শর্ত হল বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে যদি প্রথম বছরে ১০টি ভারতীয় সিনেমা দেখাতে হয়, তাহলে সমান সংখ্যক সিনেমাও ওই দেশে রপ্তানি করতে হবে। সেই শর্তে প্রথম সিনেমা হিসেবে বাংলাদেশে শাহরুখ খানের ‘পাঠান’র বদলে শাকিব খানের ‘পাংকু জামাই’ মুক্তি পাচ্ছে ভারতের প্রেক্ষাগৃহে।
পাঠান এরই মধ্যে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের ছাড়ডত্র পেয়েছে। আগামী ১২ মে মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ‘অ্যাকশন কাট এন্টারটেইনমেন্ট’।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ফারুক আহমেদ সোমবার গ্লিটজকে বলেন, “পাংকু জামাই ভারতে মুক্তি পাবে।”
‘অ্যাকশন কাট’র মালিক চলচ্চিত্র পরিচালক অনন্য মামুন গ্লিটজকে বলেন, “পাংকু জামাই ২০১৯ সালেই ভারতে রপ্তানি করা হয়েছিল। তখন কলকাতার একটি বাংলা সিনেমা বাংলাদেশে আনার পরিকল্পনা ছিল তাদের। পরে সেটি পরে আর হয়নি। এখন হিন্দি সিনেমা পাঠানের বিপরীতে পাংকু জামাই সিনেমাটিই ভারতে রপ্তানি হচ্ছে।”
২০১৮ সালে মুক্তি পাওয়া পাংকু জামাই সিনেমায় শাকিব ছাড়াও রয়েছেন অপু বিশ্বাস, মিশা সওদাগর। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন আবদুল মান্নান, প্রযোজনা করেছেন মোজাম্মেল হক সরকার।
পাঠান মুক্তির বিষয়ে অনন্য মামুন বলেন, “হল বুকিং চলছে। আজ (সোমবার) সকাল পর্যন্ত স্টার সিনেপ্লেক্সসহ ৩৮টি সিনেমা হল চূড়ান্ত হয়েছে।”
‘পাঠান’কে ঘিরে প্রেক্ষাগৃহ মালিকরা বেশ আগ্রহ দেখাচ্ছেন জানিয়ে তিনি বলেন, তাই হল সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
বাংলাদেশে মুক্তির জন্য আর কোনো ভারতীয় হিন্দি সিনেমার আবেদন জমা পড়েছে কি না- জানতে চাইলে অতিরিক্ত সচিব ফারুক বলেন, “এখন পর্যন্ত কেবল ‘পাঠান’র আবেদনই জমা পড়েছে। সেটি মুক্তি দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আর কোনো সিনেমার আবেদন জমা পড়েনি।”
রোজার ঈদের পরপরই ৫ মে দেশের প্রেক্ষাগৃহে ‘পাঠান’ মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল আমদানিকারকদের। তবে ঈদে মুক্তি পাওয়া দেশীয় সিনেমার ব্যবসা তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে উল্লেখ করে তা পেছানোর দাবি জানিয়ে সোচ্চার একদল পরিচালক, প্রযোজক, অভিনয়শিল্পী। তার পরিপ্রেক্ষিতে ১২ মে ‘পাঠান’ মুক্তির তারিখ ঠিক হয়। এর মধ্যে সেন্সর বোর্ড থেকে মেলে ছাড়পত্র।
সিদ্ধার্থ আনন্দ পরিচালিত ‘পাঠানে’ শাহরুখ খানের সঙ্গে রয়েছেন দীপিকা পাড়ুকোন ও জন আব্রাহাম। সিনেমাটি ইতোমধ্যে বলিউডে সুপারহিট তকমা পেয়েছে, বিদেশেও ভালো ব্যবসা করছে অ্যাকশন ধাঁচের সিনেমাটি।
দীর্ঘদিনের আলোচনার পর দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (সাফটা) আওতায় একগুচ্ছ শর্ত বেঁধে দিয়ে গত ১১ এপ্রিল ভারতীয় উপমহাদেশীয় ভাষার চলচ্চিত্র আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। এর ফলে বাংলাদেশের হলগুলোতে হিন্দি সিনেমা দেখানোর পথ খোলে।