আগামী নভেম্বরে লন্ডনের রয়্যাল অ্যালবার্ট হল, এডিনবরার আশার হলসহ ৬ মিলনায়তনে ১০টি কনসার্টে ডিলান।
Published : 17 Jul 2024, 05:49 PM
যুক্তরাজ্যে তার ‘রাফ অ্যান্ড রাউডি ওয়েজ’ ট্যুরের ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্টের নোবেলজয়ী সংগীতশিল্পী বব ডিলান।
আগামী নভেম্বরে লন্ডনের রয়্যাল অ্যালবার্ট হল, এডিনবরার আশার হলসহ ৬টি মিলনায়তনে ১০টি কনসার্টে গাইবেন ডিলান। ‘টেক ফর্ম ইয়ন্ডার’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান ডিলানের ট্যুরের অংশীদার হিসেবে যুক্ত হয়েছে।
বিবিসি লিখেছে, ডিলানের শো চলাকালে শ্রোতারা মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না।
যুক্তরাজ্য ট্যুরের প্রথম কনসার্টের তারিখ পড়েছে ১ নভেম্বর বোর্নমাউথের উইন্ডসর হলে। প্রথমটির দুসপ্তাহ পর, ১৪ নভেম্বর রয়্যাল অ্যালবার্ট হল কনসার্টের মধ্য দিয়ে যুক্তরাজ্য ট্যুর শেষ করার কথা রয়েছে ডিলানের।
ওই সব কনসার্টে মোবাইল ফোন ব্যবহারের নিয়মকানুন জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে ‘টেক ফর্ম ইয়ন্ডার’ এর কর্মীরা কনসার্টে ঢোকার আগে শ্রোতা দর্শকদের মোবাইল ফোন বিশেষ ব্যবস্থায় বন্ধ করে দেবেন।
কেউ চাইলেও নিজেরা সেই ফোন চালু করতে পারবেন না। তবে জরুরি প্রয়োজনে মোবাইল ব্যবহার করা যাবে। সেক্ষেত্রে ইয়ন্ডারের কর্মীদের সহযোগিতা নিতে হবে।
কিন্তু কনসার্ট মিলনায়তনে মোবাইল ব্যবহার করা যাবে না। মিলনায়তনের বাইরে নির্ধারিত এলাকায় গিয়ে ফোন চালু করে ব্যবহার করা যাবে। এবং ব্যবহার শেষে মিলনায়তনে ঢোকার আগে ফোন ফের বন্ধ করে দেওয়া হবে।
৮৩ বছর বয়সী ডিলান ‘রাফ অ্যান্ড রাউডি ওয়েজ’ অ্যালবামের নামে এই ট্যুর শুরু করেছেন ২০২১ সাল থেকে। ওই অ্যালবামটি প্রকাশ হয়েছিল ২০২০ সালে।
সেই ট্যুরের অংশ হিসেবে ২০২২ সালে লন্ডন, গ্লাসগো ও অক্সফোর্ডে শো করেছেন তিনি। সেসব শোতেও মোবাইলের ব্যবহার নিষিদ্ধ ছিল।
১৯৪১ সালের ২৪ মে মিনেসোটার ডুলুথে এক ইহুদি পরিবারে জন্ম নেওয়া রবার্ট অ্যালেন জিমারের হাতে প্রথম গিটার আসে ১২ বছর বয়সে। দুই বছরের মাথায় তিনি স্কুলের ব্যান্ডে বাজাতে শুরু করেন।
উডি গুথরির গান অল্প বয়সেই সেই কিশোরকে টেনে নিয়েছিল লোকসংগীতের পথে। আর বব ডিলান নামটি তিনি নিয়েছেন ইংরেজ কবি ডিলান টমাসের নাম থেকে।
বব ডিলানের সংগীত ক্যারিয়ারের সূচনা হয় ১৯৫৯ সালে মিনেসোটার এক কফি হাউজে। ঠিকানা বদলে ১৯৬১ সালে নিউ ইয়র্কে যাওয়ার পরের বছরই তার প্রথম অ্যালবাম ‘বব ডিলান’ বাজারে আসে।
এই শিল্পী, গীতিকার খ্যাতির তুঙ্গে পৌঁছান গত শতকের ষাটের দশকে। হাতে গিটার আর গলায় ঝোলানো হারমোনিকা হয়ে ওঠে তার ট্রেডমার্ক।
সে সময় তার ‘ব্লোয়িং ইন দ্য উইন্ড’ আর ‘দ্য টাইমস দে আর আ-চেইঞ্জিং’ এর মত গানগুলো পরিণত হয়েছিল যুদ্ধবিরোধী আন্দোলনের গণসংগীতে।
বব ডিলানের তারুণ্যের গানগুলো হয়ে উঠেছিল আমেরিকান অস্থিরতার প্রতীক। সেখানে এসেছে রাজনীতি, সমাজ আর দর্শনের ছায়া।
ষাটের দশকে যাদের গান আমেরিকার নাগরিক অধিকার আন্দোলনে প্রেরণা যুগিয়েছে, তাদের মধ্যে বব ডিলান একজন। ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্টিন লুথার কিংয়ের বক্তৃতার সময় ডিলান ছিলেন পিট সিগার, জোয়ান বায়েজদের সঙ্গে মিছিলের সামনের সারিতে।