এর আগে বিটিএসের দুই সদস্যও গিয়েছেন ওই প্রশিক্ষণে।
Published : 27 Jan 2024, 04:46 PM
আগামী দেড় বছর নতুন কোনো গান শোনা যাবে না দক্ষিণ কোরিয়ার জনপ্রিয় ব্যান্ড ‘বিটিএস' এর সদস্য সুগার মুখ থেকে। এমনকি তার দেখাও মিলবে না কোনো কনসার্ট বা স্টেজ শোতে; কারণ সামরিক প্রশিক্ষণে যাচ্ছেন এই তরুণ গায়ক।
‘বিটিএস' এর এজেন্সি ‘বিগহিট এন্টারটেইনমেন্ট' জানিয়েছে, আগামী ২২ সেপ্টেম্বর থেকে সামরিক প্রশিক্ষণ শুরু হচ্ছে সুগার। যা রাষ্ট্রীয় নিয়ম অনুযায়ী দেশটির সব তরুণদের জন্য বাধ্যতামূলক। এর আগে দলের দুই সদস্যও গিয়েছেন ওই প্রশিক্ষণে।
বিবৃতিতে ‘বিগহিট এন্টারটেইনমেন্ট' বলছে, "২২ সেপ্টেম্বর থেকে সুগা যখন তার সামরিক প্রশিক্ষণ জীবন শুরু করবেন, সেদিন থেকে প্রশিক্ষণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই শিল্পী আর কোনো অফিসিয়াল ইভেন্টে অংশ নেবেন না। আমরা আশা করছি ২০২৫ সালে নতুন কোনো চমক নিয়ে ফিরবেন তিনি। নিরাপদে ফিরে আসা পর্যন্ত সুগার প্রতি আমাদের ভালোবাসা ও সমর্থন অব্যাহত থাকবে।"
কোরিয়ার নিয়ম হল, ২৮ বছরের মধ্যে একজন তরুণকে প্রায় দেড় বছরের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ নিতে হবে। বাধ্যতামূলক এই প্রশিক্ষণ চলার সময় অন্য কোনো কাজ করার নিয়ম নেই।
কোরীয় তরুণদের এই প্রশিক্ষণপর্বের প্রস্তুতি শুরু হয় সাধারণ ১৮ বছর বয়স থেকে। ২০ বছর বয়সের মধ্যে তাদের শারীরিক পরীক্ষা করা হয় যে, আদৌ সেই তরুণ সামরিক প্রশিক্ষণের জন্য উপযুক্ত কি না। পরীক্ষায় পাস করলে পরে সুবিধাজনক সময়ে টানা ১৮ মাসের বাধ্যতামূলক সামরিক প্রশিক্ষণে যেতে হয় তরুণদের।
এই প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য এবং একক প্রশিক্ষণে যাওয়ার আগে একক ক্যারিয়ার গড়তে এজেন্সি থেকে বর্তমানে ছুটিতে আছেন বিটিএস এর সাত সদস্য আরএম, জিন, সুগা, জে-হোপ, জিমিন, ভি ও জাংকুক।
এর আগে, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে জিন এবং চলতি বছরের এপ্রিলে জে-হোপ সেনাবাহিনীতে বাধ্যতামূলক সামরিক প্রশিক্ষণ শুরু করেন। সুগার পরে আরএম যোগ দেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সুগার মত বিটিএসের আরও কয়েব সদস্যদের কয়েকজনের বয়স ২৮ পার হয়ে গেছে। কিন্তু 'কে পপ' কে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় করতে এই দলটি ব্যস্ত থাকার কারণে বয়সের সীমায় তারা কিছুটা ছাড় পেয়েছে। তবে প্রশিক্ষণ থেকে সাতজনের কারো ছাড় নেই।
২০১৩ সালে বিটিএসে যোগ দেন সুগা। চলতি বছরে এপ্রিলে তার একক অ্যালবাম ‘ডি ডে’ প্রকাশিত হয়, যা দারুণ জনপ্রিয় হয়। এর আগে ২০১৬ সালের অগাস্টে প্রকাশিত হয় ‘আগস্ট ডি’।
২০১২ সালের ১২ জুন যাত্রা শুরুর পর ‘বিটিএস' এর সদস্যদের ডাকা হত 'পুচকে' নামে। সে সময় বিটিএসের বেশির ভাগ গান ছিল কোরিয়ান ভাষায়। পরে ইংরেজিতেও গান শুরু করেন তারা; জনপ্রিয়তায় দক্ষিণ কোরিয়ার সীমানা ছাড়িয়ে বিটিএস ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বজুড়ে।
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)