জানুয়ারি মাসে মূল্যস্ফীতির কোপ সবচেয়ে বেশি পড়েছে দেশের শহরাঞ্চলে। শহরের সাধারণ মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ।
Published : 16 Feb 2024, 11:48 AM
গত বছরের শেষ দুই মাসের ধারাবাহিকতা নতুন বছরে থাকল না। বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশে পৌঁছানোর খবর দিল বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।
অর্থাৎ গত বছরের জানুয়ারি মাসে যে পণ্য বা সেবা ১০০ টাকায় পাওয়া যেত, তা এ বছরের জানুয়াতে পেতে ১০৯ টাকা ৮৬ পয়সা ব্যয় করতে হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে বিবিএস অনলাইনে মূল্যস্ফীতির এই হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করে।
গত বছরের শেষ দুই মাস নভেম্বর ও ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতির হার কমে যথাক্রমে ৯ দশমিক ৪৯ এবং ৯ দশমিক ৪১ শতাংশে নেমেছিল। তার আগের মাস অক্টোবরে এই হার উঠেছিল ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশে। আর গত বছরের মে মাসে এক যুগের মধ্যে সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশে উঠেছিল মূল্যস্ফীতির পারদ।
গত বছরের জানুয়ারি মাসে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে সাধারণ মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ। সে হিসাবে গত বছরের জানুয়ারি মাসের তুলনায় সাধারণ মূল্যস্ফীতি এ বছরের জানুয়ারি মাসে ১ দশমিক ২৯ শতাংশীয় পয়েন্ট বেড়েছে।
বিবিএস এর তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারি মাসে মূল্যস্ফীতির কোপ সবচেয়ে বেশি পড়েছে দেশের শহরাঞ্চলে। শহরের সাধারণ মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ।
শহরাঞ্চলের খাদ্য উপখাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ এবং খাদ্য বহির্ভূত উপখাতে ৯ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
আর গ্রামাঞ্চলে সাধারণ মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ৯ দশমিক ৭০ শতাংশ। এর মধ্যে খাদ্য উপখাতের মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৪১ শতাংশ; খাদ্য বহির্ভূত উপখাতে ৯ দশমিক ১৯ শতাংশ।
পরিসংখ্যান ব্যুরোর একজন কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এ বছরের জানুয়ারি মাসে শীতকালীন সবজি ও চালের দাম গত বছরের একই মাসের তুলনায় বেশি ছিল। বিশেষ করে পেঁয়াজ, রসুনসহ সকল ধরনের সবজি গত বছরের একই মাসের তুলনায় বেশি থাকায় জানুয়ারি মাসে মূল্যস্ফীতি বেশি ছিল।