এ সিনেমা নিয়ে সুলতানের জন্মশতবার্ষিকীর উৎসবে শামিল হতে চান নির্মাতা আতিক।
Published : 06 Mar 2023, 06:31 PM
গ্রামীণ জীবনের চিত্র আর কৃষকদের অন্তর্নিহিত শক্তি ক্যানভাসে ফুটিয়ে তোলা চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানকে বড় পর্দায় হাজির করতে যাচ্ছেন চলচ্চিত্র নির্মাতা নুরুল আলম আতিক।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এ নির্মাতা বললেন, “এ বছর আমাদের প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের জম্মশতবার্ষিকী। তার চিত্রকর্ম, জীবন এগুলো বারবার দেখার প্রয়োজন আছে।
“তার জীবনদর্শন সম্পর্কে জানার গুরুত্ব অনুভব করি। এস এম সুলতানের জীবন-দর্শন, তার পেইন্টিংয়ের মানুষদের নিয়েই এই সিনেমা। দেখা যাক আমরা কতদূর তার কাছে যেতে পারি।”
১৯২৩ সালের ১০ অগাস্ট নড়াইলের মাছিমদিয়া গ্রামে সুলতানের জন্ম হয়েছিল এক দরিদ্র কৃষক পরিবারে। শৈশবে বাড়ির লোকজন তাকে লাল মিয়া বলে ডাকত।
সেই নামেই সিনেমাটি নির্মাণের ভাবনা আছে বলে জানালেন আতিক। তার কথায়, “কাছের মানুষরা এস এম সুলতানকে ভালোবেসে ‘লাল মিয়া’ ডাকতেন। আমাদের সিনেমার নামও লাল মিয়া হবে বলে ঠিক করেছি।”
‘লাল মোরগের ঝুঁটি’র নির্মাতা বলেন, “সুলতান শুধু একজন চিত্রশিল্পী নন। আমাদের জাতিসত্তার অন্তর্গত শেকড়টি চিনে নিতে বারবার এস এম সুলতানের কাছে ফিরে যাওয়ার প্রয়োজন পড়বে।
“গল্পটা কী হবে, এই সিনেমায় তাকে কতটুকু দেখানো হবে, সে বিষয়ে এখনও আমরা সিদ্ধান্ত নিইনি। এটুকু বলতে পারি, সিনেমাটা সুলতানের পূর্ণাঙ্গ জীবন কাহিনী নয়। কোনোভাবেই এটা সুলতানের বায়োপিক না। গত ছয় মাস ধরে স্ক্রিপ্ট নিয়ে কাজ করছি। কোনো কিছু এখনও ফাইনাল হয়নি।”
এ সিনেমা দিয়ে সুলতানের জন্মশতবার্ষিকীর উৎসবে শামিল হওয়ার প্রত্যাশা করছেন আতিক।
তার ভাষ্যে, “আবহমান বাংলা বলে আমরা যা বুঝি, বাংলার অন্তর্গত চেহারাটা নিয়ে, সুলতানের মানুষের নিশ্চয় সুলতান মেলার আয়োজন করবে। আমরা চাই, সুলতান মেলায় এই সিনেমাটা নিয়ে সুলতান উদযাপনের রাস্তায় হাজির থাকতে চাই।”
নুরুল আলম আতিক বেশ কয়েক বছর আগে ‘পেয়ারার সুবাস’ নামে একটি সিনেমার শুটিং শেষ করেছেন, যেটির শুটিং শুরু হয়েছিল ২০১৬ সালে জয়া আহসানকে নিয়ে।
সিনেমাটি নিয়ে জানতে চাইলে আতিক বলেন, “খুব ভালো খবর দ্রুতই আসবে। পেয়ারাটা অনেকদিন ধরেই আছে, সুবাস ছড়াচ্ছে নাকি পেকে নষ্ট হয়ে গেছে- সেটা জানা যাবে। দ্রুতই আনুষ্ঠানিকভাবে জানাব আমরা।”
আতিকের সিনেমা ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’ ছয়টি বিভাগে ২০২১ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছে।
জাতীয় পুরস্কার নিয়ে আতিক বলেন, “দর্শক সিনেমাটা আপন করে নিয়েছিলেন এবং সেটা জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদানের কমিটিতে যারা ছিলেন, তাদেরও নজর এড়ায়নি। খুব স্বাভাবিকভাবেই জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার আমাদের জন্য অনেক বড় পাওয়া।”
মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে লাল মোরগের ঝুঁটি নির্মিত হয়েছে সরকারি অনুদানে।