এক কার্গো বা বা ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি কেনায় খরচ হবে ৪২৯ কোটি ৪০ লাখ ৪৯ হাজার ৭৬০ টাকা।
Published : 31 Jan 2024, 07:16 PM
খোলা বাজার থেকে প্রতি ইউনিট ৯ দশমিক ৯৩ ডলারে এক কার্গো এলএনজি কেনার প্রস্তাবে সায় দিয়েছে সরকার।
বুধবার অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এই প্রস্তাবসহ মোট ছয়টি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহমুদ খান সাংবাদিকদের বলেন, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের প্রস্তাবে সিঙ্গাপুরের ভিটল এশিয়ার কাছ থেকে এক কার্গো বা ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়।
প্রতি ইউনিট বা এমএমবিটিইউ এলএনজির দাম পড়বে ৯ দশমিক ৯৩ ডলার। মোট খরচ হচ্ছে ৪২৯ কোটি ৪০ লাখ ৪৯ হাজার ৭৬০ টাকা।
কোভিড মহামারী ও ইউক্রেইন রাশিয়ার যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই আন্তর্জাতিক বাজারে এলএনজির দাম ঊর্ধ্বমুখী। প্রতি ইউনিট ৬৭ ডলারেও এলএনজি কিনতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। গত ছয় মাসে বাংলাদেশ খোলা বাজার থেকে যেসব এলএনজি কিনেছে যেগুলোর দাম ছিল প্রতি ইউনিট ১৬ থেকে ১৮ ডলারের মধ্যে। অবশ্য গত সপ্তাহে প্রতি ইউনিট ১১ ডলারে এক কার্গো এলএনজি কিনতে পেরেছিল সরকার।
এদিন অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে ওমানের ওকিউ ট্রেডিং লিমিটেডকে মাস্টার সেল অ্যান্ড পারচেজ এগ্রিমেন্টের আওতায় তালিকাভুক্ত করার একটি প্রস্তাবও অনুমোদন দেওয়া হয় বলে জানান অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান।
তিনি বলেন, খোলা বাজার থেকে এলএনজি কেনার দরপত্রে অংশ নিতে বর্তমানে ২২টি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি রয়েছে বাংলাদেশের। এর সঙ্গে এখন যুক্ত হলো ওমানের ওকিউ ট্রেডিং। তারাও দরপত্রে অংশ নিয়ে এলএনজি সরবরাহ করতে পারবে।
গত বছরের মঝামাঝিতে দীর্ঘমেয়াদে এলএনজি কিনতে ওমানের একই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একটি দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি করেছে সরকার।
এদিন ক্রয় কমিটির বৈঠকে রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে কাতার ও সৌদি আরব থেকে ২২৩ কোটি ৮৪ লাখ ৮৯ হাজার টাকা ব্যয়ে ৬০ হাজার টন ইউরিয়া সার কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
অতিরিক্ত সচিব জানান, শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে কাতারের কাতার কেমিক্যাল অ্যান্ড পেট্রোকেমিক্যাল মার্কেটিং অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (মুনতাজাত) থেকে ১১তম লটে ৩০ হাজার ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে ক্রয় কমিটি। প্রতি টনের দাম পড়বে ৩৩০ দশমিক ৮৩ ডলার। মোট খরচ পড়বে ১০৯ কোটি ১৭ লাখ ৩৯ হাজার টাকা।
এছাড়া শিল্প মন্ত্রণালয়ের আরেক প্রস্তাবে রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে সৌদি আরবের সাবিক এগ্রি-নিউট্রিয়েন্টস কোম্পানি থেকে ১৩তম লটে ৩০ হাজার টন ইউরিয়া সার কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রতি টনের দাম ৩৪৭ দশকি ৫ ডলার ধরে এতে মোট খরচ হবে ১১৪ কোটি ৬৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
আরও পড়ুন: