অর্থবছর শেষে প্রবৃদ্ধির হার কমে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ হতে পারে।
Published : 14 Oct 2023, 04:52 PM
ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি, আর্থিক খাতের অস্থিরতা, বাহ্যিক চাপ এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি আরও ধীর হয়ে আসতে পারে বলে আভাস দিয়েছে বিশ্ব ব্যাংক।
মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে বিশ্ব ব্যাংক বলেছে, এ অর্থবছর শেষে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার কমে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ হতে পারে, যদিও গত এপ্রিলে বাংলাদেশের জন্য ৬ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির আভাস দিয়েছিল সংস্থাটি।
২০২২-২৩ অর্থবছরে ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি পেয়েছিল বাংলাদেশ। মুদ্রাস্ফীতি ও বাহ্যিক চাপ সহনীয় হলে আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির গতি কিছুটা বাড়বে বলে বিশ্ব ব্যাংক মনে করছে।
বিশ্ব ব্যাংকের ষান্মাষিক প্রতিবেদন বলছে, প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা ও দারিদ্র্য আরও কমাতে বাংলাদেশকে আর্থিক খাতের দুর্বলতা কাটানোর পাশাপাশি মুদ্রানীতির মাধ্যমে মূল্যস্ফীতিকে মোকাবেলা করতে হবে।
সেজন্য সরকারকে একক বাজারভিত্তিক বিনিয়ম হার নির্ধারণের পরামর্শ দিয়ে বলা হয়েছে, এটি বৈধ প্রক্রিয়ায় বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ বাড়াবে এবং অর্থ পরিশোধের ভারসাম্য ও রিজার্ভ সমৃদ্ধ করতে সাহায্য করবে।
জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমার আভাস দিলেও জীবনযাত্রার মানন্নোয়ন এবং চরম দারিদ্র্য হ্রাসে বাংলাদেশের সফলতার কথাও বলা হয়েছে প্রতিবেদনে।
বাংলাদেশ ও ভুটানে বিশ্ব ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদোলায়ে সেক বলেন, “দারিদ্র্য হ্রাসে বাংলাদেশের অগ্রগতি বহুমাত্রিক। বাংলাদেশ গরিবদের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটিয়েছে। শিশুমৃত্যু কমিয়েছে। বিদ্যুৎ, স্যানিটারি টয়লেট ও শিক্ষার সুযোগ বাড়িয়েছে। শহর-নগরের তুলনায় গ্রামীণ এলাকায় দ্রুত দারিদ্র্য হ্রাস পেয়েছে।
“এই অর্জন সত্ত্বেও গ্রামীণ এলাকায় অসমতা কমেছে সামান্য পরিমাণে এবং শহর এলাকায় বেড়েছে। সার্বজনীন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে এ বিষয়গুলোর জরুরি সংস্কারে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়াতে প্রস্তুত বিশ্ব ব্যাংক।”
প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছিল ৩ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে: