সুরেশ বলেন, "আমার ছেলের মনের জোর ছিল বলেই ওই দুঃসময় সে কাটিয়ে উঠতে পেরেছিল।”
Published : 08 Jun 2024, 10:24 PM
‘সাথিয়া’, ‘প্রিন্স’, ‘মাস্তি’সহ একের পর এক হিট সিনেমা করেও কেবল সালমান খানের কারণেই বিবেক ওবেরয়ের ইন্ডাস্ট্রি থেকে দূরে থাকার গল্প সবার জানা। এত বছর পর বিবেকের বাবাও বললেন, ‘ভাইজানের’ কাছ থেকে তার ছেলে হুমকি পেয়েছিলেন বহুবার।
বিবেকের ক্যারিয়ার টালমাটাল করার জন্য সালমানকেই পুরোপুরি দুষেছেন বিবেকের বাবা অভিনেতা ও রাজনীতিক সুরেশ ওবেরয়।
আনন্দবাজার লিখেছে, এক সাক্ষাৎকারে সুরেশ বলেন, “আমার ছেলের মনের জোর ছিল বলেই ওই দুঃসময় সে কাটিয়ে উঠতে পেরেছিল। অন্য কেউ হলে সারা দিন মদ্যপ হয়ে পড়ে থাকত অথবা মাদকাসক্ত হয়ে পড়ত।”
বিবেককে সালমান রীতিমত 'হুমকি' দিতেন জানিয়ে সুরেশ বলেন, “বিবেকের বিরুদ্ধে সালমান যখন দাঁড়িয়ে যায়, ইন্ডাস্ট্রির বেশিরভাগ মানুষও ধীরে ধীরে আমার ছেলের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে থাকে। সংবাদমাধ্যম, ফিল্মের মানুষজন, এমনকি অভিনেতারাও ওর বিপরীতে চলে যান। আসলে খুব তাড়াতাড়ি কেউ সাফল্য পেয়ে গেলে অন্যরা সেটা মনে নিতে পারে না।”
২০০৩ সালে ‘কিউ! হো গ্যায়া না’ সিনেমায় ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন ও বিবেক জুটি বেঁধেছিলেন। তখন তাদের ‘প্রেম’ কাহিনী নিয়ে সংবাদমাধ্যমে লেখালেখি হয়।
এরপর বিবেক অভিযোগ করেন, ঐশ্বরিয়ার সঙ্গে মেলামেশার কারণে সালমানের রোষানলে পড়েছেন তিনি। সালমান তাকে হুমকিও দিচ্ছেন। এমনকি সংবাদ সম্মেলন ডেকেও বিবেক বলেছিলেন সালমান মদ্যপ অবস্থায় তাকে ৪১ বার ফোন করেছিলেন। তবে বিবেক ও ঐশ্বরিয়ার ‘প্রেম’ বেশিদিন স্থায়ী হয়নি।
আর সালমান এবং ঐশ্বরিয়ার ‘প্রেমের’ গল্প আরও পুরনো। ১৯৯৯ সালে সঞ্জয় লীলা বানসালির ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ সিনেমায় সামির আর নন্দিনীর চরিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে নাকি সত্যি সত্যি প্রেম করেছেন সালমান ও ঐশ্বরিয়া।
এর আগে বিবেক অভিযোগ করেছিলেন, ২০০৭ সালে অ্যাকশন থ্রিলার ‘শুটআউট অ্যাট লোখন্ডওয়ালা’ সিনেমা থেকে বিবেককে বাদ দিতে পরিচালক অপূর্ব লাখিয়াকে চাপ দিয়েছিলেন প্রযোজকরা।
লাখিয়া বলেন, “বিবেককে সিনেমায় নেওয়ার পর প্রযোজকরা বেঁকে বসেন। আমাকে বলেন, অন্য কাউকে বিবেকের জায়গায় নিতে হবে। কিন্তু আমি কেন আমার পছন্দ থেকে সরে যাব। বিবেককে নিয়েই সিনেমাটি শেষ করি।”
বিবেককে রেখে ‘শুটআউট অ্যাট লোখন্ডওয়ালা’ করার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়ার পর ওই সিনেমার আরেক অভিনেতা সঞ্জয় দত্তকে পাশে পেয়েছিলেন লাখিয়া। এছাড়া অভিনেতা সুনীল শেঠিও এ ব্যাপারে লাখিয়াকে সমর্থন করেছিলেন।