“একজন সুপারস্টারকে নিয়ে যদি গুঞ্জন না হয়, তা হলে সে কিসের সুপারস্টার?” শাকিবকে নিয়ে বললেন অপু।
Published : 07 Feb 2023, 12:48 AM
অপু বিশ্বাসের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর আরেক চিত্রনায়িকা শবনম বুবলীকে বিয়ে করেছিলেন চিত্রনায়ক শাকিব খান। তবে বুবলীর সঙ্গেও এখন তিনি নেই। এর মধ্যে শাকিব খানের সঙ্গে সম্পর্ক জোড়া লাগার ইঙ্গিত মিলল অপুর কথায়।
কলকাতা বইমেলা উপলক্ষে অপু বিশ্বাস গিয়েছিলেন কলকাতায়, সেখানে আনন্দবাজার অনলাইনকে দেওয়া এব সাক্ষাৎকারে তিনি শাকিব খানের সঙ্গে দাম্পত্যে ফেরার ইঙ্গিত দেন।
অপুকে প্রশ্ন করা হয়েছিল- আপনার ও শাকিব খানের সম্পর্ক এখন ঠিক কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে, আপনারা কি বিবাহিত?
উত্তরে তিনি বলেন, “সেটা এখনই বলছি না, উহ্য থাক। সময় এলে গণমাধ্যমকে জানব। তবে আগের মতো ক্ষোভ রাখতে চাই না।”
শাকিব খানের প্রশংসা করে তিনি বলেন, “আসলে আজকে শাকিব যদি আমার পাশে না থাকত, তা হলে এই অপু বিশ্বাস হত না। সহ-অভিনেতা হয়ে আমাকে অভিনয়ের খুঁটিনাটিতে সাহায্য করেছে সে। আমার কেরিয়ারে ৮০ শতাংশ কৃতিত্ব শাকিবের, বাকিটা আমি অর্জন করেছি। তাই ওর প্রতি সারা জীবন সেই সম্মান থাকবে।”
শাকিব খানকে নিয়ে নানা গুঞ্জনের বিষয়ে তিনি বলেন, “একজন সুপারস্টারকে নিয়ে যদি গুঞ্জন না হয়, তা হলে সে কিসের সুপারস্টার? এটা তার কৃতিত্ব, এখনও তাকে নিয়ে গুঞ্জন হয়, অন্যদের নিয়ে হয় না।
“নায়ক-নায়িকাদের নিয়ে দু-একটা প্রেমের গুঞ্জন না থাকলে পর্দায় রোম্যান্স ফুটিয়ে তুলবেন কী ভাবে! আমি সাধুবাদই জানাই।”
সিঁথিতে সিঁদুর কেন? জানালেন অপু বিশ্বাস
সাক্ষাৎকারে নিজেদের সন্তানের পেছনে দুজনের সময় দেওয়ার কথাও বলেন অপু বিশ্বাস। তিনি বিদেশে গেলে আব্রাম খান জয় বাবা শাকিব খানের বাড়িতে থাকেন বলে জানান তিনি।
আপনি আর শাকিব খান তা হলে সন্তানের কো-প্যারেন্টিং করছেন- এই প্রশ্নে অপু বলেন, “আমাদের দুজনের কাছে এখনও সন্তানের মানসিক স্বাস্থ্যটাই অগ্রাধিকার পায়। একসঙ্গে থেকে হোক কিংবা না থেকে। জয় জানে, তার বাবা-মা দু’জনেই ব্যস্ত। তাই কখনও আমি তাকে স্কুলে পৌঁছে দিই, শাকিব ওকে নিয়ে আসে- এ ভাবেই চলছে।”
সেক্ষত্রে বুবলীর সন্তান বীর আর জয় কি শাকিবের বাড়িতে একসঙ্গে থাকছে?- এমন প্রশ্নে অপু বলেন, “আসলে সন্তান তো সন্তানই হয়। আমি নিজে মা হওয়ার পর থেকে উপলব্ধি করেছি পৃথিবীর সব সন্তানই আমার স্নেহের।”
শ্বশুরবাড়ির উপর কোনো অভিযোগ এখন আর নেই অপুর। তিনি বলেন, “আসলে আমরা শিল্পীরা খুব আবেগপ্রবণ। অনেক সময় এমন কিছু বলে ফেলি, পরে তা শুধরে নেওয়ার জায়গা থাকে না। আমি তো চাইলেও সেটা মুছতে পারব না।
“আসলে যখন কথাগুলো বলেছিলাম ওদের প্রতি রাগ ছিল, আমি একটু অবসাদের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলাম। আমি ওদের কাছে ক্ষমা চাইতে চাই। আমার শ্বশুর-শাশুড়ি খুব ভালো মানুষ। আমি ভাগ্যবান ওদের পেয়েছি, আমার জীবনে বাবা-মায়ের ঘাটতি পূরণ করছেন ওরাই।”