সুইস কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী জানিয়ে দেশটির রাষ্ট্রদূত বলেন, তিনি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও সহযোগিতা আরও জোরদারে কাজ করে যাবেন।
Published : 23 Oct 2023, 02:44 PM
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চাইছেন, সুইজারল্যান্ডের উদ্যোক্তারা বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করে ‘মিনি সুইজারল্যান্ড‘ তৈরি করুক। এ জন্য তাদের জন্য জমি বরাদ্দের আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে।
সোমবার সকালে সরকার প্রধানের কার্যালয়ে দেশটির রাষ্ট্রদূত রেটো সিগফ্রাইড রেংগলি সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে এই আহ্বান জানান সরকার প্রধান।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি শেখ হাসিনাকে উদ্ধৃত করে বলেন, “আমরা বাংলাদেশ-সুইজারল্যান্ড দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে একটি ব্যাপকভিত্তিক অংশীদারত্বে রূপ দেওয়ার অপেক্ষায় আছি।"
তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমরা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে জমি দেব। তারা (উদ্যোক্তারা) বাংলাদেশে একটি মিনি সুইজারল্যান্ড তৈরি করতে পারে।“
সুইস কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, তিনি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও সহযোগিতা আরও জোরদারে কাজ করে যাবেন।
তার সরকার একটি ব্যাপকভিত্তিক অংশীদারত্ব গড়ে তুলতে চায়, বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীও ঢাকায় দায়িত্ব পালনকালে রাষ্ট্রদূতকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব জানান, সুইস রাষ্ট্রদূত গত এক দশকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রশংসা করেছেন। বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় বাংলাদেশের সঙ্গে তার দেশ একসঙ্গে কাজ করবে।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের গ্রামীণ জনগণের উন্নয়নই তার সরকারের মূল লক্ষ্য। তবে উন্নয়নের মেরুদণ্ড মধ্যবিত্ত শ্রেণি।
সরকার চরম দারিদ্র্যের হার শূন্য করতে না পারলে অন্তত এক শতাংশে নামিয়ে আনতে অনেক কর্মসূচি নিচ্ছেন বলেন জানান প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশ তার বিমানবন্দরের উন্নয়ন করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “বাংলাদেশ পূর্ব ও পশ্চিমের মধ্যে সেতুবন্ধন করতে পারে।”
সরকারপ্রধান তার বাবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে সুইজারল্যান্ড সফরের স্মৃতিচারণও করেন এই আালোচনায়।
স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর লন্ডনে অস্ত্রোপচারের পর সুইস সরকারের আমন্ত্রণে সে দেশে যান। তখন তার সঙ্গে ছিলেন শেখ হাসিনাও।
সুইস রাষ্ট্রদূত এই সাক্ষাতে শেখ হাসিনার কাছে একটি চিঠি হস্তান্তর করেন, যা বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে সুইস স্বীকৃতির জবাবে সুইজারল্যান্ড সরকারকে পাঠিয়েছিলেন।
চিঠি পেয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এটি (চিঠি) জাদুঘরে রাখা হবে।”
এ সময়ে প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব এম. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া এবং ঢাকায় সুইস মিশনের উপ-প্রধান করিন হেনচোজ পিগনানিও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।