Published : 15 Feb 2023, 05:50 PM
নতুন সিনেমা হল নির্মাণ, সংস্কার ও আধুনিকায়নে পুনঃঅর্থায়ন তহবিল থেকে ঋণ নেওয়ার সময় আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এর আগে গত বছরের মার্চে মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তা বাড়িয়ে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত করেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এবার তা ফের এক বছর বাড়ানো হল।
প্রেক্ষাগৃহগুলো আধুনিক করার মাধ্যমে দেশের চলচ্চিত্রের হারানো অতীত ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে ২০২১ সালের বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি হল মালিকদের স্বল্প সুদে ঋণ দিতে ১ হাজার টাকার এই পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠন করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এক হাজার কোটি টাকার স্কিম থেকে প্রথম ধাপে ৫০০ কোটি বিতরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তখন। প্রথম ধাপের বিতরণ ও আদায় সুষ্ঠু হওয়া সাপেক্ষে দ্বিতীয় ধাপে ৫০০ কোটি টাকা বিতরণ করা হবে বলে সে সময় জানানো হয়।
এখন তৃতীয় দফায় মেয়াদ বৃদ্ধির কারণ ব্যাখ্যা করে বুধবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক সার্কুলারে বলা হয়, “এ তহবিলের সিংহভাগ অর্থ এখনো অব্যবহৃত রয়েছে। অন্যদিকে, উল্লেখযোগ্য সংখ্যক গ্রাহক এ তহবিলের আওতায় ঋণ/বিনিয়োগ গ্রহণে ইচ্ছুক মর্মে জানা যায়।”
এ ঋণের অর্থ দিয়ে সিনেমা হল সংস্কার, আধুনিকায়ন ও নতুন যন্ত্রাংশ সংযোজন, নতুন সিনেমা হল নির্মাণ করতে পারবেন উদ্যোক্তারা।
তবে শর্ত হল, চলতি মূলধন হিসেবে কোনো ব্যয়ের জন্য এ তহবিলের অর্থ ব্যবহার করা যাবে না। একজন গ্রাহক ১০ কোটি টাকার বেশি ঋণ পাবেন না। ঋণের মেয়াদ হবে এক বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৮ বছর।
ঋণের বিপরীতে প্রয়োজনীয় জামানত প্রচলিত বিধিবিধান ও ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে হবে বলে সার্কুলারে উল্লেখ করা হয়।
ইতোমধ্যে নতুন সিনেমা হল নির্মাণ এবং হল সংস্কারের জন্য অর্ধশতাধিক হল মালিক আবেদন করলেও বাকিরা দ্বিধায় রয়েছেন বলে গতবছর জানিয়েছিলেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে এক সভায় তিনি বলেছিলেন, “হল মালিকরা ঋণ নিতে খুবই আগ্রহী। কিন্তু ঋণ নিয়ে টাকাটা সুদসহ ফেরত দিতে গেলে ছবি চালায়েই ফেরত দিতে হবে। এখন দেশে যে ছবিগুলো হচ্ছে, সেই ছবি চালিয়ে ঋণের টাকা ফেরত দেওয়ার সম্ভবনা নাই। সেই কারণেই হল মালিকরা দোদুল্যমান অবস্থায় আছে।”
সেই সঙ্কট নিরসনে সীমিত সময়ের জন্য হলেও ভারতীয় সিনেমা দেশের সিনেমা হলে মুক্তির অনুমতি দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতি।