“এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধের লাখো শহীদ এবং শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগের সাথে বিশ্বাসঘাকতা করা হলো।”
Published : 28 Aug 2024, 09:52 PM
জামায়াতে ইসলামী এবং তাদের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের উপর দেয়া নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী।
বুধবার এক বিবৃতিতে উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি অধ্যাপক বদিউর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে বলেন, “এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধের লাখো শহীদ এবং শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগের সাথে বিশ্বাসঘাকতা করা হলো।”
জামায়াত-শিবির রাজনীতি করার সুযোগ পেলে তা শুধু বাহাত্তরের সংবিধানই নয়, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মূল চেতনার সঙ্গেও সাংঘর্ষিক হবে বলে মনে করে উদীচী।
বাহাত্তরের সংবিধানে সুস্পষ্টভাবে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধের কথা বলা রয়েছে উল্লেখ উদীচীর বিবৃতিতে অবিলম্বে জামায়াত-শিবিরের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত বাতিল করে সব ধরনের ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার দাবিও জানান উদীচীর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে গত ১ অগাস্ট জামায়াতে ইসলামী এবং তাদের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।
সেই আদেশ প্রত্যাহার করে বুধবার প্রজ্ঞাপন জারি করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
সরকারের প্রজ্ঞাপনের প্রতিবাদ জানিয়ে উদীচীর বিবৃতিতে বলা হয়, একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বেশ কয়েকটি মামলার রায়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং এর অঙ্গ সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরকে (পূর্বনাম ইসলামী ছাত্রসংঘ) ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে দায়ী হিসাবে গণ্য করা হয়েছে।
“শুধু তাই নয়, এক রিট মামলার রায়ে হাই কোর্ট রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচন কমিশন জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগও তা বহাল রেখেছে। এতো তথ্য প্রমাণ থাকার পরও সরকার জামায়াত-শিবিরের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়ায় উদীচীসহ মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সর্বস্তরের মানুষ বিস্মিত ও মর্মাহত হয়েছে।”
আরও পড়ুন