্য মূল জায়গা হচ্ছে ইউটিউব, তারপর স্পটিফাই। এখন আমাদের চিন্তা করতে হচ্ছে একসঙ্গে ১০ থেকে ১২টা গান বের করে কি করব, তারচেয়ে একটা গান ছাড়লে শ্রোতারা সেই গানটির উপর নজর দিতে পারবে।”
ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে গান মুক্তিতে সংস্কৃতিগত কতটা পরিবর্তন এসেছে এমন প্রশ্নে শাফিন বলেন, “আমার মতে এই পরিবর্তন খুবই দুঃখজনক। একটা গান কেউ সংগ্রহ করে না। সবাই শুধু স্ট্রিমিং করছে। গানের কোনো কালেকশন এখন আর নেই। আগে মানুষের গল্পের জায়গা ছিল আমার বাসায় এতোগুলা ক্যাসেট আছে, এই ঈদে অনেকগুলো অ্যালবাম কিনলাম। এখন আলোচনা হয় ফেইসবুকে, টিকটকে গান ভাইরাল হওয়ার পর। সেখানে গান শোনার পর মানুষ জানতে পারে। মানুষের জীবনযাত্রায় এক বিশাল পরিবর্তন এসেছে। পুরো জীবনটাই ফোনের মধ্যে ঢুকে গেছে। ইউটিউবে যে গান পাওয়া যায় মানুষ তাই শোনে।
“এখন শিল্পীদেরই গানের প্রমোশন চালাতে হচ্ছে। গান গাওয়ার পর নিজেদেরই মার্কেটিং করতে হয়। ফেইসবুকে জানাতে হয়, ‘এই যে আমার এই গান বের হয়েছে, এটা একটু শুনে দেখতে পারেন আপনারা’। এখন গানের সব দায়িত্ব শিল্পীর। নিজে গান বানায়, নিজে গান লিখে, নিজের স্টুডিওতে রেকর্ডিং হয়। এখন সবার ঘরে ঘরে স্টুডিও। নিজেরাই গান রেকর্ড করে। তারপর ছবি তুলে মানুষকে জানান দিতে হয়। গানের লিংক শেয়ার করতে হয়৷ এখন শিল্পীদের গান গাওয়ার চেয়ে মার্কেটিং বেশি করতে হয়। আগে এমন ছিল না।”
অন্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের তুলনা দিয়ে এই শিল্পী বলেন, “বিদেশে কিন্তু আগের শিল্পীদের রেকর্ডগুলো ফেরত আসছে। থার্টি থ্রি এম্পায়ার বড় রেকর্ডগুলো ফেরত আসছে। সেটার সংগ্রহ বাড়ছে, বিক্রি বাড়ছে। সেসব দেশগুলোতে যেকোনো ব্যান্ড বা শিল্পীর অ্যালবাম বের হচ্ছে, সিডি বের হচ্ছে,এমপি থ্রি বের হচ্ছে, সঙ্গে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোতে যাচ্ছে। চতুর্দিক থেকে তারা গানগুলো ছাড়ছে। আমাদের দেশে প্রযুক্তি বদলের সঙ্গে সঙ্গে ক্যাসেট চলে গেল। তারপর সিডি আসলো, কিছুদিন পর সিডি কোম্পানি বন্ধ করে চলে গেল। দেশে এখন আকাশে বাতাসে গান দেওয়া সম্ভব না। ইন্টারনেটে দেওয়া ছাড়া আর কোনো মাধ্যম নেই।”
ক্যাসেটের সময়টা আর্থিক দিক থেকেও লাভজনক ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, “তখন একেকটা মিউজিক কোম্পানি যেভাবে লাভবান হয়েছে সেটা একটা লক্ষ্যণীয় বিষয় ছিল। তখন তারা যেমন বিনিয়োগ করত, তার চেয়ে বেশি উঠে আসত। মিউজিক কোম্পানিগুলো তখন আর্টিস্টদের উপর খরচ করত। তারাও সেইরকম লাভ পেত। এক রাতের মধ্যে লক্ষ লক্ষ কপি বিক্রি হয়ে যেত, টাকা উঠে যেত।”
পরিবর্তন মেনেই কাজ করতে হবে: প্রিন্স মাহমুদ
নব্বই দশকের সংগীত অনুরাগীদের ভালোবাসার আরেক নাম প্রিন্স মাহমুদ। তার সুরে এখনো বুঁদ ভক্ত-শ্রোতারা। এই শিল্পীর মতে শ্রোতা ও মাধ্যম দুই জায়গাতেই পরিবর্তন এসেছে। এই পরিবর্তনগুলো মেনেই কাজ করতে হবে।
তার কথায়, “এখন গান সম্পর্কিত সবকিছুই কমে গেছে। এখনকার তরুণরা হয়তো এই সময়টা উপভোগ করছে, আর আগের শ্রোতারা সেই সময়টা উপভোগ করেছে। এখনকার ছেলেমেয়ে ইউটিউব দেখে তৈরি হচ্ছে। গানটা তো বিনোদন, সেটা যে যেভাবে নেয়। সময়ের পরিবর্তন মেনে নিতে হবে।
“সেই সময়টা মনে পড়ে, সেই সময়টা মিসও করি৷ আগে বড় ধরনের ব্যবসা হত, অনেক গান, অ্যালবাম, বড় বড় শিল্পী সবই ছিল। এখন নেই। সেটা আশাও করা যাবে না।”
গানের ভঙ্গি পাল্টে গেছে: বাপ্পা মজুমদার
ঈদে কোনো গান না আসলেও বাংলা নতুন বছর উপলক্ষে ব্যান্ড ‘দলছুট’র নতুন অ্যালবাম নিয়ে আসছেন বাপ্পা মজুমদার। অ্যালবামের নাম ‘সঞ্জীব’। অ্যালবামটি উৎসর্গ করা হয়েছে সাংবাদিক, গীতিকার ও শিল্পী সঞ্জীব চৌধুরীকে। এই অ্যালবামটি নিয়েই ব্যস্ত সময় পার করছেন বাপ্পা মজুমদার।
তবে নব্বই দশকের মতো ব্যস্ততা এখন নেই বলে জানালেন তিনি। সে সময়টা স্মৃতিকাতর করে কিনা এমন প্রশ্নে বাপ্পা বলেন, “নিঃসন্দেহে স্মৃতিকাতর করে। বিশেষত ঈদকে টার্গেট করে বহু অ্যালবাম হত। তখন আমাদের মূল ব্যস্ততা ছিল স্টুডিও সম্পর্কিত ব্যস্ততা। অনেক বেশি ব্যস্ত থাকতাম স্টুডিওতে। একের পর এক মিউজিশিয়ান কাজ করে বের হচ্ছে, আবার একজন ঢুকছে। শিফট করে কাজ করতে হত। খুব একটা হইহই ব্যাপার ছিল সেই সময়ে।”
“এখন তো আসলে আমাদের গানের ভঙ্গি পাল্টে গেছে। এখন তো সেই অর্থে প্রফেশনাল স্টুডিও নেই, স্টুডিও বলতে যা বুঝি আরকি! কাজের ধরন পাল্টে গেছে। এখন অ্যালবাম বের হয় না। এখন সবাই ছোট ছোট করে একটা দুইটা করে কাজ করে। সেটাই ঈদ উপলক্ষে বা যেকোনো বিশেষ দিন উপলক্ষে রিলিজ করে। অডিও ইন্ডাস্ট্রির সেই উৎসব ব্যাপারটা এখন আর নেই।”
তুলনা করে লাভ নেই: আঁখি আলমগীর
ঈদ উপলক্ষে গেল ৩১ মার্চ প্রচারিত হয়েছে আঁখি আলমগীরের ‘কফির পেয়ালা’ গানটি। এবার ঈদে এই গানটি নিয়েই দর্শকের সামনে হাজির হয়েছেন জনপ্রিয় এই শিল্পী। আঁখির মতে নব্বই দশকের সেই সময়ের সঙ্গে এখনকার পার্থক্য অনেক। সেটা তুলনা করলে হবে না। এখনকার সময় ধারণ করেই চলতে হবে।
আঁখি গ্লিটজকে বলেন, “এখন তো অ্যালবাম হচ্ছে না। গান প্রকাশের মাধ্যম ডিজিটাল হয়ে গেছে। ক্যাসেট এবং সিডির যুগের সঙ্গে তুলনা করে লাভ হবে না। তবে আমি সৌভাগ্যবান আমি দুই সময়েই কাজ করেছি। তবে একটি পূর্ণাঙ্গ অ্যালবাম সব শিল্পীই মিস করে।
“একটা অ্যালবামে দশ-বারোটা গান হত, এখনকার প্রজন্ম তো জানেই না। ওই সময়ের শিল্পীরা অনেক জনপ্রিয় ছিল এবং জনপ্রিয়তা পাওয়ার কারণ যেকোনো পেশার মানুষের কাছে আমাদের নামগুলো পৌঁছে যেত। তখন প্রচারটাই অন্যরকম ছিল। এখন অনেক চ্যানেল, কোনটা রেখে কোনটা দেখবে।”
শিল্পীসত্তার ক্ষুধা মেটানোর জন্য অ্যালবাম হচ্ছে না: তাহসান খান
তারুণ্যে অভিনেতা-গায়ক তাহসান খান ঈদের আগে খুঁজে খুঁজে কিনতেন পছন্দের গানের ক্যাসেট ও সিডি। প্রযুক্তির দাপটে ক্যাসেট-সিডি বিদায় নেওয়ায় সেদিনগুলো দারুণ মিস করেন তাহসান। শ্রোতা ও শিল্পী হিসেবে সেই কথাগুলো তুলে ধরেন গ্লিটজের কাছে।
তাহসান বলেন, “আমি একজন শ্রোতা হিসেবেও দেখেছি, একজন শিল্পী হিসেবে দেখেছি। শ্রোতা হিসেবে ওই সময়টা মিস করি। আর শিল্পী হিসেবে মিস করি একসঙ্গে অনেকগুলো গান রিলিজ দেওয়ার ব্যাপারটা, শিল্পীর ক্ষুধাটা। একটা সময় অ্যালবামের জন্য ১০-১২টা গান রেকর্ড করতে ছয়-সাত মাস সময় লেগে যেত। এই ছয়-সাত মাস আমরা গানের ভেতরেই থেকেছি। সুর করা, মিউজিক ট্র্যাকস তৈরি করা, মাস্টারিং করা, পুরো সময়টা গানের সাথে দেওয়ার পরে একটা অ্যালবাম বের হত।
“আমরা যখন দশ-বারোটা গান তৈরি করতাম তখন এই টার্গেট নিয়ে তৈরি করতাম না যে, প্রত্যেকটা গান হিট হতে হবে। আমাদের শিল্পীসত্তার বহিঃপ্রকাশেই এক একটা অ্যালবাম হত। এখন একটা একক গান বের হচ্ছে, ওই গানটাকে হিট করাতে হবে এই চিন্তা কিন্তু মাথায় থাকে। গানের প্রতি প্রেমটা শিল্পীদের দিক থেকেও কমে গেছে। শ্রোতারাও সেইরকম চমৎকার গান পাচ্ছেন না। কনসার্ট মাতানোর জন্য, ভাইরাল হওয়ার জন্য, ভিউ বাড়ানোর জন্য হয়তো গান ভালো হচ্ছে। কিন্তু শিল্পীসত্তার ক্ষুধা মেটানোর জন্য অ্যালবাম হচ্ছে না।”
চলতি বছরে একটি অ্যালবাম নিয়ে শ্রোতাদের সামনে হাজির হবেন এই শিল্পী। অ্যালবামটির কাজ শুরু করে দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
শুধু ব্যান্ড নয়, নব্বই দশকের সাড়া জাগানো, তুমুল জনপ্রিয় শিল্পীরা এখন অনেকেই অন্তরালে। যাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও গান থেকে দূরে সরে যাওয়ায় কথা বলতে চাননি অনেকে।