সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান বা সংগঠনের ক্ষেত্রে সেন্ট্রাল এসি সুবিধা সম্বলিত ৫০০ বা ৩০০ আসনের মিলনায়তন ভাড়া ১ শিফটে ৪ হাজার টাকা করা হয়েছে।
Published : 17 Feb 2025, 08:56 PM
দেশের সব জেলা শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনের ভাড়া কমিয়েছে সরকার। ফলে এখন থেকে আগের তুলনায় অর্ধেকেরও কম ভাড়ায় জেলা পর্যায়ের মিলনায়তনগুলো ভাড়া নিতে পারবে সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান বা সংগঠকরা।
সোমবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নতুন ভাড়া নির্ধারণের খবর জানানো হয়।
একাডেমির মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদ বলেন, গত ১৮ ডিসেম্বর শিল্পকলা একাডেমির পরিষদ সভায় আলোচনা করে ভাড়া কমানোর সিদ্ধান্ত হয়।
গত ২৫ অক্টোবর ‘জেলা শিল্পকলা একাডেমি: মিলনায়তনের ভাড়া বেশি, মুখ ফেরাচ্ছেন সংস্কৃতিকর্মীরা’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।
তখন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, “শিল্পকলায় নতুন পরিচালনা পরিষদ হয়েছে। আমরা পরিষদের সভায় এ বিষয়ে আলোচনা করব।”
প্রশাসনিক, আর্থিক স্বচ্ছতার জায়গা তৈরি করার চেষ্টা করছেন জানিয়ে মহাপরিচালক বলেছিলেন, “জেলা শিল্পকলাকে আরো গতিশীল করার জন্যও কিছু পরিকল্পনা করেছি। আমাদের একটু সময় দিতে হবে।”
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এখন থেকে জেলা পর্যায়ে মিলনায়তন ভাড়া দুপুর ২টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এক বেলা (৮ ঘণ্টা) হিসেবে স্প্লিট এসি সম্বলিত ৫০০ বা ৩০০ এর বেশি আসনের মিলনায়তনের ভাড়া হবে ৩ হাজার টাকা, যা আগে প্রথম তিন ঘণ্টার জন্য ৬ হাজার টাকা ছিল।
এছাড়া সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান বা সংগঠনের ক্ষেত্রে সেন্ট্রাল এসিওয়ালা ৫০০ বা ৩০০ আসনের মিলনায়তন ভাড়া ১ শিফটে ৪ হাজার টাকা করা হয়েছে, যা আগে প্রথম তিন ঘণ্টার জন্য ৭ হাজার টাকা ছিল।
একই সঙ্গে এলইডি লাইট ব্যবহারের ক্ষেত্রে এক শিফটের জন্য ৪ হাজার টাকা ভাড়া ঠিক হয়েছে, যা আগে প্রতি ৩ ঘণ্টায় ৫ হাজার টাকা ছিল।
জেলা শিল্পকলা একাডেমি: মিলনায়তনের ভাড়া বেশি, মুখ ফেরাচ্ছেন সংস্কৃতিকর্মীরা
মিলনায়তন বরাদ্দের ক্ষেত্রে ভাড়া আগের তুলনায় অর্ধেকের কমে নেমে আসবে বলে শিল্পকলা একাডেমির ভাষ্য।
মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদ বলেন, “বিভিন্ন সময় জেলা পর্যায়ে সাংস্কৃতিক সংগঠন, স্টেকহোল্ডারদের সাথে আলোচনায় স্থানীয় পর্যায়ে সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর জন্য ভাড়া কমানোর বিষয়টি উঠে আসে। সে প্রেক্ষিতে জেলা পর্যায়ে মিলনায়তনের ভাড়া কমানো হয়েছে।
“আমরা মনে করেছি যে, আমাদের লাভ করা বা আয়বৃদ্ধি করা জরুরি নয়। শতকরা ১০০ ভাগ ব্যয় করার জন্য আমরা প্রস্তুত আছি। আমরা নিও লিবারেল ব্যবস্থার দিকে অগ্রসর হতে চাই না।”
আরও বেশি ভাড়া কমানোর ইচ্ছা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি মন্তব্য করে মহাপরিচালক বলেন, “মিলনায়তনগুলোর নিজস্ব কিছু খরচ আছে। লাইট, সাউন্ড, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, ব্যবস্থাপনা এসব চিন্তা করে আমরা জেলাগুলোর জন্য ন্যূনতম মিলনায়তন ভাড়া রেখেছি।”
জামিল বলেন, “রাষ্ট্রের দায়িত্ব জনগণের কল্যাণ করা, রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান হিসেবে জনগণের কল্যাণ করা আমাদের কর্তব্য। ভাড়া কমিয়ে সংগঠনগুলো লাভবান হলে তা আমাদের জন্যও স্বস্তিদায়ক হবে, প্রতিষ্ঠান হিসেবে আয়বৃদ্ধি করা আমাদের লক্ষ্য নয়।”