অভিনেতা জন ভয়টের মেয়ে জোলি এই সাক্ষাৎকারে হলিউডের প্রতি তার অনাগ্রহ তৈরি হওয়ার কথাও বলেছেন।
Published : 09 Dec 2023, 08:29 AM
এবার জীবনের কঠিন সময় নিয়ে মুখ খুলেছেন অস্কারজয়ী মার্কিন অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। অকপটে জানিয়েছেন অভিনেতা ব্র্যাড পিটের সঙ্গে বিচ্ছেদের আগে এবং পরবর্তী সময়ের মানসিক ও শারীরিক অবস্থার কথা।
সম্প্রতি ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পিটের সঙ্গে বিচ্ছেদের ছয় মাস আগে ‘বেলস পালসি’তে আক্রান্ত হওয়ার কথা বলেছেন জোলি।
এ নায়িকার ভাষায়, “আমার শরীর বেশি চাপ সহ্য করতে পারে না। রক্তে শর্করার মাত্রা ওঠানামা করতে শুরু করে। ব্র্যাডের সঙ্গে বিচ্ছেদের ছয় মাস আগেই আমি বেল’স পালসিতে (মুখের একাংশ পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে পড়া) আক্রান্ত হই।”
অভিনেতা জন ভয়টের মেয়ে জোলি এই সাক্ষাৎকারে হলিউডের প্রতি তার অনাগ্রহ তৈরি হওয়ার কথাও বলেছেন।
“আমি একটি অগভীর জায়গায় বড় হয়েছি। বিশ্বের সমস্ত জায়গার মধ্যে হলিউড মোটেও কোনো স্বাস্থ্যকর জায়গা নয়, যেখানে আপনি স্বচ্ছতা খুঁজতে পারেন।"
বাস্তবতা যদি সেরকমই হয়, এখন সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ থাকলে অভিনয় বেছে নিতেন জোলি?
জবাবে নায়িকা বলেন, “হয়ত অভিনয় করতাম না আমি। অভিনয় করলেও থিয়েটারে করতাম, হলিউডে নয়।
“ক্যারিয়ারের শুরুতে বুঝতে পারিনি, নিজের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে সকলকে এত কিছু জানাতে হবে। কোনো ধারণাই ছিল না।”
২০০৪ সালে ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস স্মিথ’ সিনেমার শ্যুটিং চলাকালে জোলি ও পিটের প্রেম হয়। প্রায় এক দশক প্রেমের পর ২০১৪ সালে গাটছড়া বাঁধেন তারা।
দুবছর সংসার করার পর ২০১৬ সালে বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন দুই তারকা। তারপর আইনি লড়াই চালিয়ে ছয় সন্তানকে নিজের কাছে পান জোলি।
পিটের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর বেশিরভাগ সময় সন্তানদের নিয়ে বাড়িতেই থাকতেন জোলি। তিনি জানান, সেসময় ‘স্বাধীনভাবে বাঁচার এবং ঘুরে বেড়ানোর ক্ষমতা’ হারিয়ে ফেলেছিলেন।
তার ভাষায়, ডিভোর্সের কারণেই এসব সহ্য করতে হত। কারণ সেসময় সবাই তাদের ব্যক্তিগত বিষয়ে জানার জন্য মুখিয়ে থাকত। ক্রমাগত পাপারাজ্জিদের মুখোমুখি হতে হত তাকে।
জোলি বলেন, একসময় বাধ্য হয়েই লস অ্যাঞ্জেলেস ছেড়ে কম্বোডিয়ার বাড়িতে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলেন তিনি।