এই প্রকল্পের আওতায় আটটি সাবস্টেশন নির্মাণ করা হবে এবং দেশে প্রথমবারের মতো ১০০ কিলোমিটারের বেশি বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন মাটির নীচ দিয়ে টানা হবে।
Published : 02 Jan 2024, 08:48 PM
ভূগর্ভস্থ্য বিদ্যুৎ লাইন স্থাপনের মাধ্যমে রাজধানীর বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থার আধুনিকায়ন ও পরিবেশবান্ধব করতে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বাংলাদেশকে ১৬ কোটি ডলারের ঋণ সহযোগিতা দিচ্ছে।
বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ১ হাজার ৭৬০ কোটি টাকা।
‘ঢাকা পাওয়ার সিস্টেম এক্সপ্যানশন অ্যান্ড স্ট্রেনদেনিং প্রজেক্ট’ শীর্ষক একটি প্রকল্প বাস্তবায়নে এই ঋণ নিচ্ছে সরকার।
এডিবির অর্ডিনারি ক্যাপিটাল রিসোর্স (ওসিআর) কর্মসূচি থেকে নেওয়া কঠিন শর্তের এই ঋণ সিকিউরড ওভারনাইট ফাইন্যান্সিং রেটের (সুফর) সুদহারের সঙ্গে প্রায় ০.৬৫ শতাংশ সুদ দিয়ে ২৫ বছরে পরিশোধ করতে হবে। এর মধ্যে রেয়াতকাল ৫ বছর।
চলমান সুফর সুদহার অনুযায়ী এই ঋণের জন্য ৬ শতাংশের বেশি সুদ গুণতে হবে সরকারকে।
মঙ্গলবার এ বিষয়ে এডিবি ও সরকারের মধ্যে একটি ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
চুক্তিতে সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী এবং এডিবির পক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত সংস্থাটির উপ আবাসিক প্রতিনিধি জিয়াংবো নিং স্বাক্ষর করেন বলে ইআরডির এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এতে জানানো হয়, ঢাকা ইলেক্ট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (ডেসকো) অধীনে বাস্তবায়নাধীন এ প্রকল্পটি ঢাকার বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা বিশ্বমানে উন্নীত করতে বাস্তবায়ন করা হবে।
ঢাকার বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা আধুনিকায়নের মাধ্যমে সম্প্রসারণ এবং শক্তিশালী করতে এই প্রকল্পের আওতায় আটটি সাবস্টেশন নির্মাণ করা হবে এবং দেশে প্রথমবারের মতো ১০০ কিলোমিটারের বেশি বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন মাটির নীচ দিয়ে টানা হবে।
এই ব্যবস্থায় পুরো বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনটি জলবায়ু ও দুর্যোগ প্রতিরোধী হবে। এছাড়াও এই প্রকল্পের মাধ্যমে ১৫০ কিলোমিটার ওভারহেড লাইন স্থাপন করবে।
অনুষ্ঠানে এডিবির ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর জিয়াংবো নিং বলেন, “এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ২ লাখ নতুন এবং ১১ লাখ বিদ্যমান আবাসিক, বাণিজ্যিক এবং শিল্প গ্রাহক এবং ঢাকার নতুন বিমানবন্দর টার্মিনালে নির্ভরযোগ্য, দক্ষ এবং উন্নত মানের বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করবে।
“এটি বিদ্যুতের যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে অপচয় কমাবে। এছাড়াও পুরনো এবং ঝুকিপূর্ণ বিদ্যুৎ অবকাঠামো আধুনিকীকরণের মাধ্যমে বছরে কমপক্ষে ১৪ হাজার ৭০০ টন কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন কমাতে সাহায্য করবে।”