তার জন্মদিন উপলক্ষে ২৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ২ মার্চ আরণ্যকের ‘আলোর আলো নাট্যোৎসব’ হবে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ও মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে।
Published : 27 Feb 2024, 09:38 AM
বাংলাদেশের নাট্য আন্দোলনের অগ্রসৈনিক, নাট্যকার, নির্দেশক ও অভিনেতা মামুনুর রশীদের জন্মদিন উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী নাট্যোৎসবের আয়োজন করতে যাচ্ছে আরণ্যক নাট্যদল।
আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি জীবনের ৭৬ বছর পূর্ণ করবেন এই নাট্যজন। তবে তার জন্মদিন পালনের সুযোগ হচ্ছে এ নিয়ে ঊনবিংশতমবারের মত।
আরণ্যক নাট্যদলের প্রতিষ্ঠাতা মামুনুর রশীদের জন্মসাল ১৯৪৮ ছিল লিপইয়ার। ফলে তার জন্মদিন পালন করার সুযোগ আসে চার বছর পর পর।
তার জন্মদিন উপলক্ষে ২৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ২ মার্চ আরণ্যকের ‘আলোর আলো নাট্যোৎসব’ হবে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ও মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে।
উৎসবে থাকবে মামুনুর রশীদ রচিত ও নির্দেশিত নাটকের মঞ্চায়ন, সংগীত, নৃত্য, সেমিনার, প্রদর্শনী ও থিয়েটার আড্ডা। বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় উৎসবের উদ্বোধন করবেন অভিনেত্রী ফেরদৌসী মজুমদার। এছাড়া দেশ-বিদেশের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরাও আসবেন অতিথি হয়ে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করবেন অনিমা মুক্তি গোমেজ, অনিমা রায়, চঞ্চল চৌধুরী, ফজলুর রহমান বাবু ও রাহুল আনন্দ। বাঁশি বাজাবেন উত্তম চক্রবর্তী। ওয়ার্দা বিহাবের পরিচালনায় নৃত্য পরিবেশন করবে ধৃতি নর্তনালয়।
১ মার্চ সকাল ১০টায় শিল্পকলা একাডেমির সেমিনার রুমে হবে ‘একজন দায়বদ্ধ সৃজনকর্মীর নাট্যপরিভ্রমণ’ শীর্ষক সেমিনার। আলোচনার ধারণাপত্র পাঠ করবেন মলয় ভৌমিক। বিকাল সাড়ে ৪টা এবং সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে হবে ‘রাঢ়াঙ’ নাটকের পরপর দুটি প্রদর্শনী। নাটকটি রচনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন মামুনুর রশীদ।
২ মার্চ বিকাল সাড়ে ৩টায় বাংলাদেশ মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে হবে থিয়েটার আড্ডা ‘নাট্যকর্মীদের মুখোমুখি মামুনুর রশীদ’। সন্ধ্যা ৭টায় একই হলে প্রদর্শিত হবে নাটক ‘কহে ফেসবুক’। নাটকটি রচনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন মামুনুর রশীদ।
আরণ্যক নাট্যদলের প্রধান সম্পাদক ফয়েজ জহির বলেন, "বাংলাদেশের নবনাট্যযাত্রার প্রাণপুরুষ, আরণ্যক নাট্যদলের প্রতিষ্ঠাতা, বরেণ্য নাট্যকার, নির্দেশক ও অভিনেতা মামুনুর রশীদ। জীবন আর শিল্পের সীমারেখাকে একাকার করে দিয়ে নাটককে তিনি পরিণত করেছেন আন্দোলন, সংগ্রাম আর স্বপ্নপূরণের হাতিয়ারে। মানুষের কাছে দায়বদ্ধ বাংলাদেশের নাট্যযোদ্ধারা তার সুরে সুর মেলায়। তার কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে শোনায় জাগরণের অভয়বাণী।"
"আমাদের এই প্রয়াসে আপনাদের সহযোগিতা আমাদের শিল্পের সংগ্রামকে সর্বোপরি আরণ্যক নাট্যদলের কর্মচাঞ্চল্যকে অনুপ্রাণিত করবে।"